চেঙ্গলপট্টু செங்கல்பட்டு | |
---|---|
শহর | |
![]() চেঙ্গলপট্টু থেকে অনতিদূরে অবস্থিত কোলবাই হ্রদ | |
তামিলনাড়ুতে চেঙ্গলপট্টুর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১২°৪১′ উত্তর ৭৯°৫৯′ পূর্ব / ১২.৬৮৩° উত্তর ৭৯.৯৮৩° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
অঞ্চল | তোণ্ডাইমণ্ডলম |
জেলা | চেঙ্গলপট্টু |
অন্য নাম | চিংলেপাট বা চিংলেপেট |
ডাকনাম | চেন্নাইয়ের প্রবেশদ্বার |
সরকার | |
• ধরন | প্রথম শ্রেণীর পৌরনিগম |
• শাসক | চেঙ্গলপট্টু পৌরনিগম |
• জেলা সমাহর্তা | এ.জন লুইস (আইএএস) |
আয়তন | |
• মোট | ১৬ বর্গকিমি (৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৩৬ মিটার (১১৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬২,৭৫৯ |
• জনঘনত্ব | ৩,৯০০/বর্গকিমি (১০,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০৩০০১, ৬০৩০০২, ৬০৩০০৩, ৬০৩০০৪. |
টেলিফোন কোড | +৯১-৪৪ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-19 (টিএন-১৯) |
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র | কাঞ্চীপুরম[১] |
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র | চেঙ্গলপট্টু বিধানসভা কেন্দ্র |
ওয়েবসাইট | chengalpattu |
চেঙ্গলপট্টু, বা চিংলেপাট, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত চেঙ্গলপট্টু জেলার সদর শহর। পূর্বতন কাঞ্চীপুরম জেলা থেকে এই নতুন জেলাটি গঠিত হয়েছে৷ শহরটি রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ৫৬ কিলোমিটার (৩৫ মাইল) দক্ষিণে ৩২ নং জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত। চেঙ্গলপট্টু জংশন রেলওয়ে স্টেশন, দক্ষিণ রেলের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশন রেলওয়ে স্টেশন।
চেঙ্গলপট্টু সরকারি হাসপাতাল শহরের ল্যান্ডমার্ক এবং জেলার বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালটিতে নিজস্ব চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় রয়েছে। শহর থেকে রয়েছে জেলা আদালতের মূল দপ্তর এবং ডঃ আম্বেদকর ল কলেজ।
মনে করা হয় এই শহরটির নাম এসেছে স্থানীয় এক প্রকার লিলি ফুল থেকে যা 'চেঙ্কলুনীর পূ' নামে পরিচিত। পূর্বে এই অঞ্চলে এই প্রকার লিলি ফুল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। পালার নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি চেন্নাইয়ের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র ও প্রগতিশীল ছোট শহরগুলির একটি।
চেঙ্গলপট্টুর ইতিহাস খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দী চোল সাম্রাজ্যের সময়কালীন৷[২] ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে তালিকোটা যুদ্ধে দাক্ষিণাত্য সালতানাত বিজয়নগর সাম্রাজ্য আক্রমণের পূর্ববর্তী এই শহরটি ছিল বিজয়নগর রাজাদের রাজধানী।[৩] এখানে রয়েছে খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে বিজয়নগর রাজাদের দ্বারা নির্মিত চেঙ্গলপট্টু দুর্গ এবং পরিধিস্থ হ্রদ।[৩]
১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় শাসক তথা নায়করা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্যবসায়িক কাজে সমুদ্র তট বরাবর বেশকিছু জমি প্রদান করতে সম্মতি দান করেছিলেন।[৩] দান করা একই জমি মাদ্রাজ বা বর্তমানে চেন্নাই শহরের প্রাণকেন্দ্র। ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে ফরাসিরা চেঙ্গলপট্টু ওপর নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেন। ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দের রবার্ট ক্লাইভের তৎপরতায় তা আবার পুনরুদ্ধার হয়।[৩]
ব্রিটিশ শাসনের সাথে মহীশূরের হায়দার আলী শহরটিতে সৈন্য আটক করা হয়েছিল।১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে কলনেল বেইলি পরাস্ত হলে স্যার হেক্টর মুনরো গুপ্তাবাসে যান।[৩] ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে এই শহরটি মৃৎশিল্প এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রিকে কেন্দ্র করে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।[৩] এছাড়াও শহরকে কেন্দ্র করে রেশম ও সুতির বুনন, নীল উৎপাদন সিগার ফ্যাক্টরি এবং সমুদ্রতট বরাবর মূল্যবান লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে।
চেঙ্গলপট্টুর অবস্থান ১২°৪২′ উত্তর ৭৯°৫৯′ পূর্ব / ১২.৭° উত্তর ৭৯.৯৮° পূর্ব রেখার মধ্যে।[৫] শহরটির গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ৩৬ মিটার। চেঙ্গলপট্টুর বৃহত্তম হ্রদটি হল কোলবাই হ্রদ।
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে চেঙ্গলপট্টুর মোট জনসংখ্যা ৬২,৫৭৯ জন, প্রতি হাজার পুরুষে এখানে ১,০২০ জন নারী বাস করেন, যা গড় জাতীয় লিঙ্গানুপাত ৯২৯ থেকে অধিক৷[৬] ছয় বছর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ৫,৮৮৪ যার মধ্যে শিশুপুত্র ৩,০৪৫ জন ও শিশুকন্যা ২,৮৩৯ জন৷ তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনুপাত যথাক্রমে ১৫.৫৫ শতাংশ এবং ১.৪৪ শতাংশ। শহরটির গড় সাক্ষরতার হার ৮৩.২৫ শতাংশ, যা জাতীয় গড় সাক্ষরতার হার থেকে অনেক বেশি।[৬] শহরটিতে মোট পরিবার সংখ্যা ১৫,৬৭৫ টি। মোট শ্রমজীবী সংখ্যা ২৩,৯৩৭ জন, যার মধ্যে ২৬৪ জন কৃষক ২১৫ জন কৃষিজীবী, ৪৭৫ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত, ১৯,৩৭৬ জন অন্যান্য শ্রমজীবী, ৩,৬০৭ জন প্রান্তিক শ্রমজীবী, ১২৭ জন প্রান্তিক কৃষক, ৬৬ জন প্রান্তিক কৃষিজীবী, ১৭৫ জন প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত, ৩,২৩৯ অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী।[৭]