ছাতুর যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
মুসলিম | কুরাইশ | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
মুহাম্মাদ | আবু সুফিয়ান | ||||||
শক্তি | |||||||
অজ্ঞাত | ২০০[১] | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
নিহত ২ | ০ |
গাজওয়ায়ে সাভীক বা ছাতুর যুদ্ধ [২] ২ হিজরির জিলহজ মাসে সংঘটিত হয়।
বদরের যুদ্ধের পর আবু সুফিয়ান শপথ নিয়েছিলেন যে বদরের বদলা নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গোসল করবেন না। এ উদ্দেশ্যে তিনি দুইশত অশ্বারোহী নিয়ে মদিনা থেকে ১২ মাইল দূরে কানাত উপত্যকার শেষে অবস্থিত সাইব পর্বতের প্রান্তে তাবু স্থাপন করেন।[১] সরাসরি আক্রমণ না করে তিনি ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। তিনি রাতের বেলা গোপনে বনু নাদির গোত্রের বসতিতে উপস্থিত হন। কিন্তু ফলাফল খারাপ হতে পারে ভেবে গোত্রের প্রধান হুয়াই ইবনে আখতাব আবু সুফিয়ানকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এরপর আবু সুফিয়ান বনু নাদিরের আরেক নেতা ও গোত্রের কোষাধ্যক্ষ সাল্লাম ইবনে মিশকামের সাথে সাক্ষাৎ করেন।[১][৩] আবু সুফিয়ান এসময় সাল্লাম ইবনে মিশকামের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন। সাল্লাম তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং মদিনার সম্পর্কে গোপন তথ্য দেন। রাতে আবু সুফিয়ান ফিরে এসে তার দলের সাথে মিলিত হন। মদিনার পাশে উরাইদ নামক স্থানে হামলার জন্য তিনি তার বাহিনীর লোকদেরকে প্রেরণ করেন। এসময় বাহিনীটি এখানকার খেজুর গাছ কেটে ফেলে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। আক্রমণকালে এখানে থাকা দুই মুসলিমকে হত্যা করা হয়। এরপর তারা মক্কা পালিয়ে যায়।[১]
খবর পাওয়ার পর মুহাম্মাদ মদিনা পরিচালনার দায়িত্ব আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনজিরকে প্রদান করেন এবং মুসলিমদের একটি বাহিনী নিয়ে কুরাইশদের পিছু নেন। তবে কুরাইশরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আক্রমণ করা সম্ভব হয়নি। মুসলিমরা কারকারাতুল কুদর পর্যন্ত কুরাইশদের পশ্চাদ্ধাবন করেছিল। পালিয়ে যাওয়ার সময় কুরাইশ দলটি বোঝা কমানোর জন্য তাদের কিছু ছাতু ও মালপত্র ফেলে যায়। এগুলি মুসলিমদের হস্তগত হয়।[১][৪][৫]