ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারি | ||||||||||||||
পরিচালক | মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড(এমআইএএল) | ||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | মুম্বই মহানগর অঞ্চল | ||||||||||||||
অবস্থান | মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত | ||||||||||||||
চালু | ১৯৪২ | ||||||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||||||
মনোনিবেশ শহর | |||||||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১১ মিটার / ৩৭ ফুট | ||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ১৯°০৫′১৯″ উত্তর ৭২°৫২′০৫″ পূর্ব / ১৯.০৮৮৬১° উত্তর ৭২.৮৬৮০৬° পূর্ব | ||||||||||||||
ওয়েবসাইট | www | ||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||
| |||||||||||||||
পরিসংখ্যান (২০১৯-২০) | |||||||||||||||
| |||||||||||||||
ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মুম্বাই (মারাঠি: छत्रपती शिवाजी महाराज आंतरराष्ट्रीय विमानतळ) (আইএটিএ: বিওএম, আইসিএও: ভিএবিবি) হ'ল ভারতের মুম্বই মহানগর অঞ্চলে উড়ান পরিষেবা পরিবেশনকারী প্রাথমিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা আগে সাহার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি দিল্লির পরে মোট আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর এবং এশিয়ার ১৪তম ব্যস্ত বিমানবন্দর ও ২০১৭ সালে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ২৮তম ব্যস্ত বিমানবন্দর ছিল।[৪] বিমানবন্দরটি ২০১৮ সালে ৪৯.৮ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। এটি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও দেশের বিমানবন্দরসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিমানবন্দরটি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে নির্দিষ্ট সময়ে শুধুমাত্র একটি রানওয়ে দ্বারা পরিচালিত বিমানবন্দর হিসাবে লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দরকে অতিক্রম করে বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের স্থান অর্জন করে। মুম্বাইয়ের যাত্রী সংখ্যা হ্রাসের কারণে ২০১৯ সালে শেষে গ্যাটউইক বিমানবন্দরটি মুম্বইকে যাত্রী সংখ্যা দ্বারা অতিক্রম করে।[৫] বিমানবন্দরের আইএটিএ কোড বিওএম শহরের পূর্বের বৈধ নাম "বোম্বাই" এর সাথে সম্পর্কিত।
বিমানবন্দরে মোট ৭৫০ হেক্টর জমিতে (১,৮৫০ একর) বিস্তৃত তিনটি সক্রিয় টার্মিনাল রয়েছে[৬] এবং প্রতিদিন প্রায় ৯৫০ টি উড়ানের উড্ডয়ন ও অবতরণ পরিচালিত হয়। এটি ২০১৮ সালের ৯ই ডিসেম্বর নথিভুক্ত ১,০০৭ টি উড়ান পরিচালনা করে, যা ২০১৮ সালের জুন মাসে একদিনে ১,০০৩ টি উড়ান চলাচলের পূর্ববর্তী রেকর্ডের চেয়ে বেশি। বিমানবন্দরটি ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এক ঘণ্টায় ৫১ টি উড়ান পরিচালনা করে।[৭] এটি বিমানবন্দর কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা বছরে ৪০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রী পরিচালনাকারী বিমানবন্দরসমূহের সর্বোচ্চ শ্রেণিতে ২০১৭ সালের বিমানবন্দরের পরিষেবা মানের পুরস্কার বিভাগে আইজিআই দিল্লির পাশাপাশি "বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর" হিসাবে বিবেচিত হয়।[৮] বিমানবন্দরটি এছাড়াও স্কাইট্রেক্স ২০১৬ বিশ্ব বিমানবন্দর পুরস্কারের অন্তর্গত "ভারত ও মধ্য এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিমানবন্দর" পুরস্কার অর্জন করে।