জর্জিয়া হেল | |
---|---|
Georgia Hale | |
জন্ম | জর্জিয়া থিওডোরা হেল ২৫ জুন ১৯০০ |
মৃত্যু | ১৭ জুন ১৯৮৫ হলিউড, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৪)
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯২৫-১৯৩১ |
জর্জিয়া হেল (ইংরেজি: Georgia Hale; ২৫ জুন, ১৯০০[১][২][৩][৪] ১৭ জুন, ১৯৮৫) ছিলেন একজন মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি চার্লি চ্যাপলিনের দ্য গোল্ড রাশ (১৯২৫) এবং দ্য গ্রেট গেটসবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত।
জর্জিয়া ১৯২২ সালে "মিস শিকাগো" খেতাব অর্জন করেন[৫] এবং মিস আমেরিকা পিজেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।[৬] তিনি ১৯২০ এর দশকের শুরু থেকে তার অভিনয় কর্মজীবন শুরু হয়। তিনি চার্লি চ্যাপলিনের দ্য গোল্ড রাশ (১৯২৫) চলচ্চিত্র দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। চ্যাপলিন দ্য সালভেশন হান্টার্স (১৯২৫) চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দেখে তাকে এই চলচ্চিত্রের জন্য নির্বাচন করেন। তিনি পরের বছর দ্য গ্রেট গেটসবি উপন্যাসের প্রথম চলচ্চিত্রায়নে (১৯২৬) মার্টেল উইলসন চরিত্রে অভিনয় করেন।
দ্য গোল্ড রাশ চলচ্চিত্রে তাকে তারকা খ্যাতি এনে দিলেও তিনি নির্বাক থেকে সবাক চলচ্চিত্রে বিবর্তনে ঠিকতে পারেন নি এবং ১৯২৮ সালের পরে আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন নি। আননোন চ্যাপলিন প্রামাণ্যচিত্রে প্রকাশিত হয় যে চ্যাপলিন সিটি লাইট্স (১৯৩১) চলচ্চিত্রে কিছু দৃশ্যের কাজ করার পর ভার্জিনিয়া চেরিলকে বাদ দিয়ে তার স্থলে জর্জিয়াকে অভিনয়ের জন্য ডেকে পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে চ্যাপলিন আবার চেরিলকে দিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন।[৭] তবে এই চরিত্রে জর্জিয়ার সাত মিনিটের পরীক্ষামূলক দৃশ্যায়নের ফুটেজ পাওয়া যায় এবং তার চলচ্চিত্রটির ডিভিডি মুক্তির সময় তাতে যুক্ত করে দেওয়া হয়। আননোন চ্যাপলিন প্রামাণ্যচিত্র উদ্ধৃতি যুক্ত করা হয়। জর্জিয়ার স্মৃতিকথায় সম্পাদকের প্রারম্ভিকায় প্রকাশিত হয় যে তিনি দ্য সার্কাস চলচ্চিত্রে প্রধান নারী ভূমিকায় চ্যাপলিনের প্রথম পছন্দ ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে মার্না কেনেডি এই চরিত্রে অভিনয় করেন।[৮]
১৯২০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৩০ এর দশকের শুরুর দিকে জর্জিয়া চ্যাপলিনের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি নৃত্য শিখাতেন এবং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে প্রচুর ধন-সম্পদ অর্জন করেন।[৯] তিনি বিয়ে করেন নি, কিন্তু তিনি তার জীবনের শেষ ১৫ বছর একজন পুরুষের সাথে অতিবাহিত করেন। ১৯৮৫ সালের ১৭ জুলাই তার মৃত্যুর পর তিনিই তার বেশির ভাগ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন।[১০]
আননোন চ্যাপলিন প্রামাণ্যচিত্রে তিনি চ্যাপলিনের সাথে তার কাটানো সময়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তার সাথে কাটানো সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে চার্লি চ্যাপলিন: ইন্টিমেট ক্লোজ-আপস নামে একটি বই লিখেন। ১৯৬০ এর দশকে বইটি লেখা হলেও বইটি তার মৃত্যুর এক দশক পর ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়। হিদার কিরনান বইটির পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা করেন এবং দ্য স্কেয়ারক্রো প্রেস থেকে তা প্রকাশিত হয়।[১১]