চিত্রা মুদগল | |
---|---|
জন্ম | মাদ্রাজ, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৩
পেশা | ঔপন্যাসিক, লেখক |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | হিন্দি সাহিত্যে এমএ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | এসএনডিটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার |
চিত্রা মুদগল (জন্ম ১০ই ডিসেম্বর ১৯৪৩) একজন ভারতীয় লেখক এবং আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব।
চিত্রা মুদগলের প্রথম গল্পটি ছিল পুরুষ-নারী সম্পর্কের উপর, যা ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।[১] তাঁর এ পর্যন্ত প্রায় তেরোটি গল্প সংকলন, তিনটি উপন্যাস, তিনটি শিশুতোষ উপন্যাস, চারটি শিশুতোষ গল্প সংকলন এবং পাঁচটি সম্পাদিত বই প্রকাশিত হয়েছে।[১] তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি তাঁর উপন্যাস আভান -এর জন্য ঈপ্সিত ব্যাস সম্মান পেয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি তাঁর উপন্যাস পোস্ট বক্স নং ২০৩, নালাসোপারা -র জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।
চিত্রা মুদগল ১৯৪৩ সালের ১০ই ডিসেম্বর চেন্নাইতে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় অবস্থিত নিজ গ্রাম নিহালি খেদাতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং মুম্বাইয়ের এসএনডিটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দি সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।[১] তিনি তাঁর বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে "সারিকা" -র প্রাক্তন সম্পাদক অবধ নারায়ণ মুদগলকে বিয়ে করেছিলেন।[৩]
১৯৮২ সালে দত্তাত্রেয় সামন্ত-র নেতৃত্বে প্রায় ৩০০,০০০ শ্রমিক মুম্বাই টেক্সটাইল মিলে এক বছর ধরে ধর্মঘট পালন করেছিলেন, যার ফলে শেষ পর্যন্ত শহরের ট্রেডমার্ক শিল্পের পতন ঘটেছিল।[৪] চিত্রা মুদগলের উপন্যাস 'আভান', ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের জীবন ও এই সময়কে চিত্রিত করেছে। এই কাজটি সমালোচকদের দ্বারা সর্বসম্মতভাবে সাহিত্যকর্মের একটি সেরা শিল্পকর্ম হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে এবং হিন্দি সাহিত্যে একটি ধ্রুপদী উপন্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।[৫]
একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা শঙ্কর গুহ নিয়োগী নিহত হবার পর চিত্রা মুদগল তাঁর আভান উপন্যাসের পটভূমিটি কল্পনা করেছিলেন।[৩] শঙ্কর গুহ নিয়োগীর হত্যাকাণ্ডের পর বোম্বের আরেক জনপ্রিয় ইউনিয়ন নেতা দত্তাত্রেয় সামন্ত-র হত্যাকাণ্ড ঘটে।[৬]
চিত্রা মুদগলর পথপ্রদর্শক এবং পরামর্শদাতা দত্ত সামন্তের হত্যাকাণ্ড তাঁকে "চূর্ণবিচূর্ণ" করে দিয়েছিল। তাঁর উপন্যাস আভানের ভিত্তি হয়ে উঠেছিল এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।[৩]