জয়রামণ চন্দ্রশেখর | |
---|---|
জন্ম | কর্ণাটক, ভারত | ২৩ অক্টোবর ১৯৫২
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | জৈব অণুগুলির গঠন এবং বন্ধন সম্পর্কিত অধ্যয়ন |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
|
ডক্টরাল উপদেষ্টা |
|
জয়রামণ চন্দ্রশেখর (জন্ম ১৯৫২) হলেন একজন ভারতীয় গণনামূলক রসায়নবিদ এবং ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থার জৈব রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক।[১] তিনি জৈব অণুগুলির গঠনগত যোজ্যতা সম্পর্কে গবেষণার জন্য পরিচিত[২] এবং ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি[৩] ও ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির নির্বাচিত ফেলো।[৪] বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, তাঁকে ১৯৯৫ সালে, একটি সর্বোচ্চ ভারতীয় বিজ্ঞান পুরস্কার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কারে ভূষিত করেছে। রাসায়নিক বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[৫]
জে. চন্দ্রশেখর, ১৯৫২ সালের ২৩শে অক্টোবর, দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক হন। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য আইআইটি মাদ্রাজে ভর্তি হন এবং ১৯৭২ সালে তিনি তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।[৩] ডক্টরাল পড়াশোনার জন্য তিনি আইআইটি মাদ্রাজেই গণনামূলক রসায়ন এবং তাত্ত্বিক রসায়ন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন, এস সুব্রহ্মণিয়ানের নির্দেশনায়। ১৯৭৭ সালে তাঁর পিএইচ.ডি. সম্পন্ন হয়েছিল।[৬] ডক্টরাল পরবর্তী পড়াশোনার জন্য তিনি চলে গিয়েছিলেন নুরেমবার্গের এরলাঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রির ফেলো পল ভন রেগ শ্লেয়ারের গবেষণাগারে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। এরপরে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম এল জর্জেনসেনের সাথে গবেষণা সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিলেন।[৭] ভারতে ফিরে আসার পরে, তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থায় জৈব রসায়ন অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে অধ্যাপক হিসাবে কাজ করার সময়, তিনি নিউরোজেন কর্পোরেশন, ব্রানফোর্ডে চলে যান এবং সেখানে তাঁর গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যান।[৩]
জৈব অণুগুলির গঠন ও বন্ধন এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাদের কি প্রভাব হয় তা নিয়ে চন্দ্রশেখর ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন।[৮] তাঁর পরবর্তী গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল বৈদ্যুতিন প্রভাবের পরিমাণ নির্ধারণ, কাঠামো এবং শক্তির পূর্বাভাস এবং তাদের আণবিক বৈশিষ্ট্যের গণনা। তাঁর গবেষণার ফলে জৈব, জৈব ধাতব এবং অজৈব প্রণালীর মধ্যে ঋণাত্মক হাইপারকনজুগেশন এবং রেডিকাল আয়নগুলিতে অতিক্রিয়া প্রভাবে স্থিতিশীলতা ও ডিস্টোনিক প্রভাব বোঝার ক্ষেত্র প্রশস্ত হয়ে গেছে।[৩] তিনি তিনটি বইতে অধ্যায়ের মাধ্যমে তাঁর গবেষণাগুলি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তাঁর বেশ কয়েকটি সহকর্মী দ্বারা পর্যালোচিত নিবন্ধ আছে।[৯] ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির অনলাইন আধার,- এর মধ্যে ১৫১টিকে তালিকাভুক্ত করেছে।[১০] তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব থিওরিটিকাল অ্যান্ড কম্পিউটেশনাল কেমিস্টস এর নির্বাচিত সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১১] তিনি সহযোগী সম্পাদক হিসাবে রেজোনেন্স এবং জার্নাল অফ সায়েন্স এডুকেশন এর সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি কারেন্ট সায়েন্স এবং প্রোসিডিংস অফ কেমিক্যাল সায়েন্সেস এই দুটি বিজ্ঞান পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন।[৩]
চন্দ্রশেখর ডাঃ হুসেন জাহির নবীন বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে, তিনি, সর্বোচ্চ ভারতীয় বিজ্ঞান পুরস্কার, বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ প্রদত্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার পেয়েছিলেন।[১২] ১৯৯২ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি তাঁকে তাদের ফেলো নির্বাচিত করেছিল।[৪] ২০০০ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির একজন নির্বাচিত ফেলো হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি থমসন সায়েন্টিফিকের থেকে সাইটেশন লরিয়েট পুরস্কার পেয়েছিলেন।[১৩] তিনি জওহরলাল নেহরু উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রের বরিষ্ঠ ফেলো এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল গবেষণা বোর্ডের জাতীয় অধ্যাপকের পদটি পেয়েছেন।[৩]