২১ শতকের সুচনা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্যভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতিসংঘ নারীদের প্রতিক্রিয়া এবং নারীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাকে "অপরিহার্য" [১] এবং জনসংখ্যা সম্পর্কিত ব্যুরো একে "জটিল" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে[২]। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে যে, সম্মিলিত লিঙ্গ-ভিত্তিক বিশ্লেষণ আরো ফলপ্রসূ প্রশমন ও অভিযোজনে[৩] ভুমিকা রাখবে।
নারীরা জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণা ও নীতি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু ইস্যুগুলোর ব্যাপক বিশ্লেষণে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে[৪]। এর মাঝে বহু নারী বিজ্ঞানী ছাড়াও নীতি-নির্ধারক ও সক্রিয় কর্মী রয়েছে। নারী গবেষকেরা "আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন সভা" এবং "মিলেনিয়াম ইকোসিস্টেম এসেসমেন্ট" এর মত মুখ্য বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণসমূহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। নারীরা আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বস্থানীয় পদ্গুলোতে জায়গা করে নিয়েছে।
নারীরা সাধারণত বিজ্ঞানে অবমূল্যায়িত এবং তাদের সাফল্য ও স্বীকৄতির পথে বহু বাধার সম্মুখীন হয়[৫][৬]। ১৭ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের পর নারীরা পর্যবেক্ষণধর্মী বিজ্ঞানের (যার মাঝে রয়েছে জ্যোতির্বিদ্যা, প্রাকৃতিক ইতিহাস, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ) সাথে সম্পৄক্ত হয়েছে। যদিও ১৯ শতকের আগ অবধি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নারীদের ভর্তির সুযোগ দিত না।[৭][৮][৯][১০]
ইউ এস জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান এর সর্বশেষ প্রতিবেদন[১১] অনুসারে, যদিও নারীরা বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের স্নাতকদের সংখ্যার অর্ধেক, এর অধিকাংশই জৈব-বিজ্ঞানে (বিশেষত প্রি-মেড), তুলনামূলক পদার্থবিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে এর সংখ্যা ২০%। ডক্টরেট এর হিসেবে, নারীরা প্রকৌশল ও পদার্থবিজ্ঞান এর পি,এই,ডির মাত্র ২০%। যদিও অনুপাতের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৩ সালের তুলনায় পূর্ণ নারী অধ্যাপক এর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, এখনও বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ফ্যাকাল্টি পদের কেবল ১/৪ নারী এবং নারীরা সমপর্যায়ের পুরুষদের তুলনায় কম আয় করে।
জলবায়ু পরিবর্তন শিক্ষার মূলধারায় নারীর সংখ্যা অপ্রতুল। উদাহরণস্বরূপ, ভূ-বিজ্ঞানে নারীরা সংখ্যালঘু। পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, আবহবিদ্যা ও ভূবিজ্ঞানের এর মাত্র ২০% নারী[১২]। ইউ এস বায়ুমন্ডলীয় বিজ্ঞানে ডক্টরাল প্রোগ্রাম এর একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ হতে জানা যায়, টেনিউর ট্র্যাক ও টেনিউরড ফ্যাকাল্টির মাত্র ১৭% নারী, উচ্চতর পদে এর অনুপাত আরো কম, এবং ৫৩ % বিভাগে নারী ফ্যাকল্টি দুই বা তার চেয়ে কম[১৩]। বাস্তুসংস্থান বিজ্ঞানে এ নারীদের অবস্থান এর চাইতে ভাল। একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাস্তুবিদ্যার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীর ৫৫% নারী কিন্তু টেনিউরড ফ্যাকাল্টির মাত্র ১/৩ অংশ নারী। আন্তর্জাতিক ফ্ল্যাগশিপ জার্নাল - বাস্তুবিদ্যা - এর ৩/৪ অংশ লেখা প্রবন্ধ পুরুষদের[১৪]। নারীরা তুলনামূলক কম গবেষণা তহবিল পায় এবং সহকর্মীরা তাদের অবদানকে পর্যাপ্ত স্বীকৃতি দেয় না। আমেরিকান ইকলজিক্যাল সোসাইটিতে নারী সদস্য সংখ্যা ১৯৯২ সালের ২২% হতে ২০১০ সালে ৩৭% এ উন্নীত হয়েছে[১৫]।
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বিশ্বব্যাপী নারীদের উপর উপাত্ত প্রকাশ করে[১৬]। সামগ্রিকভাবে, লাতিন আমেরিকা, ওশেনিয়া ও ইউরোপ এ নারী বিজ্ঞান গবেষকদের অবস্থান ভাল (৩০%+), এবং এশিয়াতে সবচেয়ে কম (১৯%)।
বিজ্ঞান এবং জলবায়ু পরিবর্তনে নারীদের পক্ষে যুক্তি