[৯] এটি সময় মতো উড্ডয়ন ও অবতরণ নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরের সহযোগিতামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ (এ-সিডিএম) বাস্তবায়নকারী ভারতের তিনটি বিমানবন্দরের মধ্যে একটি।[১০] মুম্বই বিমানবন্দর ২০২০ অর্থবর্ষে ৪৫.৮৭ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে, যা বিমানবন্দরটিকে ৬৭.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনকারী আইজিআই এর পরে ভারতে দ্বিতীয় ব্যস্তত্তম বিমানবন্দরে পরিণত করে।[১১]
বিমানবন্দরটি ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও জিভিকে ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের যৌথ উদ্যোগ মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এমআইএএল) দ্বারা পরিচালিত হয়,[১২] যা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিযুক্ত করা হয়।[১৩] নতুন সুসংহত টার্মিনাল টি২ ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়[১৪] এবং ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিয়াকলাপের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।[১৫] উক্ত দিনে মূল ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের[১৬] সাথে নতুন টার্মিনালের সংযোগ-রক্ষাকারী একটি উত্সর্গীকৃত ছয় লেন বিশিষ্ট উত্তোলিত সড়কও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।[১৭]
আরএএফ সান্তাক্রুজ ১৯৩০-এর দশকে নির্মিত হয়। [20] এটি নিকটবর্তী জুহু অ্যারোড্রোমের চেয়ে বড় এয়ারফিল্ড ছিল এবং এখানে ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেশ কয়েকটি আরএএফ স্কোয়াড্রন অবস্থান করে। [২১] বিমানবন্দরটি প্রায় ১,৫০০ একর (৬১০ হেক্টর) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং প্রাথমিকভাবে তিনটি রানওয়ে ছিল। [[২২]
বিমানবন্দর দুটি যাত্রীবাহী টার্মিনাল নিয়ে গঠিত: অভ্যন্তরীণ বিমানের জন্য সান্তাক্রুজে টার্মিনাল ১ এবং আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় উড়ানের জন্য সাহার টার্মিনাল ২। উভয় টার্মিনাল একই বিমান ক্ষেত্রের সুবিধা ব্যবহার করে, তবে তারা শারীরিকভাবে শহরতলিতে পৃথক, টার্মিনাল দুটির মধ্যে চলাচলের জন্য ১৫-২০-মিনিটের (ল্যান্ডসাইড) সময় প্রয়োজন হয়।
বিমানবন্দরটিতে দুটি ছেদকৃত রানওয়ে রয়েছে। কেবলমাত্র ১ নং রানওয়ে কোড এফ-তে উন্নীত হয়েছে, যার অর্থ তারা এয়ারবাস এ৩৮০ এর মতো বৃহত্তর বিমান ধারণ করতে পারে।[১৮] ২০১১ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যের বিমান পরিবহন পরিষেবা সরবরাহকারী এনএটিএস বিমানবন্দরের সক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে তার একটি উপস্থাপনা অনুসরণ করে, এমআইএএল বিমানবন্দরে যানজট কমানোর প্রয়াসে এক ঘণ্টা ৪৮ টি বিমান চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। উভয় রানওয়ে একসাথে পরিচালিত হয় বিশেষত ব্যস্ত সময়গুলিতে এই লক্ষ্যটি অর্জন করার জন্য।[১৯]
দিল্লি , হায়দরাবাদ , বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই-এর মতো এটি ভারতের লেভেল ৩ বিমানবন্দর (সমন্বিত বিমানবন্দর) । যার অর্থ এখানে প্রতিটি এয়ারলাইন্স এর জন্য নির্দিষ্টি সময় বরাদ্দ থাকে বিমান উঠা-নামার জন্য। নতুন কোনো উত্তরণ-অবতরণের জন্য পূর্বে অনুমতি নিতে হয় নতুবা জরিমানা বহন করতে হয়।
January 2017: 4,114,568
February 2017: 3,590,011
March 2017: 3,674,156
April–December 2017: 35,825,524
উইকিমিডিয়া কমন্সে ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।