জন ল্যাথাম | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৭ উইনচেস্টার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৯৬)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | প্রকৃতিবিদ, পক্ষীবিদ |
Author abbrev. (zoology) | Latham |
জন ল্যাথাম (জুন ২৭, ১৭৪০ - ফেব্রুয়ারি ৪, ১৮৩৭) একজন ইংরেজ চিকিৎসক, প্রকৃতিবিদ ও লেখক। ১৭৪০ সালে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের এলথ্যামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার শল্যচিকিৎসক জন ল্যাথামের (মৃত্যু, ১৭৮৮) জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন তিনি।[১] তার মাতা ছিলেন ইয়র্কশায়ারের মেয়ে।[২]
ল্যাথামকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ান পক্ষীবিজ্ঞানের জনক। অষ্টাদশ শতকের শেষ দুই দশকে অস্ট্রেলিয়া থেকে যে সমস্ত পাখির নমুনা ইংল্যান্ডে এসে পৌঁছেছিল, ল্যাথাম প্রায় সবগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেন এবং তাদের অনেকগুলোর নামকরণ করেন। এমু, হলদেঝুঁটি কাকাতুয়া, লায়ারবার্ড, যুথ বাবুই, নীলটুনি, অস্ট্রেলিয়ার ছাতারে , হায়াসিন্থ ম্যাকাও ইত্যাদি বহু পাখির নামকরণ তারই অবদান। কেন্টের ডাটফোর্ডে তিনি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি প্রথমবারের মত ডার্টফোর্ড ফুটকি শনাক্ত করেন। ১৭৯৬ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন ও হ্যাম্পশায়ারে স্থায়ী হন। তার প্রধান সৃষ্টিকর্মের অন্যতম হচ্ছে A General Synopsis of Birds (১৭৮১–১৮০১) এবং General History of Birds (১৮২১–১৮২৮)।
পক্ষীবিদ্যা বিষয়ে ল্যাথামের প্রথম সৃষ্টি A General Synopsis of Birds-তে মোট ১০৬টি চিত্রের সন্নিবেশ ঘটিয়েছিলেন তিনি। সবগুলো চিত্রই ছিল তার আঁকা। বিভিন্ন সংগ্রহ ও জাদুঘর থেকে তিনি যে সমস্ত নতুন প্রজাতি শনাক্ত করেছিলেন, প্রায় তার সবগুলোই তিনি এ গ্রন্থে বর্ণনা করেন। জর্জ-লুই ল্যক্লের, কোঁত দ্য বুফোঁর মত তিনিও প্রজাতিসমূহের নামের উপর বেশি জোর দেন নি। পরবর্তীতে ল্যাথাম উপলব্ধি করেন যে শুধুমাত্র লিনিয়াসের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির ব্যবহার প্রজাতি তাকে নতুন বৈজ্ঞানিক নামকরণের সম্মান এনে দেবে। সেকারণে ১৭৯০ সালে তিনি Index Ornithologicus প্রকাশ করেন এবং তার পূর্বে বর্ণিত প্রজাতিসমূহের সঠিক বৈজ্ঞানিক নাম গ্রন্থটিতে উল্লেখ করেন। দুর্ভাগ্যবশত তার আগেই ইয়োহান ফ্রিডরিশ মালিন লিনিয়াসের Systema Naturæর নিজস্ব সংস্করণ রচনা করেন এবং সেখানে ল্যাথাম বর্ণিত প্রজাতিসমূহের নামকরণ করে ফেলেন। সেজন্য সেসব প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নামের ক্ষেত্রে মালিন প্রদত্ত নামগুলোই বেশি প্রাধান্য পায়।