একটি বিতর্কের বিষয় হল নারীরা যখন শিক্ষাবিদ এবং সিদ্ধান্ত-প্রণেতা হিসেবে উপেক্ষিত হয়, বিশ্ব তার মানব সম্পদের পুরো সদ্ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না যা জলবায়ু পরিবর্তনের মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর জন্য প্রয়োজনীয়[১৭]। তাছাড়া নারীরা পারস্পারিক সহযোগিতামুলক পদক্ষেপ নিতে পারে, বিশেষত চুক্তিসমূহে, এবং তারা অনগ্রসর গোষ্ঠী ও প্রাকৃতিক পরিবেশ এর প্রতি অধিকতর নজর দিতে সক্ষম[১৮][১৯]।
লিঙ্গ একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে কারণ জল, বন ও শক্তির মত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠ পরিচালনায় নারীদের অপরিহার্য ভূমিকা। এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনেও নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে[২০][২১]।
একটি গণসচেতনতা জেগে উঠেছে নারীদের অবদানকে সকলের দৃষ্টিগোচরে আনার এবং মুখ্য কমিটিগুলোতে নারীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয় যাতে লিঙ্গ সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও তরুণীদের বিজ্ঞান পেশা বেছে নিতে আগ্রহী করার মত বিষয়গুলো নিশ্চিত করা যায়[২২][২৩]।
রিও +২০ সম্মেলনের ফলাফল নথিতে - আমাদের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ - সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় নারীদের পূর্ণ ও সম অংশগ্রহণ এর পথে বাধা দূরীকরণ এবং নেতৃত্বে নারীদের উপস্থিতি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা হয়েছে[২৪]। ইউ এন এর নারীদের প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন, মেরি রবিন্সন ফাউন্ডেশন - পরিবেশ বিচার, বৈশ্বিক লিঙ্গ ও পরিবেশ জোট ও UNFCCC চিহ্নিত করেছে যে, কাঠামোগত অসমতা জলবায়ু বিজ্ঞান, চুক্তি ও নীতিনির্ধারণে নারীদের প্রতিনিধিত্বের পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সুপারিশ করেছে যে UNFCCC ও জাতীয় প্রতিনিধিবর্গের মাঝে লৈঙ্গিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার[২৫]। প্রতিবেদনটি যুক্তি দেখিয়েছে যে, 'নারী ক্ষমতায়ন ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়' এবং নারীদের আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোতে একঘরে করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের উপাত্ত হতে দেখা যায় UNFCCC এর প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীদের নগণ্য উপস্থিতি, যার মাঝে রয়েছে অভিযোজন কমিটি (২৫%), GEC কাউন্সিল (১৯%) ও এক্সপার্ট গ্রুপ (১৫%) এবং সামগ্রিকভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাত্র ২০% প্রতিনিধিদলের প্রধান নারী ও UNFCCC এর সভাগুলোতে নারী প্রতিনিধি ৩০% এরও কম।
কেট রাওয়ার্থ দাবি তুলেছেন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সমাজকে নারী শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে। তিনি বিষয়টি প্রথমে টুইটারে এবং পরবর্তীতে তার প্রবন্ধে "মানবকেন্দ্রিকতা কি পুরুষকেন্দ্রিকতায় পরিণত হবে?"[২৬] তুলে ধরেছেন। ২০১৪ সালে বার্লিনে ৩৬ জন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদের একটি দল মানবজাতি নতুন 'অ্যান্থ্রোপসিন' (মানবকেন্দ্রিকতা) যুগে প্রবেশ করছে এর প্রমাণ নিয়ে বিশ্লেষণ এর জন্য সমবেত হন। কেট তুলে ধরেন যে, এই দলটি শুধুমাত্র পুরুষদের নিয়ে গঠিত। তার বিবৃতিতে, "নেতৃত্বদানকারী বিজ্ঞানীদের হয়ত আজকের পৃথিবী মানব কর্মকাণ্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এটি স্বীকার করার মত বোধশক্তি রয়েছে, কিন্তু তারা এটা বিস্মৃত হয়েছেন যে তাদের নিজেদের বুদ্ধিমত্তার বিবেচনা অস্বাভাবিকভাবে উত্তুরে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।"
