ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জর্জো কিয়েল্লিনি[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৪ আগস্ট ১৯৮৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | পিসা, ইতালি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ১+১⁄২ ইঞ্চি)[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণভাগের খেলোয়াড় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জার্সি নম্বর | ৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০–২০০০ | লিভোর্নো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–২০০২ | লিভোর্নো | ৮ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২–২০০৫ | রোমা | ০ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২–২০০৪ | → লিভোর্নো (ধার) | ৪৭ | (৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০০৫ | → ফিওরেন্তিনা (ধার) | ৩৭ | (৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০২২ | জুভেন্টাস | ৪২৫ | (২৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০২২–২০২৩ | লস অ্যাঞ্জেলেস | ৩১ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মোট | ৫৪৮ | (৩৫) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৫ | ৮ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–২০০১ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৬ | ১২ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৭ | ১ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৮ | ৬ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০৩ | ইতালি অনূর্ধ্ব-১৯ | ১৮ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০০৭ | ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ | ২৬ | (৬) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ | ইতালি অনূর্ধ্ব-২৩ | ২ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪–২০২২ | ইতালি | ১১৭ | (৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
জর্জো কিয়েল্লিনি (ইতালীয়: Giorgio Chiellini, ইতালীয় উচ্চারণ: [ˈdʒɔrdʒo kjelˈliːni, ˈdʒor-]; জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৮৪) হলেন একজন ইতালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ইতালির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর সেরিয়ে আ-এর ক্লাব ইয়ুভেন্তুস এবং ইতালি জাতীয় দলের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে বাম পার্শ্বীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
১৯৯০–৯১ মৌসুমে, ইতালীয় ফুটবল ক্লাব লিভোর্নোর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে কিয়েল্লিনি ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০০–০১ মৌসুমে, ইতালীয় ক্লাব লিভোর্নোর মুল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; লিভোর্নোর হয়ে তিনি ৮ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। লিভোর্নোর হয়ে তিনি অসভালদো জাকোনির অধীনে ১টি লীগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। অতঃপর ২০০২–০৩ মৌসুমে তিনি ইতালীয় ক্লাব রোমায় যোগদান করেছেন, রোমায় যোগদান করলেও একটিও ম্যাচ না খেলে তিনি পুনরায় ধারে লিভোর্নোয় যোগদান করেন। লিভোর্নো হয়ে দ্বিতীয়বারও তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করার পর অন্য আরেক ইতালীয় ক্লাব ফিওরেন্তিনায় ১ মৌসুমের জন্য ধারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৪২ ম্যাচে ৩টি গোল করেছেন। ২০০৫–০৬ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রোমা হতে ইতালীয় ক্লাব ইয়ুভেন্তুসে যোগদান করেছেন, ইয়ুভেন্তুসের হয়ে তিনি ক্লাব ফুটবল সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেছেন।
২০০০ সালে, কিয়েল্লিনি ইতালি অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে ইতালির বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৪ বছর যাবত ইতালির বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৪ সালে ইতালির হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ইতালির জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ১১২ ম্যাচে ৮টি গোল করেছেন। তিনি ইতালির হয়ে এপর্যন্ত ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১০ এবং ২০১৪), ৪টি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে (২০০৮, ২০১২, ২০১৬ এবং ২০২০) এবং ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০২০ সালে রোবের্তো মানচিনির অধীনে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন।[৩]
ব্যক্তিগতভাবে, কিয়েল্লিনি বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ সালে সেরিয়ে আ বর্ষসেরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের পুরস্কার[৪] এবং ২০০৮ সালে ফ্রান্স ফুটবলের বিশ্ব একাদশে অন্তর্ভুক্তি অন্যতম।[৫] দলগতভাবে, কিয়েল্লিনি এপর্যন্ত ২২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি লিভোর্নোর হয়ে, ১৯টি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে, ১টি ইতালি বয়সভিত্তিক দলের হয়ে এবং ১টি ইতালির হয়ে জয়লাভ করেছেন।
