ভিসকাউন্ট হ্যালিফ্যাক্স | |
---|---|
প্রিভি সিলের লর্ড কিপার | |
কাজের মেয়াদ ৬ই জুলাই ১৮৭০ – ১৭ই ফেব্রুয়ারি ১৮৭৪ | |
সার্বভৌম শাসক | ভিক্টোরিয়া |
প্রধানমন্ত্রী | উইলিয়াম ইওয়ার্ট গ্ল্যাডস্টোন |
পূর্বসূরী | কিম্বারলির আর্ল |
উত্তরসূরী | মালমেসবারির আর্ল |
ভারতের রাজ্য সচিব | |
কাজের মেয়াদ ১৮ই জুন ১৮৫৯ – ১৬ই ফেব্রুয়ারি ১৮৬৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | ভিসকাউন্ট পামারস্টন আর্ল রাসেল |
পূর্বসূরী | লর্ড স্ট্যানলি |
উত্তরসূরী | আর্ল ডি গ্রে এবং রিপন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পন্টেফ্র্যাক্ট, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন রাজ্য | ২০ ডিসেম্বর ১৮০০
মৃত্যু | ৮ আগস্ট ১৮৮৫ হিকলটন হল, ডনকাস্টার, ইয়র্কশায়ারের ওয়েস্ট রাইডিং, ইংল্যান্ড, ইউকে | (বয়স ৮৪)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
রাজনৈতিক দল | হুইগ লিবারাল |
দাম্পত্য সঙ্গী | লেডি মেরি গ্রে (মৃত্যু ১৮৮৪) |
সন্তান | ৭, চার্লস উড, ২য় ভিসকাউন্ট হ্যালিফ্যাক্স সহ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ওরিয়েল কলেজ, অক্সফোর্ড |
চার্লস উড, ১ম ভিসকাউন্ট হ্যালিফ্যাক্স Bt জিসিবি পিসি (২০শে ডিসেম্বর ১৮০০ - ৮ই আগস্ট ১৮৮৫), ১৮৪৬ থেকে ১৮৬৬ সালের মধ্যে স্যার চার্লস উড, ৩য় ব্যারোনেট নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন ব্রিটিশ হুইগ রাজনীতিবিদ এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৮৪৬ থেকে ১৮৫২ সাল পর্যন্ত ধনাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হ্যালিফ্যাক্স ছিলেন বার্নসলির ২য় ব্যারোনেট স্যার ফ্রান্সিস উড এবং তাঁর স্ত্রী, স্যামুয়েল বাকের কন্যা, অ্যানের সন্তান। তিনি ইটন এবং অক্সফোর্ডের ওরিয়েল কলেজে শিক্ষিত হন, সেখানে তিনি ক্লাসিক এবং গণিত অধ্যয়ন করেছিলেন।
উড ১৮২৬ থেকে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত একজন লিবারেল পার্টি সদস্য এবং সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি গ্রেট গ্রিমসবির আসনটি পরিত্যাগ করেন এবং ১৮৩১ সালে ওয়ারহামের পকেট বরোতে ফেরত আসেন। তিনি সম্ভবত একজন পেয়িং গেস্ট হিসাবে ছিলেন। এই ব্যবস্থায় থেকে তিনি লন্ডনে সংস্কার বিল পড়ার প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি নিজের বাবার কাছে নিজের মতামত প্রকাশ করে বলেছিলেন:
সংস্কার বিল একটি দক্ষ, সারগর্ভ, গণতন্ত্র বিরোধী, সম্পত্তি-সমর্থক মাপকাঠি, কিন্তু এটি খারাপ পৌরসভাগুলিকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং অবশ্যই তাদের স্বত্বাধিকারীদের উত্ত্যক্ত করে। তাই, দেশের কণ্ঠস্বরের দ্বারাই এটি এগিয়ে নিয়ে যাবার আশা আছে। এর ফলে সমস্ত অনবস্থিতচিত্ত ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে। . . যে র্যাডিকালদের জন্য স্বর্গের প্রশংসা করা হবে, তাঁরা আমাদের সমর্থন করুন . . [১]
তিনি প্রতিটি পর্যায়ে সতর্কতার সাথে বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং পরের বছরে এটি রাজকীয় সম্মতি পেয়েছে।
তিনি লর্ড জন রাসেলের সরকারে (১৮৪৬-১৮৫২) চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার বা ধনাধক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখানে তিনি মহা দুর্ভিক্ষের সময় আয়ারল্যান্ডের জন্য আর কোনো সাহায্যের বিরোধিতা করেছিলেন। ১৮৫১ সালে তাঁর বাজেটে, স্যার চার্লস বাণিজ্যের উদারীকরণ করেছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছিলেন এবং ভোগ্যপণ্যকে উৎসাহিত করেছিলেন। পরবর্তী টোরি সরকারে, নতুন চ্যান্সেলর, প্রাক্তন সুরক্ষাবাদী বেঞ্জামিন ডিসরালি, ১৮৫২ সালের ৩০শে এপ্রিল একটি অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক বিবৃতিতে অর্থনৈতিক নীতির উপর উডের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন, কমন্সে বাজেট উপস্থাপনের পদ্ধতির জন্য একটি প্রবণতা নির্ধারণ করেন।[২] শুল্কের এই হ্রাসের ফলে খরচে বা ব্যবহারে লক্ষণীয় বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। উড মনে করতেন, ডিসরায়েলি হলেন 'ধৈর্যহীন এবং ব্যঙ্গাত্মক', এইসব গুণাবলী তিনি অপছন্দ করতেন।[৩]
