জমিন | |
---|---|
পরিচালক | রোহিত শেঠি |
প্রযোজক | এন আর পাচিশিয়া |
চিত্রনাট্যকার | সুপর্ন বর্মা রবিন ভট্ট |
কাহিনিকার | সুপর্ন বর্মা |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | হিমেশ রেশমিয়া |
চিত্রগ্রাহক | অসীম বাজপেয়ী |
সম্পাদক | বান্টি নাগি |
মুক্তি | ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ |
স্থিতিকাল | ১৫৪ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | ₹ ৩৪.৫ মিলিয়ন (ইউএস$ ৪,২১,৭০৩.৮৫)[১] |
জমিন (হিন্দি: ज़मीन, বাংলা অনুবাদ: ভূমি) ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় বলিউডি অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন রোহিত শেঠি। এটি তার প্রথম পরিচালনা।[২] এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগন, অভিষেক বচ্চন, বিপাশা বসু, মুকেশ তিওয়ারী।[৩][৪]
কর্নেল রণবীর সিং, সন্ত্রাসবাদীদের প্রধান বাবা জাহির খানকে তাড়া করে ধরে ফেলে ও বন্দী করে জেলে পাঠায়। আল তাহির নামের একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বাবা জাহিরকে ছাড়ানোর জন্যে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের দলের কিছু লোককে মুম্বাইতে গোপনে পাঠায় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার তাদের গোপনে সাহায্য করতে থাকে। সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য, আশ্রয়, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি যোগানোর কাজ করে একজন অধ্যাপক ও ফরিদ নামক গ্যারেজ মালিক। এসিস্টেন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (সন্ত্রাসদমন বিভাগ) জয়দেব মালহোত্রা পুলিশ কমিশনারের আদেশে তদন্ত শুরু করে কিন্তু যাদের সে সন্দেহ করে তারা অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে খুন হয়ে যেতে থাকে। মুম্বই পুলিশের সাথে সহযোগীতা করতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দলও আসে মুম্বইতে। সেনার ভেতরে গুপ্তচর বৃত্তি করছিল যে তাকে রণবীর খুঁজে পায়। সে ধরা না দিয়ে আত্মহত্যা করে। কর্নেল রণবীর অতীতে এই জয়দেবকেই সেনাবাহিনী থেকে তার ভুলের জন্যে বরখাস্ত করেছিল। সে বুঝতে পারে বর্তমানে জয়দেব একজন যোগ্য ও সাহসী অফিসার। তাকে নিয়ে একসাথে তদন্ত করে রণবীর। সন্ত্রাসবাদীরা আসলে পরিকল্পনা করেছে একটি বিমান অপহরণ করার। বিমানবন্দরের কিছু কর্মচারীর সাহায্যে তারা অস্ত্রসহ বিমানে ওঠে ও পাইলট বসির আলিকে ভয় দেখিয়ে যাত্রী সমেত নিয়ে যায় পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে। এই প্লেনে জয়দেবের প্রেমিকা নন্দিনীও বিমানসেবিকা হিসেবে পণবন্দী হয়। সন্ত্রাসবাদীরা দাবি করে বাবা জাহিরকে ছাড়লে তবেই বিমানযাত্রীরা মুক্তি পাবে। পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক কথাবার্তা চালালেও তা ফলপ্রসূ হয়না। ভারতীয় প্রতিনিধি দল সন্ত্রাসবাদীদের সংগে আলোচনার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে যান। পরিচয় গোপন করে জয়দেবও যায় তাদের সাথে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনার একটি ছোট কমান্ডো দল রণবীরের নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছে যায়। যুদ্ধের পর তারা পনবন্দী সহ বাবা জাহিরকেও তুলে আনে এবং মাঝরাস্তায় তার গায়ে গ্রেনেড ঢুকিয়ে নিচে ফেলে দেয়। পাইলট বসির নিরাপদে বিমানটিকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন।[৫]
জমিন চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন হিমেশ রেশমিয়া। গানের কথা লিখেছেন সমীর। গান প্রকাশ করেছে টি-সিরিজ।[৬]