জঙ্গল তরাই | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের অঞ্চল | |||||||
১৮শ শতাব্দী–১৮০৫ | |||||||
জঙ্গল তরাই জেলার মানচিত্র, ১৭৭৯ | |||||||
ইতিহাস | |||||||
• অঞ্চল নির্ধারণ ও মানচিত্র নির্মাণ | ১৮শ শতাব্দী | ||||||
• জঙ্গল মহল জেলার প্রতিষ্ঠা | ১৮০৫ | ||||||
|
জঙ্গল তরাই (হিন্দি: जंगल तराई) হল অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলা ও বিহারের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চলের নাম। ভাগলপুর, মুঙ্গের ও সাঁওতাল পরগনা জেলাকে ওই জঙ্গল তরাই বলা হত।
জঙ্গল তরাইয়ের এই জাতীয় নামকরণ করা হলেও এটি সরকারিভাবে জেলা ঘোষিত হয়নি। এটি ছিল একটি অস্পষ্ট সীমান্ত এলাকা। ১৮০৫ সালে এই অঞ্চলের অংশবিশেষ নিয়ে জঙ্গল মহল জেলা গঠিত হয়।[১]
আধুনিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অংশবিশেষ নিয়ে জঙ্গল তরাই অঞ্চলটি গঠিত হয়েছিল। এটি ছিল সাঁওতাল ও মুন্ডা উপজাতি অধ্যুষিত একটি ঘন বনাঞ্চল। উইলিয়াম হোজেস লিখেছেন, জঙ্গল তরাই ভাগলপুরের পশ্চিমে অবস্থিত ছিল।[২]
রাজমহল পাহাড় এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। জেমস ব্রাউনের মতে, এই অঞ্চলের অন্তর্গত শহরগুলি হল ভাগলপুর, খড়গপুর, কহলগাঁও, বীরভূম, খড়গডিহা ও গিধৌর।[৩]
জেমস রেনেলের ১৭৭৯ সালের বেঙ্গল অ্যাটলাস মানচিত্রে জঙ্গলটেরি ডিস্ট্রিক্ট নামে একটি অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া যায়।[২] তবে নামটি ম্যাপে উল্লিখিত হয়নি। বিশপ রেজিনাল্ড হেবার লিখেছেন, “জঙ্গলটেরি” অঞ্চলটি খুবই উর্বর এবং এই অঞ্চলে চুরিচামারি, খুনখারাপি ও রাজাজানি প্রায় হয় না বললেই চলে।[৪]
টেমপ্লেট:Historical districts of India