বিভিন্ন উপায়ে জলবায়ু পরিবর্তনে মুখ্য অবদান রাখা নারীদের চিহ্নিত করা যায়। প্রথমত, ইউ এন ও অন্যান্য সংস্থা যেমন "আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন সভা", এবং জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন এর উচচ-পর্যায়ের আন্তর্জাতিক মূল্যায়নসমূহের রচয়িতারা। দ্বিঁতীয়ত, যেসব নারী জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট জার্নালসমূহের সম্পাদক পরিষদে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পরিষদ এর বৈশ্বিক পরিবর্তন কমিটিগুলোর সদস্যপদসমুহ পর্যবেক্ষণ। এবং চতুর্থত, যেসব নারী তাদের নিজ নিজ জাতীয় বিজ্ঞান একাদেমির সদস্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন এর উপর কাজ করছে। তাদের অনেকেই আই,পি,সি,সি (IPCC) ও অন্যান্য প্রতিবেদন এর রচয়িতা, এবং এছাড়াও আই,সি,এস,ইউ (ICSU) এর সদস্য, নিজ নিজ জাতীয় একাডেমির সদস্য। এছাড়াও অন্যান্য অর্জনকে মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
কারিন ব্যাকস্ট্রান্ড : লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর অধ্যাপক। তিনি জলবায়ু এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এর উপর ব্যাপক লেখালেখি করেছেন এবং ICSU আর্থ সিস্টেম গভর্নেন্স প্রজেক্টের উপদেষ্টা।
মিশেল বেটসিলওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে : কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউ,এস,এ এ রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর অধ্যাপক। তিনি নগর ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তনশীল অবস্থা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি ICSU আর্থ সিস্টেম গভর্নেন্স প্রজেক্টের সায়েন্টিফিক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং IPCC পঞ্চম মূল্যায়ন প্রতিবেদন এর ওয়ার্কিং গ্রূপ III এর একজন রচয়িতা।
লিডিয়া ব্রিটো : এডুয়ারডো মন্ডলেন বিশ্ববিদ্যালয়, মোজাম্বিক এর বনপালনবিদ্যার অধ্যাপক। তিনি মোজাম্বিকের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাবেক মন্ত্রী এবং ইউনেস্কোর বৈশ্বিক পরিবর্তন ইস্যুগুলো নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি ২০১২ সালের প্লানেট আন্ডার প্রেশার কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করেছেন।
হ্যারিয়েট বাল্কলি : ডানহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউ কে এ ভূগোলের অধ্যাপক। তিনি নগর ও জলবায়ু পরিবর্তন, শক্তি এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের উপর বিশেষজ্ঞ।
আ্যনি চেযনেভ : জিওফিসিকাল স্টাডিস ও স্থানিক সমুদ্রবিদ্যার ফরাসি গবেষণাগারের সহ-পরিচালক। তিনি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির উপর বিশেষজ্ঞ এবং IPCC এর প্রধান রচয়িতা।
জুলিয়া কোল : আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএ এর ভূ-বিজ্ঞান এর অধ্যাপক। তিনি জলবায়ু ইতিহাস, পরিবর্তনশীলতা ও কোরাল এর উপর বিশেষজ্ঞ। লেওপাল্ড লিডারশিপ ফেলো (২০০৮), IPCC তে অবদান রেখেছেন এবং গুগল বিজ্ঞান যোগাযোগব্যবস্থা ফেলো (২০১১)।
সেসিলিয়া কন্ড : ইউএনএম, মেক্সিকোর আবহমন্ডল বিজ্ঞানের অধ্যাপক, তিনি কৃষির ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে কাজ করেন। তিনি মেক্সিকোর বাস্তুবিদ্যা ও জলবায়ু ইনস্টিটিউট এর জলবায়ু অভিযোজন এর পরিচালক।
হেইডি কালেন : ক্লাইমেট সেন্ট্রাল এর প্রধান বিজ্ঞানী। জলবায়ু পরিবর্তন যোগাযোগব্যবস্থার ওপর বিশেষজ্ঞ। সাবেক আবহাওয়া চানেলের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ। NOAA এর বিজ্ঞান উপদেষ্টা বোর্ড এ আছেন।
জুডিথ কারি : ভূ ও আবহবিজ্ঞান স্কুল, জর্জিয়া প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এর অধ্যাপক। তিনি মূলত আবহবিজ্ঞান এর উপর ১৪০ এর অধিক গবেষণাপত্রের লেখক বা সহরচয়িতা। তিনি তার নিজস্ব ব্লগ পরিচালনা করেন। তিনি ইউ এস হাউস অব রিপ্রেসেন্টিটিভ এর সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গ্রেচেন ডেইলি : স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক, স্ট্যানফোর্ড এর জীব সংরক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক এবং স্ট্যানফোর্ড উডস ইনস্টিটিউট ফর দা এনভায়রনমেন্ট এর সিনিয়র ফেলো। ন্যাচারাল ক্যাপিটাল প্রজেক্ট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ইউ এস জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি, আমেরিকান শিল্প ও বিজ্ঞান একাডেমি এবং আমেরিকান ফিলসফিকাল সোসাইটির ফেলো। তিনি বেইজের বাস্তু-অর্থনীতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ ইনস্টিটিউট এর একজন বোর্ড সদস্য এবং সাবেক ম্যাকআর্থার ফেলো।
