ছিপ মাছ ধরার সরঞ্জাম বিশেষ। ছিপ ফেলে মাছ ধরা পৃথিবীব্যাপী মানুষের অন্যতম একটি শখ। বাশেঁর শক্ত ও দৃঢ় কাঠিতে সূতা বেঁধে পানিতে ছেড়ে দেয়া হয়। সূতার অন্য প্রান্তে থাকে লোহার তৈরী বড়শী। বড়শীতে টোপ লাগিয়ে ছিপ ফেলা হয়। মাছ টোপ গিললে সূতায় টান পড়ে এবং তখন ছিপ দ্রুত টেনে তোলা হয়। সূতার মাঝামাঝি থাকে ফাৎনা যা পানিতে ভেসে থাকে। টোপে মাছ ঠোকর দিলে ফাৎনা নড়ে ওঠে। টোপ-গেলা মাছ নড়াচড়া শুরু করলে ফাৎনা নড়তে থাকতে, ডুবু ডুবু হয়। তাতে বোঝা যায় মাছ টোপ গিলেছে। তখন ছিপ দ্রুত তুলে নিতে হয়। বাশেঁর তৈরী পাত্র খালুইয়ে ধৃত মাছ রাখা হয়।
বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের প্রধান উপকরণ ছিপ। ছিপ তৈরির কঞ্চে বাঁশ ক্রয় করার পর বাঁশ চেছে, ছেক দিয়ে আকা-বাঁকা সোজা করা হয়।
সারাবছর ছিপের চাহিদা থাকলেও আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস এর ভরা মৌসুম। এই সময়ে সারাদেশে ছিপ কেনা বেচা হয়।
ছিপ দিয়ে মাছ ধরার আইন ও বিধিমালাগুলি প্রায়শই আঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে সাধারণত অনুমতি (লাইসেন্স), বন্ধ সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত থাকে যেখানে নির্দিষ্ট প্রজাতির ফসল কাটার জন্য অনুপলব্ধ থাকে, গিয়ারের প্রকারের উপর বিধিনিষেধ এবং কোটা থাকে।
আইনগুলি সাধারণত মুখের বাইরে হুকের সাহায্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ (ফাউল হুকিং, "স্ন্যাগিং" বা "জাগিং" [১]) বা জব্দকৃত মাছ ধরতে সহায়তা ছাড়া অন্যত্র জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিছু প্রজাতি, যেমন টোপের মাছ এবং কিছু খাবার জালে সাথে নেওয়া যেতে পারে। কখনও কখনও, (অ-খেলাধুলা) টোপের মাছ কম মূল্যের বিবেচিত হয় এবং স্ন্যাগিং, তীর-ধনুক বা বর্শার মতো পদ্ধতিতে এগুলি গ্রহণ করা জায়েয হতে পারে। এগুলির কোনও কৌশলই ছিপের সংজ্ঞা অনুযায়ী আসে না কারণ তারা একটি হুক এবং সুতা ব্যবহারের উপর নির্ভর করে না।