স্যার চার্লস আলফ্রেড বেল চার্লস আলফ্রেড বেল | |
---|---|
Charles Alfred Bell | |
![]() ১৯২২ সালে বেল | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৮ মার্চ ১৯৪৫ | (বয়স ৭৪)
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পেশা |
|
পিতা-মাতা |
|
স্যার চার্লস আলফ্রেড বেল, (ইংরেজি: Charles Alfred Bell) KCIE CMG (অক্টোবর ৩১, ১৮৭০ – মার্চ ৮, ১৯৪৫) ছিলেন ভুটান, সিকিম এবং তিব্বতের ব্রিটিশ রাজনৈতিক কর্মকর্তা। তিব্বত বিশেষজ্ঞ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি "তিব্বতের ব্রিটিশ ভারতের রাষ্ট্রদূত" হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চার্লস আলফ্রেড বেল ৩১ অক্টোবর ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ রাজের (বর্তমানে ভারত) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হেনরি বেল ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন।[১] উইনচেস্টার বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি অক্সফোর্ডের নিউ কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর ১৮৯১ সালে তিনি ভারতীয় বেসামরিক পরিসেবায় যোগ দেন।[২][৩]
১৯০৮ সালে বেল সিকিমের রাজনৈতিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দ্রুত তিনি সিকিম ও সিকিমের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। ১৯১০ সালে তিনি ১৩তম দালাই লামার সাথে সাক্ষাত করেন, যিনি সেসময় চৈনিকদের দ্বারা স্বদেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়েছিলেন। বেল এই সময়ে খুব কাছ থেকে দালাই লামার সঙ্গ লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে ১৩তম দালাই লামার জীবনী (পোর্ট্রেইট অব দ্য দালাই লামা) রচনা করেন।
১৯১৩ সালে বেল চীন প্রজাতন্ত্র, তিব্বত এবং ব্রিটিশ ভারত সরকারের প্রতিনিধি দল দ্বারা তিব্বতের অবস্থা নির্ধারণকারী সিমলা চুক্তিতে অংশ নেন। এই চুক্তি সম্মেলনের পূর্বে তিনি গিয়ান্তসেতে ব্রিটিশ ভারতের দূত পালজর দরজে শাত্রার সাথে দেখা করেন। চার্লস তাকে তিব্বত ও চীনের সম্পর্ক রয়েছে এমন সকল দলিল-দস্তাবেজ সিমলায় নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। বেল এই চুক্তিতে তিব্বতীদের হয়ে সাহায্য করার জন্য নিযুক্ত ছিলেন।
১৯১৯ সালে বেল সিক্কিমের সরকারি কর্ম থেকে অব্যাহতি নেন এবং গবেষণার কাজে সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। অবশ্য ১৯২০ সালে তাকে লন্ডন কর্তৃক লাসায় বিশেষ দূত হিসেবে প্রেরণ করা হয়।[৪]
তিব্বত ও লাসা ভ্রমণ পরবর্তীকালে ১৯২০ সালে তিনি, অক্সফোর্ডে অবসর নেন। এই সময় তিনি তিব্বতের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্ম নিয়ে একাধিক বই রচনা করেন। লাসা মিশনে অবদানের জন্য ১৯২২ সালে তাকে নাইটহুড খেতাব দেয়া হয়।[৩]
অক্সফোর্ডের পিট নদী জাদুঘরে তার তোলা তিব্বতের ছবি সংরক্ষিত রয়েছে। কিছু ছবি ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত (তিব্বত: কট ইন টাইম) বইয়ে সংযোজিত হয়।[৩]
হেইনরিখ হ্যারার রচিত তিব্বতে সাত বছর বইয়ের ১৯৯৭ সালের সংস্করণের ভূমিকায় পিটার ফ্লেমিং একজন পশ্চিমা হয়েও দালাই লামার সাথে চার্লস বেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আশ্চর্যজনক বলে মন্তব্য করেন।