জয় ম্যাংগ্যানো | |
---|---|
ইংরেজি: Joy Mangano | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | মার্কিন |
শিক্ষা | পেস বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা |
কর্মজীবন | ১৯৮৯-২০১৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যান্থনি মিরেন (বি. ১৯৭৮; বিচ্ছেদ. ১৯৮৯) |
সন্তান | ৩ |
ওয়েবসাইট | joymangano |
জয় ম্যাংগ্যানো (ইংরেজি: Joy Mangano; /mæŋˈɡænoʊ/; জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬)[১] একজন মার্কিন উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা, যিনি সেলফ-রিংগিং মিরাকল মপ উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত।[২][৩] তিনি ইনজিনিয়াস ডিজাইনস এলএলসির প্রধান। ২০১৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত মার্কিন টেলিভিশন শপিং চ্যানেল এইচএসএনে তাকে দেখা যেত।[৪] ম্যাংগ্যানো পরিষ্কারকরণের যন্ত্রপাতি নির্মাতা ও বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠান ক্লিন বসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।[৫]
ম্যাংগ্যানো ২০১৭ সালে তার আত্মজীবনী ইনভেন্টিং জয় প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালের জয় চলচ্চিত্রটি তার জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়। জেনিফার লরেন্স তার চরিত্রে অভিনয় করে সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৬][৭]
২০২১ সালে তিনি ইউএসএ নেটওয়ার্কে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তাদের জন্য আমেরিকা'স বিগ ডিল নামক একটি আপাতবাস্তব টেলিভিশন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে চালু করেন।[৮]
ম্যাংগ্যানো ১৯৫৬ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি ব্রুকলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং হান্টিংটনে বেড়ে ওঠেন।[৯] তিনি কৈশোরে হান্টিংটনের লং আইল্যান্ডে একটি প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে কাজের সময় উদ্ভাবন শুরু করেন। তিনি পোষা প্রাণিদের সুরক্ষিত রাখতে ফ্লুরেসেন্ট ফ্লি কলার তৈরির কথা ভাবেন। এই ধরনের ডিজাইনের একটি পণ্য পরের বছর হার্ট্জ মাউন্টেন তৈরি করে। ১৯৭৮ সালে পেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি খাদ্য পরিবেশক[২] ও বিমানের রিজার্ভেশন ম্যানেজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের চাকরি করেন এবং তালাকপ্রাপ্ত মা হয়ে তিন সন্তানকে লালনপালন করেন।[৩]
ম্যাংগ্যানো তার উদ্ভাবনের জন্য ৭১টি প্যাটেন্ট ফ্যামিলি ও ১২৬টি ভিন্ন প্যাটেন্ট পাবলিকেশন্সের উদ্ভাবক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন।[১০][১১]
১৯৯০ সালে সাধারণ মপের ব্যবহারে ক্লান্ত ম্যাংগ্যানো তার প্রথম উদ্ভাবন "মিরাকল মপ" তৈরি করেন। এটি এক ধরনের স্ব-নিঙ্গড়ান প্লাস্টিক মপ, যা ব্যবহারকারী হাত না ভিজিয়েই নিঙ্গড়ানো যায়। নিজের আয় এবং পরিবার ও বন্ধুদের থেকে ধার করে তিনি একটি ছাঁচ তৈরি করেন এবং ১০০০ একক উৎপাদন করেন।[১২] এটি ১৯৯১ সালে পেকোনিকে তার পিতার দোকানে প্রথম বিক্রি করা হয়।
লং আইল্যান্ডের ট্রেড শো ও স্থানীয় দোকানে বিক্রির পর তিনি কিউভিসির নিকট ১০০০ একক বিক্রি করেন। প্রথম অল্প কিছু বিক্রি হলেও কিউভিসি ম্যাংগ্যানোকে টেলিভিশনে প্রদর্শনের সম্মতি দিলে তিনি আধা ঘন্টার কম সময়ে ১৮,০০০ মপ বিক্রি করেন।[১][১৩] ম্যাংগ্যানো তার ব্যবসায়ের নাম দেন আর্মা প্রডাক্টস এবং পরে এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ইনজিনিয়াস ডিজাইনস। তিনি ১৯৯৯ সালে ইনজিনিয়াস ডিজাইনস ইউএসএ নেটওয়ার্কের কাছে বিক্রি করে দেন।[৩] ২০০০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের মপ বিক্রি করে।[৩]
১৯৯৭ সালে ম্যাংগ্যানো আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং তাকে বর্ষসেরা লং আইল্যান্ডের উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৩] ২০০৯ সালে ফাস্ট কোম্পানির ব্যবসায়ে ১০০ সেরা সৃজনশীল ব্যক্তি তালিকায় ৭৭তম স্থান অধিকার করেন; এবং ২০১০ সালে তাদের ব্যবসায়ে ১০ সবচেয়ে সৃজনশীল নারী তালিকায় তালিকাভুক্ত হন।[১৪]
জেনিফার লরেন্স ২০১৫ সালে ডেভিড ও. রাসেলের জয় চলচ্চিত্রে ম্যাংগ্যানোর জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৫] ম্যাংগ্যানো এতে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬][৭]
১৯৭৮ সালে পেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার কিছুদিন পর তিনি টনি মিরেনকে বিয়ে করেন।[১৬] ১৯৮৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[১৬] তার তিন সন্তান - ক্রিস্টি, রবার্ট ও জ্যাকলিন মিরেন।[১৬]