জন আইকিন | |
---|---|
জন্ম | কিবওয়ার্থ হারকোর্ট, লিসেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৫ জানুয়ারি ১৭৪৭
মৃত্যু | ৭ ডিসেম্বর ১৮২২ স্টোক নিউটন, মিডলসেক্স, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭৫)
জাতীয়তা | ইংরেজ |
পেশা | ডাক্তার, লেখক |
জন আইকিন (১৫ জানুয়ারী ১৭৪৭ – ৭ ডিসেম্বর ১৮২২) একজন ইংরেজ চিকিৎসক এবং লেখক ছিলেন।
জন আইকিন ইংল্যান্ডের লিসেস্টারশায়ার কিবওয়ার্থ হারকোর্টে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন ড. জন আইকিন। তিনি ওয়ারিংটনের ননকর্মফর্মিস্ট একাডেমিতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন, যেখানে তাঁর বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং লন্ডনে ডঃ উইলিয়াম হান্টারের অধীনে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি চেস্টার এবং ওয়ারিংটনে শল্যচিকিৎসক হিসাবে অনুশীলন করেছিলেন। অবশেষে, তিনি হল্যান্ডের লাইডেনে চলে যান, ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে এমডি ডিগ্রী অর্জন করেন , এবং ১৭৮৪ সালে গ্রেট ইয়ারমাউথে একজন ডাক্তার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।[১]
১৭৯২ সালে তারঁ একটি পত্রিকার বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ উঠলে তিনি লন্ডনে চলে যান, যেখানে তিনি সাধারণ চিকিৎসক হিসাবে অনুশীলন শুরু করেন। তিনি স্টোক নিউইংটনের চার্চ স্ট্রিটে থাকতেন। তবে নিজের পেশাগত দায়িত্বের চেয়ে বিবেকের স্বাধীনতার প্রচার ও অনুশীলনেই বেশি মনোযোগী ছিলেন এবং প্রথম দিকে সাহিত্যের সেবায় নিজেকে অবিরামভাবে নিয়োজিত করেন। যখন রিচার্ড ফিলিপস ১৭৯৬ সালে দি মান্থলি ম্যাগাজিন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আইকিন এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বোন আন্না লায়েটিয়া বারবাউল্ডের সাথে একত্রিত হয়ে তিনি প্রাথমিক পারিবারিক পাঠের জন্য ইভিনিংস্ অ্যাট হোম (৬ খণ্ড, ১৭৯২-১৭৯৫) নামে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক খণ্ড প্রকাশ করেছিলেন, যা প্রায় প্রতিটি ইউরোপীয় ভাষায় অনুবাদিত হয়েছিল। [১]
১৭৯৮ সালে আইকিন চিকিৎসা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন শিল্প সাহিত্যে নিজেকে নিবেদিত করেন, যার মধ্যে তাঁর জেনারেল বায়োগ্রাফি' (১০ খণ্ড, ১৭৯৯ - ১৮১৫) উল্লেখযোগ্য।। তাঁর অন্যান্য রচনার মধ্যে বায়োগ্রাফিকাল মেমোরিস অব মেডিসিন ইন গ্রেট ব্রিটেন (১৭৮০) এবং দ্য লাইভস অফ জন সেল্ডেন, এসকিউ, এন্ড আর্চবিশপ উশার (১৮১২) অন্তর্ভুক্ত। [১] ১৭৯৬ থেকে ১৮০৭ সাল পর্যন্ত দ্যা মান্থলি ম্যাগাজিন এবং ১৮১১ থেকে ১৮১৫ পর্যন্ত ডডসলেই অ্যানুয়াল রেজিস্ট্রি সম্পাদনা করা ছাড়াও,[২] তিনি ১৮৮৭ থেকে ১৮০৯ সালে দ্য অ্যাথেনিয়াম নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
আইকিনের তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে মোট চারজন সন্তান ছিল। [৩] জ্যেষ্ঠ পুত্র আর্থার ছিলেন একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং কনিষ্ঠতম পুত্র এডমন্ড ছিলেন একজন স্থপতি। দ্বিতীয় পুত্র চার্লস গৃহীত হয়েছিলো আইকিনের বোন দ্বারা, যার নিজের কোনও সন্তান ছিল না। চার্লসের মাধ্যমে আইকিন, লেখক অ্যানা লেটিসিয়া লে ব্রেটনের দাদা ছিলেন। তাঁর কন্যা লুসি একজন জীবনীবিদ ছিলেন, যিনি ১৮২৩ সালে মেমোইর অব জন আইকিন, এমডি, উইথ অ্যা মিসস্যালেনিয়াস পিসেস, বায়োগ্রাফিকাল, মোরাল এন্ড ক্রিটিকাল প্রকাশ করেছিলেন।