জর্জ রেমন্ড রিচার্ড মার্টিন (জন্ম জর্জ রেমন্ড মার্টিন; ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) হলেন একজন মার্কিন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, চিত্রনাট্যকার এবং টেলিভিশন প্রযোজক। তিনি জর্জ আর. আর. মার্টিন নামে ফ্যান্টাসি, ভৌতিক এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনা করেন। তিনি তার সর্বাধিক বিক্রিত মহাকাব্যিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। উপন্যাসটি অবলম্বনে পরবর্তীতে গেম অব থ্রোনস (২০১১-বর্তমান) টেলিভিশন ধারাবাহিক নির্মাণ করা হয়, যা মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এইচবিওতে প্রচারিত হয়। মার্টিন নিজেও এই ধারাবাহিকটির সহকারী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন এবং চারটি পর্বের চিত্রনাট্য রচনা করেন।
২০০৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনের লেভ গ্রসম্যান মার্টিনকে আমেরিকার টলকিন বলে উল্লেখ করেন,[১] এবং ২০১১ সালে তিনি বার্ষিক টাইম ১০০ বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।[২][৩]
জর্জ রেমন্ড মার্টিন ১৯৪৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর[৪] নিউ জার্সির বায়োনে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তিনি ১৩ বছর বয়সে তার দ্বিতীয় মধ্য নাম রিচার্ড গ্রহণ করেন।[৬] তার পিতা রেমন্ড কলিন্স মার্টিন এবং মাতা মার্গারেট ব্র্যাডি মার্টিন। তার ছোট দুই বোন ডারলিন এবং জ্যানেট। মার্টিনের পিতা অর্ধেক ইতালীয় বংশোদ্ভূত এবং তার মাতা অর্ধেক আইরিশ বংশোদ্ভূত।[৭] এছাড়া তার পূর্বপুরুষগণের মধ্যে ফরাসি, ইংরেজ, ওয়েলশ ও জার্মান রয়েছে।[৮]
১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝিতে মিলওয়াকিতে একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সম্মেলনে আইওয়ার ডেবিউকের ইংরেজ অধ্যাপক জর্জ গুথরিজের সাথে মার্টিনের সাক্ষাৎ হয়। মার্টিন তাকে শুধু কল্পনাপ্রসূত বইয়ের প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে নিজেও এই ধরনের বই লিখতে উদ্ধুদ্ধ করেন। এরপর থেকে গুথরিজ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও ফ্যান্টাসি বিভাগে হুগো পুরস্কার ও দুইবার নেবুলা পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়। ১৯৯৮ সালে গুথরিজ ও জ্যানেট বের্লিনার তাদের চিলড্রেন অব দ্য ডাস্ট উপন্যাসের জন্য ব্রাম স্টোকার পুরস্কার লাভ করেন।[৯]
এর বিপরীতে গুথরিজ মার্টিনকে ক্লার্ক কলেজে (বর্তমান ক্লার্ক বিশ্ববিদ্যালয়) এই কাজ পাইয়ে দেন। এই প্রসঙ্গে গুথরিজ বলেন যে মার্টিন লেখালেখি ও দাবা প্রতিযোগিতা থেকে নিজের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছিলেন না।[১০] ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সালে মার্টিন ক্লার্ক কলেজে ইংরেজি ও সাংবাদিকতার প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ সালে সেখানে লেখক হিসেবে সাময়িক আবাসিক পদ লাভ করেন।[১১]
তিনি যখন শিক্ষকতা পেশাকে উপভোগ করছিলেন, সেসময় ১৯৭৭ সালের শেষের দিকে তার বন্ধু ও সমসাময়িক লেখক টম রিমির মৃত্যু তাকে তার জীবন সম্পর্কে ভাবায়, এবং তিনি পূর্ণাঙ্গ লেখক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার চাকরি ছেড়ে দেন এবং ১৯৭৯ সালে ডেবিউকে ত্যাগ করে সান্টা ফেতে চলে যান।[১২]
↑Author George R.R. Martin Is Visiting Texas A&M, Talks ‘Game of Thrones' and Texas A&M Libraries". TAMUTimes. Texas A&M University. March 22, 2013
↑Martin, George R. R. (অক্টোবর ২০০৪)। "The Heart of a Small Boy"। Asimov's Science Fiction (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ১৯, ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑Martin, George R. R. (২০১৬-০৯-১০)। "A Salute to Immigrants"। Not A Blog (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
↑"Bram Stoker Awards"। Horror Writers Association (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭।
↑Munson, Kyle (মে ২৩, ২০১৪)। "Before Westeros, there was Iowa"। Iowa City Press-Citizen (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭।