চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র

জৈব-নৈতিকতার দুটি দিক উপস্থাপনা যা প্রায়শই সমালোচনার বিষয়: প্রজনন ওষুধ এবং দ্রুত ওষুধ।

চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র (ইংরেজি: Medical ethics) হল চিকিৎসার মান ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিক মূলনীতিসংক্রান্ত বিদ্যা। একটি পাণ্ডিত্যপূর্ণ শাখা হিসেবে , চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র বাস্তব জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং সেই সাথে তার ইতিহাস, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক কাজগুলোকে পরিবেষ্টন করে রাখে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিকভাবে, পাশ্চাত্য চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র অনাদিকাল হতে চলে আসা চিকিৎসকদের দায়িত্ব নির্দেশিকা যেমন হিপ্পোক্রাতুসীয় (hippocratic) শপথ, প্রাচীন খ্রিস্টীয় শিক্ষার প্রতি ইঙ্গিত প্রদর্শন করতে পারে। চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্রের প্রথম গ্রন্থ হল "Formula Comitis Archiatrorum", যেটি ৫ম শতাব্দীতে অস্ট্রোগথিক রাজা Theodoric the Great এর রাজত্বকালে প্রকাশিত হয়েছিল। মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগের প্রথমদিকে এই নীতিশাস্ত্র সমৃদ্ধকরণের ক্ষেত্রে ইসলামী পণ্ডিত ইসহাক ইবন আলী আল-রুহাহী যিনি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র বিষয়ক প্রথম বই সালুক আলত্বাবীব লিখেন ),ইবনে সিনা (আল কানুন ফিতত্বীব) এবং মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া আল রাজী (পাশ্চাত্যে যিনি "আল রাজী" বলে পরিচিত), ইহুদি চিন্তাবিদ মুসা বিন মাইমুন, রোমান ক্যাথলিক চিন্তাবিদ টমাস অ্যাকুইনাস এবং বিশ্লেষণভিত্তিক ক্যাথলিক নৈতিক ধর্মতত্ত্বের ভূমিকা অপরিসীম। এই বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য ক্যাথলিক, ইসলামী এবং ইহুদি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্রে অব্যাহত থাকে।

অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র আরো আত্মসচেতনতামূলক বক্তব্য হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ইংল্যান্ডে টমাস পার্সিবাল নামে এক চিকিৎসক ও লেখক চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্রের প্রথম নিয়মগুলোকে একটি ছকে লিপিবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। তিনি ১৭৯৪ সালে এ নীতি সংবলিত একটি পুস্তিকা প্রণয়ন করেন এবং ১৮০৩ সালে এর একটি বিস্তারিত সংস্করণ প্রকাশ করেন যেখানে তিনি "চিকিতসা নীতি" এবং "চিকিতসা সংক্রান্ত আইন" এই পরিভাষাগুলি ব্যবহার করেন। অনেকে আবার পার্সিবালের এই নীতি ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সম্মানের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত প্রতিরক্ষামূলক বলে মন্তব্য করেন। জেফ্রি বারলেন্ট হলেন এই সব সমলোচকদের একজন, যিনি মনে করতেন চিকিৎসকদের সম্মানীর ক্ষেত্রে পার্সিবালের নীতি চিকিৎসক সমাজের মধ্যে প্রতিযোগিতার অভাব সৃষ্টি করে।

১৮২৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে "Apothecaries Act" পাশ হয়। এই আইনের মাধ্যমে ঔষধবিদ সমাজের আওতায় সকল ঔষধবিদদেরকে বাধ্যতামূলক শিক্ষানবিশি এবং প্রথাগত যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হতো। ব্রিটেনে এটাই ছিল চিকিৎসা পেশার নিয়ন্ত্রণের শুরু।

১৮৪৭ সালে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন পার্সিবালের কাজের উপর বহুলাংশে ভিত্তি করে প্রথম নীতিশাস্ত্র গ্রহণ করে। এই ২০ শতাব্দীতে এসে জোসেফ ফ্লেচারের মত চিন্তাবিদদের হাত ধরে একটি স্বতন্ত্র উদার সনাতন পন্থা চলতে থাকে,যখন ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শীরা ক্যাথলিক নীতিশাস্ত্র থেকে অনেকখানি গ্রহণ করে নেয়। ১৯৬০ ও ৭০ এর দশকে উদার তত্ত্ব এবং পদ্ধতিগত ন্যায়বিচারের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র এক নাটকীয় স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে জৈবনীতিতে উন্নীত হয়।

সুপরিচিত চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নীতিশাস্ত্র উল্লেখ রয়েছে:

  • albert Kligman এর ত্বকীয় এক্সপেরিমেন্ট
  • গভীর ঘুম থেরাপি
  • ডক্টরস ট্রায়াল
  • গ্রিনবার্গ বনাম. মিয়ামি শিশু হাসপাতাল গবেষণা ইনস্টিটিউট
  • Henrietta Lacks
  • Chester M. Southam এর ক্যান্সার ইনজেকশন স্টাডি
  • হিউম্যান বিকিরণ পরীক্ষা
  • Jesse Gelsinger
  • মুর বনাম. ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র
  • মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করার চেষ্টায় শরীরের অঙ্গ অপসারণ
  • নিগ্রো আমেরিকানদের চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা
  • Milgram এক্সপেরিমেন্ট
  • তেজস্ক্রিয় আয়োডিন এক্সপেরিমেন্ট
  • মনস্টার স্টাডি
  • প্লুটোনিয়াম ইনজেকশন
  • ডেভিড রেমার কেস
  • স্ট্যানফোর্ড প্রিসন এক্সপেরিমেন্ট
  • টাস্কিজি সিফিলিস পরীক্ষা
  • উইলোব্রুক স্টেট স্কুল
  • ইয়ানোমামী রক্তের নমুনা সংগ্রহ
  • এল ডোরাডোর অন্ধকার