জয়ন্তী নটরাজন | |
---|---|
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) | |
কাজের মেয়াদ ১২ই জুলাই ২০১১ – ২০শে ডিসেম্বর ২০১৩ (পদত্যাগ) | |
প্রধানমন্ত্রী | মনমোহন সিং |
কয়লা, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৭ – ১৯৯৮ | |
প্রধানমন্ত্রী | ইন্দ্র কুমার গুজরাল |
সংসদ সদস্য – রাজ্যসভা তামিলনাড়ু থেকে | |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১৪ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৭ – ২০০২ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯২ – ১৯৯৭ (পদত্যাগ) | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৯২ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মাদ্রাজ, মাদ্রাজ রাজ্য(এখন চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত) | ৭ জুন ১৯৫৪
রাজনৈতিক দল |
(১৯৮২–১৯৯৭; ২০০২–২০১৫) (১৯৯৭–২০০২) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ভি কে নটরাজন[১] |
সন্তান | ১ (পুত্র)[১] |
বাসস্থান | নতুন দিল্লি/চেন্নাই |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইথিরাজ কলেজ ফর উইমেন |
ওয়েবসাইট | / |
২৬শে জানুয়ারি, ২০০৭ অনুযায়ী উৎস: [১] |
জয়ন্তী নটরাজন (জন্ম ৭ই জুন ১৯৫৪[২]) একজন ভারতীয় আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন এবং রাজ্যসভায় তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ করেন। ২০১৫ সালের ৩০শে জানুয়ারী, তিনি চেন্নাইতে একটি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি কংগ্রেস পার্টি থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে রাহুল গান্ধীর "নির্দিষ্ট অনুরোধ"-এর ভিত্তিতে তাঁর মন্ত্রক কর্তৃক শিল্প প্রকল্পগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল এবং রাহুল গান্ধী ২০১৪ সালের নির্বাচনের জন্য একটি পরিবেশ-বান্ধব অবস্থান থেকে কর্পোরেট-বান্ধব অবস্থানে সরে এসেছিলেন।[৩]
জয়ন্তী নটরাজন ভারতের মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডাঃ সি আর সুন্দররাজন এবং রুক্মিণী সুন্দররাজনের কন্যা ছিলেন।[১] জয়ন্তী নটরাজন উল্লেখযোগ্য সমাজকর্মী সরোজিনী বরদাপ্পনের ভাইঝি। তাঁর মাতামহ ছিলেন এম ভক্তবৎসলম, যিনি একজন বিশিষ্ট কংগ্রেস রাজনীতিবিদ এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। জয়ন্তী চেন্নাইয়ের চার্চ পার্কের একটি বিশিষ্ট স্কুল, সেক্রেড হার্ট ম্যাট্রিকুলেশন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তিনি এরপর ইথিরাজ কলেজ ফর উইমেন এ অধ্যয়ন করেন এবং আইন পাস করে মাদ্রাজে একজন অনুশীলনকারী আইনজীবী হন।[৪] তাঁর পেশাদারী অনুশীলন ছাড়াও, তিনি অল ইণ্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্স এবং আইনি সহায়তা বোর্ড সহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্থায় জনগণের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি[৫] দূরদর্শন কেন্দ্রের সংবাদপ্রচারক হিসেবেও কাজ করেছেন।[৬][১]
১৯৮০-এর দশকে রাজীব গান্ধীর নজরে আসার পর তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তিনি প্রথমবার ১৯৮৬ সালে[৭] এবং আবার ১৯৯২ সালে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন।
৯০ এর দশকে জয়ন্তী নটরাজন এবং তামিলনাড়ুর অন্যান্য নেতারা, যাঁরা নরসিমা রাওয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন তাঁরা, দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা জি কে মুপানারের অধীনে তামিল মানিলা কংগ্রেস (টিএমসি) প্রতিষ্ঠা করেন। জয়ন্তী নটরাজন রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেন এবং ১৯৯৭ সালে টিএমসি সদস্য হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হন।
টিএমসি তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের সাথে জোটবদ্ধ ছিল এবং কেন্দ্রে যুক্তফ্রন্ট সরকারের একটি অংশ ছিল। জয়ন্তী নটরাজন ১৯৯৭ সালে কয়লা, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।[৭]
মুপানারের মৃত্যুর সাথে সাথে, টিএমসি নেতারা কংগ্রেসের সাথে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জয়ন্তী নটরাজনকে সোনিয়া গান্ধী লক্ষ্য করেছিলেন এবং দলের মুখপাত্র নিযুক্ত করেছিলেন।[৪] তিনি ইউপিএ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারে ২০১১ সালের ১২ই জুলাই, পরিবেশ মন্ত্রী হিসাবে জয়রাম রমেশের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ২০১১ সালের ১২ই জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় কংগ্রেস পার্টির হয়ে কাজ করার জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।[৮]
সাহারা-বিড়লা ডায়েরি কেলেঙ্কারিও দেখুন
পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য অর্থ প্রদান করা শত শত রাজনীতিবিদদের মধ্যে সাহারা ডায়েরিতে তাঁর নাম থাকার কারণে, জয়ন্তী নটরাজনকে কংগ্রেসের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগের কারণে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন।[৯] নরেন্দ্র মোদী তাঁর ২০১৪ সালের নির্বাচনী বক্তৃতার সময় এটিকে "জয়ন্তী শুল্ক" হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। যাইহোক, ২০১৫ সালে আরও প্রমাণ বেরিয়ে আসতে শুরু করে। সাহারা ডায়েরি তদন্তের পর নটরাজন ২০১৫ সালের ৩০শে জানুয়ারী কংগ্রেস পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন।[১০] সোনিয়া গান্ধীকে লেখা একটি চিঠিতে[১১], জয়ন্তী নটরাজন দলীয় নেতৃত্ব, বিশেষ করে রাহুল গান্ধীকে অভিযুক্ত করেছেন যে, তিনি তাঁকে এবং তাঁর খ্যাতি নষ্ট করার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর লেখা চিঠি অনুসারে, তিনি আরও মনে করতেন, ইউপিএ-২ সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ভরাডুবির জন্য তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।[১২] তিনি বিশ্বাস করতেন যে যখন তিনি রাহুল গান্ধীর নির্দেশে কিছু শিল্প ও অবকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন দলের কিছু অংশ গুজব ছড়িয়েছিল যে এই প্রকল্পগুলিতে তাঁর অবস্থানের কারণে তাঁকে ২০১৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি টিএমসির সাথে যোগদানের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু টিএমসির শক্তি দেখে তিনি সিদ্ধান্তটি বাতিল করেছিলেন। কংগ্রেস বলেছে যে দলই নটরাজনকে পদত্যাগ করতে বলেছিল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে, দিল্লি এবং চেন্নাইতে তাঁর সম্পত্তিতে সিবিআই অভিযান চালানো হয়েছিল।[১৩][১৪][১৫]
টেমপ্লেট:Cabinet of Manmohan Singhটেমপ্লেট:Ministry of Environment, Forests and Climate Change (India)