জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়ক (এনএইচ ৪৪-এর একটি অংশ) | |
---|---|
পথের তথ্য | |
ভারত জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত | |
দৈর্ঘ্য | ২৯৫ কিলোমিটার (১৮৩ মাইল) |
প্রধান সংযোগস্থল | |
থেকে: | লাল চক, শ্রীনগর জেলা |
পর্যন্ত: | জম্মু, জম্মু জেলা |
অবস্থান | |
প্রধান শহর | শ্রীনগর, পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, রামবন, উধমপুর, জম্মু |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |
জম্মু শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়ক জাতীয় মহাসড়ক ৪৪ এর উত্তরতম অংশ (সকল জাতীয় মহাসড়ক পুনসংখ্যায়নের পূর্বের এটি জাতীয় মহাসড়ক ১এ ছিল)। এটি কাশ্মীর উপত্যকায় শ্রীনগরে শুরু হয়ে দক্ষিণ জম্মু শহরের দিকে গেছে।
কাশ্মীর উপত্যকাকে ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্তকারী দুটি সড়কের মধ্যে এটি একটি, অন্যটি হল মুঘল সড়ক। এর যানচলাচল দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, একটি শ্রীনগরে অপরটি জম্মু শহরে।
মহাসড়কটি শ্রীনগরের লাল চক থেকে শুরু হয়ে পুলওয়ামা জেলা, আনন্তনাগ জেলা, কুলগাম জেলা, রামবন জেলা ও উধমপুর জেলা অতিক্রম করে জম্মুতে গিয়ে শেষ হয়েছে। মহাসড়কটি কাশ্মীর উপত্যকায় ৬৮ কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করেছে (কাজীগান্ড পর্যন্ত), এরপর কিছু ধারাবাহিক পর্বতমালা অতিক্রম করার পর জম্মু পৌছেছে। পর্বতমালাসমূহে, ভারী তুষারপাত ও ঘন ঘন ভূমিধ্বসের কারণে প্রায় সময়ই মহাসড়ক বন্ধ থাকে।
জম্মু ও কাশ্মীর সরকার মহাসড়ক বজায় রাখতে বিভিন্ন উন্নয়ন করে। যাত্রা আরামদায়ক ও সংক্ষিপ্ত করতে অনেক জায়গায় নতুন ও সোজা রোডবেড তৈরি করে। বিশেষকরে টানেলসমূহ, যেমন চেনানী নাশরি সুরঙ্গপথ ও বানিহাল কাজীগান্ড সড়ক সুরঙ্গপথ জম্মু ও শ্রীনগরের ৩০ কিলোমিটার দুরত্ব কমিয়েছে (পূর্বে ২৯৫ কিলোমিটার ছিল) এবং শীতকালীন বন্ধ কমিয়ে দিয়েছে।
এ মহাসড়কেই ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িকে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার লেথপোরায় (আবন্তিপোরারের কাছে) স্করপিও গাড়ি দ্বারা আত্মঘাতী বোমা হামলা করে সন্ত্রাসবাদীরা। এই হামলার ফলে ৪৮ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) কর্মীর এবং আক্রমণকারীর মৃত্যু ঘটে। এই হামলার দায় পাকিস্তান-ভিত্তিক ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদ স্বীকার করেছে।[১]