প্রকার | কোমল পানীয় |
---|---|
উৎপাদনকারী | জমজম গ্রুপ |
উৎপত্তির দেশ | ইরান |
প্রবর্তন | ১৯৫৪ |
প্রকারভেদ | কোলা, লেমন, অরেঞ্জ, লেমনেড, ম্যাঙ্গো, মিনারেল পানি |
সংশ্লিষ্ট পণ্য | মক্কা কোলা, কিবলা কোলা, এরাম কোলা, পার্সি কোলা, কোলা তুর্কা, |
ওয়েবসাইট | zamzamgroup |
জমজম (ফার্সি: زمزم, পূর্বনাম: জমজম কোলা) ইরানের জমজম গ্রুপের একটি কোমল পানীয়ের ব্র্যান্ড। কোকাকোলা ও পেপসির বিকল্প হিসেবে এটি মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। জমজম গ্রুপ মোস্তাজাফান ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
১৯৫৪ সালে পেপসির বিকল্প হিসেবে ইরানের প্রথম কার্বনেটেড পানীয় – জমজম কোলা যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর জমজমের নিজস্ব কর্পোরেশন গঠিত হয়।
২০০২ সালে সৌদি আরব কোকাকোলা বয়কট করলে, হজের মৌসুমে জমজম প্রধান কোমল পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।[১]
পণ্যটির নামকরণ করা হয়েছে মক্কার জমজম কূপের নামানুসারে, যা মুসলমানদের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হয়।[২]
জমজমের সদর দপ্তর তেহরানে অবস্থিত। সেখানকার বোতলজাতকরণ কেন্দ্রটি সাধারণ মানুষের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। মানুষ সেখানে পানীয় বোতলজাত করা দেখতে ভিড় করে।
প্রথমে একটি একক উৎপাদন লাইন থাকলেও বর্তমানে এদের ইরানে মোট সতেরোটি পানীয় প্ল্যান্ট আছে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা জমজম গ্রুপের লাইসেন্সের আওতায় জমজম পণ্য উৎপাদন ও বিতরণ করে থাকে। জমজম গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সুসজ্জিত পানীয় কনসেন্ট্রেট প্ল্যান্ট তৈরি করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে জমজম গ্রুপের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে এবং তারা কোলা, লেমন, অরেঞ্জ, লেমনেড, ম্যাঙ্গো, খাবার পানি ও অ্যালকোহলমুক্ত মাল্ট পানীয় সহ শতাধিক বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে থাকে। জমজম সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং এর আশেপাশের অন্যান্য দেশগুলোতেও পাওয়া যায়।