জন বার্জার | |
---|---|
স্থানীয় নাম | John Berger |
জন্ম | জন পিটার বার্জার[১] ৫ নভেম্বর ১৯২৬ স্টোক নিউইংটন, লন্ডন, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২ জানুয়ারি ২০১৭ অঁতনি, ও-দ্য-সেন, ফ্রান্স | (বয়স ৯০)
পেশা |
|
ভাষা | ইংরেজি |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
শিক্ষা | সেন্ট এডওয়ার্ডস স্কুল, অক্সফোর্ড |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | চেলসি কলেজ অব আর্টস সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন |
ধরন | সামাজিক |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কার; বুকার পুরস্কার (১৯৭২) |
সন্তান | ৩ |
জন পিটার বার্জার (৫ নভেম্বর ১৯২৬ - ২ জানুয়ারি ২০১৭) একজন ইংরেজ শিল্প সমালোচক, ঔপন্যাসিক, চিত্রকর ও কবি ছিলেন। তার উপন্যাস জি. ১৯৭২ সালে বুকার পুরস্কার ও জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কার অর্জন করে। শিল্প সমালোচনা নিয়ে রচিত তার প্রবন্ধ ওয়েজ অব সিয়িং থেকে বিবিসি ১৯৭২ সালে একটি চার পর্বের ধারাবাহিক প্রচার করে। এই বইটি প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়ে থাকে। তার রচিত অন্যান্য সামাজিক লেখনী হল আ ফরচুনেট ম্যান: দ্য স্টোরি অব আ কান্ট্রি ডক্টর (১৯৬৭), আ সেভেন্থ ম্যান: মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কস ইন ইউরোপ।
বার্জার ১৯২৬ সালের ৫ই নভেম্বর[১] লন্ডনের স্টোক নিউইংটনে জন্মগ্রহণ করেন।[২][৩] তার পিতা স্ট্যানলি বার্জার ও মাতা মিরিয়াম। তিনি তার পিতামাতার দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ।[৪] তার পিতামহ ইতালির ত্রিয়েস্তের বাসিন্দা ছিলেন।[৫] তার পিতা স্ট্যানলি ধর্ম না পালন করা ইহুদি হিসেবে বেড়ে ওঠেন এবং পরে ক্যাথলিক ধর্মে দীক্ষিত হন।[৬] তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পশ্চিম রণক্ষেত্রে পদাতিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন এবং যুদ্ধে অবদানের জন্য মিলিটারি ক্রস পদক লাভ করেন[৩][৭] ও ওবিই খেতাবে ভূষিত হন।[৮]
বার্জার সেন্ট এডওয়ার্ডস স্কুল, অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেন।[৯] তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১০] তিনি পরবর্তীকালে লন্ডনের চেলসি স্কুল অব আর্ট এবং সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইনে অধ্যয়ন করেন।[১০]
বার্জার তিনটি বিয়ে করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি চিত্রশিল্পী ও মুদ্রালঙ্করিক প্যাট ম্যারিয়টকে বিয়ে করেন। তাদের কোন সন্তান ছিল না এবং বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে।[২] ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি রুশ আনিয়া বস্তককে (আন্না সিসেরমান) বিয়ে করেন। তাদের কাটিয়া বার্জার ও জ্যাকব বার্জার নামে দুই সন্তান ছিল। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[২] কিছুদিন পর তিনি বেভারলি ব্যানক্রফ্টকে বিয়ে করেন। তাদের ইভস নামে এক সন্তান ছিল। বেভারলি ২০১৩ সালে মারা যান।[২]
বার্জার ২০১৭ সালের ২রা জানুয়ারি ৯০ বছর বয়সে ফ্রান্সের অঁতনি শহরে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[১১][১২]