জর্জো কিয়েল্লিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে ইতালির পিসায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং লিভোর্নোয় তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।[৬] তিনি তার বাবা-মায়ের যমজ পুত্রসন্তানের একজন।[৭]
কিয়েল্লিনি ইতালি অনূর্ধ্ব-১৫, ইতালি অনূর্ধ্ব-১৬, ইতালি অনূর্ধ্ব-১৭, ইতালি অনূর্ধ্ব-১৮, ইতালি অনূর্ধ্ব-১৯, ইতালি অলিম্পিক এবং ইতালি অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ইতালির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০০ সালের ৭ই এপ্রিল তারিখে তিনি ইতালি অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। ইতালি অনূর্ধ্ব-০০ দলের হয়ে তিনি ২০০৩ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে তার দল শিরোপা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিয়েল্লিনি ২০০৪ সালে গ্রিসে অনুষ্ঠিত ২০০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ইতালি অলিম্পিক দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করেছেন। ইতালির বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ৮ বছরে ৭৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ১০টি গোল এবং ২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
২০০৪ সালের ১৭ই নভেম্বর তারিখে, মাত্র ২০ বছর ৩ মাস ৩ দিন বয়সে, বাম পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী কিয়েল্লিনি ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইতালির হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের ৪৬তম মিনিটে বাম পার্শ্বীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আলেসান্দ্রো পারিসির বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন; ম্যাচে তিনি একজন বাম পার্শ্বীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড হিসেবে খেলেছেন। ম্যাচটি ইতালি ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। ইতালির হয়ে অভিষেকের বছরে কিয়েল্লিনি মাত্র ১টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ৩ বছর ৫ দিন পর, ইতালির জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০০৭ সালের ২১শে নভেম্বর তারিখে, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের বিরুদ্ধে ম্যাচে দলের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন। এছাড়াও, ২০০৮ সালের ১৩ই জুন তারিখে, রোমানিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে দলের একমাত্র গোলটিতে অ্যাসিস্ট করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম অ্যাসিস্টটি করেন। ২০১২ সালের ১৪ই নভেম্বর তারিখে, তিনি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচ ইতালির হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটিতে ইতালি ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
কিয়েল্লিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য মার্সেলো লিপ্পির অধীনে ঘোষিত ইতালি দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। ২০১০ সালের ১৪ই জুন তারিখে, তিনি প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন। উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। অতঃপর কিয়েল্লিনি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য প্রকাশিত ইতালির ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হন। উক্ত বিশ্বকাপে তার দল শুধুমাত্র গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। কিয়েল্লিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনে এপর্যন্ত ২টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে তিনি ৬টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১২ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারি তারিখে ইতালির জেনোভার লুইজি ফেরারিস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি ইতালির জার্সি গায়ে তার ৫০তম ম্যাচ খেলেছেন, ম্যাচটিতে ইতালি ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল, যেখানে তিনি ৪৫ মিনিট খেলেছেন; অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ১৭ই নভেম্বর তারিখে কিয়েল্লিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনে ১০০তম ম্যাচটি খেলেছেন, পর্তুগালের বিরুদ্ধে ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচটি ০–০ গোলে ড্র হয়েছিল।
২০১৪ সালের জুলাই মাসে, কিয়েল্লিনি তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী ক্যারোলিনা বোনিস্তাল্লির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।[৮] তাদের উভয়ের নিনা এবং অলিভিয়া নামে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।[৯][১০][১১]
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ইতালি | ২০০৪ | ১ | ০ |
২০০৫ | ৪ | ০ | |
২০০৬ | ১ | ০ | |
২০০৭ | ৩ | ১ | |
২০০৮ | ৭ | ০ | |
২০০৯ | ১১ | ১ | |
২০১০ | ১০ | ০ | |
২০১১ | ১২ | ০ | |
২০১২ | ৮ | ০ | |
২০১৩ | ১০ | ২ | |
২০১৪ | ৭ | ২ | |
২০১৫ | ৮ | ০ | |
২০১৬ | ৮ | ১ | |
২০১৭ | ৬ | ১ | |
২০১৮ | ৪ | ০ | |
২০১৯ | ৩ | ০ | |
২০২০ | ২ | ০ | |
২০২১ | ৭ | ০ | |
সর্বমোট | ১১২ | ৮ |