![]() ১৯০২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে চার্লস ফিশার্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | চার্লস গুস্তাভ ফিশার্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্লুমফন্তেইন, অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট | ২০ মার্চ ১৮৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩০ মে ১৯২৩ কেপ টাউন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৫৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১৯ মার্চ ১৮৯২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯১/৯২ - ১৯০৯/১০ | অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ |
চার্লস গুস্তাভ ফিশার্ট (ইংরেজি: Charles Fichardt; জন্ম: ২০ মার্চ, ১৮৭০ - মৃত্যু: ৩০ মে, ১৯২৩) অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের ব্লুমফন্তেইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯২ থেকে ১৮৯৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন চার্লস ফিশার্ট। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ব্যাটিং করতেন।
ব্লুমফন্তেইনের গ্রে কলেজে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে স্কটল্যান্ড ও হ্যামবার্গে অধ্যয়ন করেছিলেন চার্লস ফিশার্ট।[২] তেজস্বী ব্যাটসম্যান ও আলতোভাবে ছুড়ে দেওয়া বোলার ছিলেন। ১৮৯১-৯২ মৌসুম থেকে ১৯০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত চার্লস ফিশার্টের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৮৯২ থেকে ১৯০৯ সময়কালে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের সদস্যরূপে খেলেন।[৩]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লস ফিশার্ট। ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে কেপ টাউনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৮৯১-৯২ মৌসুমে ইংরেজ দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। ১৮৯২ সালে ডব্লিউ.ডব্লিউ. রিডের নেতৃত্বাধীন সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট দলের সদস্যরূপে খেলেন। ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে খেলায় সর্বোচ্চ রান করেন। দুই সপ্তাহ পর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[৪] সফরকারী দলের বিপক্ষে জি. ক্রিপস, জে.এফ.ডি. টোইট ও ই.এ. হলিওয়েলের সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। সফরকারী দল ইনিংস ও ১৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়।
১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে পুনরায় ইংরেজ দলের আগমন ঘটে। অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের সদস্যরূপে প্রথম ইনিংসে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে ৬/৯৩ পান।[৫] তবে, সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলাগুলোয় খুব কমই অবদান রাখেন।
দ্বিতীয় বোয়ের যুদ্ধে সৈনিক হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন চার্লস ফিশার্ট। পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেন ও বোয়ের স্বাধীনতা প্রশ্নে প্রথিতযশা আইনজ্ঞের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
১৮৯৭ সালে ব্লুমফন্তেইনের নগরপাল হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৮৯৯ সালে জেনারেল পাইত ক্রনিয়ের সাথে বোয়ের যুদ্ধে অংশ নেন। ধৃত হলেও পরবর্তীকালে মুক্তিলাভ করেন।[৬] ১৯০৬ সালে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে অরেঞ্জ ইউনিয়ন পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হন।[৭] অরেঞ্জ ইউনিয়ন পার্টির মুখপত্র ব্লুমফন্তেইন ফ্রেন্ডের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।[৮]
১৯০৭ থেকে ১৯১০ সময়কালে অরেঞ্জ রিভার কলোনির আইনসভার সদস্য হন। এরপর ১৯১০ থেকে ১৯২৩ সালে মৃত্যু পূর্ব-পর্যন্ত ইউনিয়নের আইনসভায় লেডিব্রান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৯]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। ক্যাথরিন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল।[১০] অস্ত্রোপচার শেষে ৩০ মে, ১৯২৩ তারিখে ৫৩ বছর বয়সে কেপ প্রদেশের কেপ টাউন এলাকায় চার্লস ফিশার্টের দেহাবসান ঘটে।[২] তার পুত্র এভেরার্ড ১৮৯৬ থেকে ১৯০২ সময়কালে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের রাষ্ট্রপতি মার্টিনাস থিউনিস স্টেইনের কন্যা হান্না স্টেইনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[১১]