ছোট উদয়পুর জেলা | |
---|---|
জেলা | |
![]() গুজরাতের একটি জেলা | |
দেশ | ![]() |
ভারতের রাজ্য এলাকা | গুজরাত |
আয়তন | |
• মোট | ৩,০৮৭ বর্গকিমি (১,১৯২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৯,৬১,১৯০ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | গুজরাতি, মারাঠি, হিন্দি, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতের সময় মান (আইএসটি) (ইউটিসি+5:30) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-GJ |
যানবাহন নিবন্ধন | GJ 34 |
জলবায়ু | অর্ধ-শুষ্ক জলবায়ু (কোপেন) |
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা | ১২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস |
গ্রীষ্মকালীন গড় তাপমাত্রা | ২৬-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস |
শীতকালীন গড় তাপমাত্রা | ১২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস |
ওয়েবসাইট | gujaratindia |
ছোট উদয়পুর ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জেলা। ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি এটি বড়োদরা জেলা থেকে আলাদা হয়ে জন্মলাভ করে। এটি গুজরাত রাজ্যের ২৮ তম জেলা, যার সদর ছোট উদয়পুর শহরে অবস্থিত।[১]
জেলাটি মোট ছয়টি তালুকা- ছোট উদয়পুর, পাভি জেতপুর, কাভান্ত, নাসবাড়ি, সনখেড়া এবং নবগঠিত বড়েলি তালুকা নিয়ে গঠিত। [২] এর জেলা সদর সদর ছোট উদয়পুরে অবস্থিত।[৩]
বিকেন্দ্রীকরণ ও সরকারি সুযোগসুবিধা প্রাপ্যতা সহজতর করার জন্য জেলাটি সৃষ্টি করা হয়েছিল[৪][৫] ২০১২ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলাটি সৃষ্টির ঘোষণা দেয়া হয়। গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে উপজাতিদের ভোট আকৃষ্ট করার সরকারি কৌশল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। [৬]
ছোট উদয়পুর একটি উপজাতি অধ্যুষিত জেলা, বড়োদরা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে এর জেলা সদর অবস্থিত। মধ্য প্রদেশ রাজ্যের সাথে এর সীমানা রয়েছে। পূর্ব গুজরাতে উপজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলোর মধ্যে নর্মদা ও তাপির পর ছোট উদয়পুরের অবস্থান। [৭][৮]
ছোট উদয়পুরের ৭৫,৭০৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি রয়েছে। এ জেলায় ডলোমাইট, ফ্লুয়োরাইট, গ্রানাইট ও বালির মতো খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত উত্তোলন করা হয়। এছাড়া এ জেলায় অনেক দুগ্ধখামারও গড়ে উঠেছে। এখানে বসবাসরত রাঠ্য উপজাতি মদ ও দুধের সাথে রঙ মিশিয়ে পিঠোরা নামক দেয়ালচিত্র ও নকশা অঙ্কন করে এবং তাদের গ্রামের বাড়িঘর সাজিয়ে তোলে। [৯]
এককালে গুজরাতের রাজকীয় প্রদেশ হিসেবে খ্যাত ছোট উদয়পুর উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। শুধু রাজকীয় প্রাসাদ নয়, জেলাটি আদিবাসীদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে।রাঠ্য সম্প্রদায়ের নিবাস-উপজাতিদের গ্রামে বিচরণ করার জন্য ছোট উদয়পুর শহরটি হতে পারে আদর্শ ঘাঁটি। এখানকার উপজাতি জাদুঘরটিতে রয়েছে সমৃদ্ধ লোকজ ও সাংস্কৃতিক সংগ্রহ। প্রতি শনিবার সেখানে আদিবাসীদের বাজার বসে, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের সৃষ্ট পিঠোরা চিত্রকর্ম ও টেরাকোটা ঘোড়া নিয়ে জড়ো হন। [১০]
একটি বড় হ্রদের তীরে অবস্থিত ছোট উদয়পুরের দিগন্তরেখা ঘেঁষে রয়েছে বেশ কিছু মন্দির। বিশের দশকে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা যেমন, কুসুম ভিলা প্রাসাদ (বর্তমানে একটি ঐতিহ্যবাহী হোটেল) ও প্রেম ভবন দর্শনীয় স্থান হিসেবে স্বীকৃত (তবে পরিদর্শনে যাওয়ার আগে স্থানীয় রাজপরিবারের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন হয়)। তৎকালীন রাজপরিবারের গ্রীষ্মকালীন বাগানবাড়ি হিসেবে নির্মিত কালি নিকেতন (নাহার মহল) ছোট উদয়পুরের প্রসিদ্ধ স্থাপত্যকীর্তি। [১১] ঐতিহ্যবাহী জৈন স্থাপনাগুলোর মধ্যে এক বিরল নিদর্শন এবং ভিক্টোরিয়ান যুগের স্থাপত্যশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত জৈন মন্দিরও বেশ দর্শনীয় স্থাপনা।
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। The Indian Express। ১৭ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩।