ছোট নাগপুরের দেশীয় রাজ্যসমূহ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্যের সমষ্ট | |||||||||
১৮২১–১৯৪৭ | |||||||||
![]() | |||||||||
আয়তন | |||||||||
• 1881 | ৪১,৫৮০ বর্গকিলোমিটার (১৬,০৫০ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• 1881 | 678,002 | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• Sanads issued to Chota Nagpur rulers | ১৮২১ | ||||||||
১৯৪৭ | |||||||||
| |||||||||
বর্তমানে যার অংশ | Chhattisgarh, Jharkhand and Odisha |
ছোট নাগপুরের দেশীয় রাজ্যসমূহ [১] বা ছোট নাগপুর রাজ্যসমূহ ছিল ছোট নাগপুর মালভূমিতে অবস্থিত ব্রিটিশ ভারতের নয়টি অ-স্যালুট করদ রাজ্য (অপ্রধান রাজ্য ) একটি দল। রাজ্যগুলির উপর ব্রিটিশ আধিপত্য বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি সরকারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছিল।
মোট নয়টি রাজ্য এই সমষ্টির অন্তর্ভূক্ত ছিল। ভারতের স্বাধীনতার পর এগুলো মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশা রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। [২]
অষ্টাদশ শতাব্দীতে, রাজ্যগুলি মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রভাব বলয়ে আসে। তবে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধের ফলস্বরূপ তারা ব্রিটিশ ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।
১৯০৫ সালের অক্টোবরে, চাং ভাকর, জশপুর, কোরিয়া, সারগুজা এবং উদয়পুরের হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির উপর ব্রিটিশ প্রভাবের বিষয়টি বাংলা প্রশাসন থেকে মধ্য প্রদেশে স্থানান্তর করা হয়। একই সময়ে দুটি ওড়িয়া-ভাষী রাজ্য গাংপুর এবং বোনাই উড়িষ্যার দেশীয় রাজ্যসমূহের সাথে সংযুক্ত ছিল এবং কেবলখারসাওয়ান এবং সরাইকেলা বাংলার গভর্নরের কাছে দায়বদ্ধ ছিল।[৩]
১৯৩৬ সালে নয়টি রাজ্যকে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এজেন্সিতে স্থানান্তর করা হয়। এর কর্মকর্তারা কোনও প্রদেশের অধীনে না হয়ে ভারতের গভর্নর-জেনারেলের সরাসরি কর্তৃত্বের অধীনে আসেন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর, রাজ্যগুলো শাসকদের সকলেই ভারত অধিরাজ্যে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়। চাংভাকর, যশপুর, কোরিয়া, সুরগুজা এবং উদয়পুর পরবর্তীতে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে গাংপুর ও বনাই ওড়িশা রাজ্যের এবং খরসাওয়ান ও সারাইকেলা বিহার রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। [৪]
২০০০ সালের সালের নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশ ও বিহার থেকে যথাক্রমে ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডকে পৃথক করা হয়। ফলে দেশীয় রাজ্যগুলো বর্তমান ভারতের ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার অংশ।
নিম্নলিখিত রাজ্যগুলিকে সম্মিলিতভাবে 'ছোটা নাগপুর দেশীয় রাজ্য' বলা হতো :