উড পরবর্তীতে লর্ড অ্যাবারডিন (১৮৫২-১৮৫৫) এর অধীনে বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি হিসাবে, লর্ড পালমারস্টনের প্রথম প্রশাসনে (১৮৫৫-১৮৫৮) অ্যাডমিরালটির প্রথম লর্ড হিসাবে এবং পামারস্টনের দ্বিতীয় সরকারে ভারতের সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসাবে (১৮৫৯-১৮৬৬) কাজ করেছিলেন। তিনি ১৮৪৬ সালে তাঁর পিতার ব্যারোনেটসির উত্তরাধিকারী হন এবং ১৮৬৬ সালে তিনি ইয়র্ক কাউন্টির ওয়েস্ট রাইডিং-এর মঙ্ক ব্রেটনের ভিসকাউন্ট হ্যালিফ্যাক্সের পদে উন্নীত হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] লর্ড ক্ল্যারেন্ডনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পর গ্ল্যাডস্টোনের প্রথম মন্ত্রিসভায় রদবদলের প্রয়োজন হয়, হ্যালিফ্যাক্সকে লর্ড প্রিভি সিল হিসাবে আনা হয়, ১৮৭০ থেকে ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত এটিই তাঁর শেষ কর্মজীবন ছিল।
আয়ারল্যান্ডে মহা দুর্ভিক্ষের সময় (১৮৪৫ থেকে ১৮৫১) ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেশত্যাগ করেন। ১৮৪৫ সালের ৩০শে জুন, লর্ড জন রাসেলের নেতৃত্বে একটি হুইগ সরকার দ্বারা পিলস টোরিস সরকার প্রতিস্থাপিত হয়। এই সরকার মুক্ত বাণিজ্য এবং লেসে-ফেয়ার (অবাধ নীতি) অর্থনীতি স্থাপন করার চেষ্টা করেছিল। ট্রেজারীর একজন বরিষ্ঠ বেসামরিক কর্মচারী স্যার চার্লস ট্রেভেলিয়ান চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার স্যার চার্লস উডের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায়, আয়ারল্যান্ডে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে চেয়েছিলেন।[৪] উড যখন রাজস্ব-বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তখন আয়ারল্যান্ডের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের চরম ব্যয়কুণ্ঠতা দুর্ভিক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিল। উড লেসে-ফেয়ারের অর্থনৈতিক নীতিতে বিশ্বাস করতেন এবং সস্তায় আমদানি করা শস্যের অনুমতি দিয়ে "বাজারকে দুর্বল" করার পরিবর্তে আইরিশদের অনাহারে রেখে যেতে পছন্দ করেছিলেন।[৫] তিনি ট্রেভেলিয়ানের আইরিশ-বিরোধী, নৈতিকতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রবক্তা ছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে দুর্ভিক্ষের "বর্তমান নির্ভরতার অভ্যাস" দূর করা উচিত এবং আইরিশ সম্পত্তির সাহায্যে আইরিশ দারিদ্র্য দূর করার জন্য তাদের বাধ্য করা উচিত।[৬] উড লর্ড লেফটেন্যান্টকে লিখেছিলেন যে দুর্ভিক্ষটি দুর্ঘটনাজনিত ছিল না, কিন্তু ইচ্ছাকৃত ছিল এবং এটি একটি সামাজিক বিপ্লব নিয়ে আসবে: "খাদ্য এবং কর্মসংস্থানের অভাব হল দৈবের পাঠানো একটি বিপর্যয়", এটি " বিস্ময়কর প্রেরণা দিয়ে জিনিসগুলিকে থিতিয়ে দিয়েছিল, যাতে তাদের তাড়াতাড়ি মাথায় আনা যায়।"[৬] তিনি আশা করেছিলেন যে দুর্ভিক্ষের ফলে প্রান্তিক কৃষকেরা সরে যাবে এবং তা একটি "উন্নত" অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাবে।[৭]
বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি হিসাবে, উড ভারতে শিক্ষা বিস্তারে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৮৫৪ সালে তিনি ভারতের তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড ডালহৌসির কাছে একটি প্রেরণ পাঠান। এতে সুপারিশ করা হয়েছিল যে:
উডের প্রেরন অনুসারে, প্রতিটি প্রদেশে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৫৭ সালে কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজে, ১৮৮২ সালে পাঞ্জাবে এবং ১৯৯৭ সালে এলাহাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়।
লর্ড হ্যালিফ্যাক্স ১৮২৯ সালের ২৯শে জুলাই লেডি মেরি গ্রে (৩রা মে ১৮০৭ - ৬ই জুলাই ১৮৪৪) কে বিয়ে করেছিলেন, গ্রে ছিলেন দ্বিতীয় আর্ল গ্রে, চার্লস গ্রে-এর পঞ্চম কন্যা। তাঁদের চার ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল:[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
লেডি হ্যালিফ্যাক্স ১৮৮৪ সালে মারা যান। লর্ড হ্যালিফ্যাক্স তারপরে মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময় বেঁচে ছিলেন এবং ১৮৮৫ সালের আগস্ট মাসে ৮৪ বছর বয়সে মারা যান। উপাধিতে তাঁর উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে চার্লস যিনি হ্যালিফ্যাক্সের প্রথম আর্ল এডওয়ার্ড উডের পিতা ছিলেন।
টেমপ্লেট:Chancellors of the Exchequer টেমপ্লেট:First Lords of the Admiralty টেমপ্লেট:Great Hunger