রুথ ডেফ্রিস : কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর বাস্তুসংস্থান, বিবর্তন ও পরিবেশগত জীববিদ্যার অধ্যাপক। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর আর্থ ইনস্টিউট এর ফ্যাকাল্টি অধিভুক্ত। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য এবং ২০০৭ সালের ম্যাকআর্থার ফেলো।
সুনিতা নারাইন : ভারত ভিত্তিক বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্রের মহাপরিচালক ও পরিবেশভিত্তিক যোগাযোগব্যবস্থা সমাজের পরিচালক এবং বায়োমান্থলি ম্যাগাজিন ডাউন টু আর্থ এর প্রকাশক। তিনি একজন প্রভাবশালী পরিবেশকর্মী। তার আগ্রহের মাঝে রয়েছে বিভিন্ন স্তরে গণতন্ত্র, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা।
পলিন দুবে : বতসোয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ বিজ্ঞান এর অধ্যাপক। তিনি টেকসই উন্নতি, সমাজ অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এর উপর বিশেষজ্ঞ। তিনি IPCC তে অবদানকারী একজন লেখক।
ক্রিস এবি : ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এর বিশ্বস্বাস্থ্য এর অধ্যাপক। স্বাস্থ্যের উপর জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব এর উপর বিশেষজ্ঞ এবং IPCC সমন্বয়কারী প্রধান রচয়িতা।
ইনেয ফাং : ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি এর বায়ুমন্ডলীয় বিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও জৈবচাপ চক্রের মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা এবং বায়ুমন্ডলীয় CO২ এর সাথে জলবায়ুর সহ-বিবর্তন এর নকশা নির্মাণ করছেন। তিনি IPCC তে অবদান রেখেছেন এবং জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য। তিনি নাসা, আমেরিকান জিউফিসিক্যাল সংঘ ও আমেরিকান আবহবিদ্যাগত সমিতির ফেলো।
এলিনর অস্ট্রম : ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএ এর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি সর্বজনীন সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও স্থিতিশীলতার উপর কাজ করেছেন।
ক্যাথি উইলিস : বাস্তুবিদ্যাবিদ যিনি কিউ গার্ডেন, ইউকের বিজ্ঞান পরিচালক। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক এবং বাস্তুবিদ্যা, পরিবেশগত ইতিহাস ও জীববৈচিত্র্যের উপর কাজ করছেন।
জুলি উইংকলার : মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক এবং আমেরিকান ভূগোলবিদ সংঘের সাবেক সভাপতি। তার কাজের মূল কেন্দ্র হল জলবায়ু ও এর প্রভাব, বিশেষত গ্রেট লেকস ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চল।
ক্রিস্টেন জিকফেল্ডওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে : সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয় এর সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জলবায়ুর উপর গ্রিনহাউস গ্যাসসমূহের নৃতাত্ত্বিক নিঃসরণ ও অ্যারোসল এর শতবর্ষ হতে হাজারবর্ষ সময়সীমার মধ্যে প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন।
নারী জলবায়ু পরিবর্তন নীতি-নির্ধারক ও সক্রিয় কর্মী
ফ্র্যানি আর্মস্ট্রং : ব্রিটিশ প্রামাণ্যচিত্র পরিচালক। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে দ্য এজ অফ স্টুপিড, ২০৫৫ সালের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রতিচ্ছবি। তিনি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এর জন্য ২০০৯ সালে ১০:১০ প্রচারণা অভিযান প্রতিষ্ঠা করেছেন।
গ্রো হারলেম ব্রান্ডল্যান্ড : নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং টেকসই উন্নয়ন এর উপর ব্রান্ডল্যান্ড প্রতিবেদন এর রচয়িতা। তিনি পরিবেশের অসংখ্য আন্তর্জাতিক কমিটিতে কাজ করেছেন।
হেলেন ক্লার্ক : জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রশাসক, এবং নিউজিল্যান্ড এর ৩৭তম প্রধানমন্ত্রী (১৯৯৯-২০০৮)। ক্লার্ক এর সরকার নিউজিল্যান্ড এমিসন ট্রেডিং স্কিমসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছে।
শীলা ওয়াট-ক্লটিয়ার : কানাডিয়ান ইনুইট কর্মী, অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি তার কাজের মূল কেন্দ্র হলো জৈব দুষণকারীসমুহ এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন।
ক্রিস্টিনা ফিগারেস : কোস্টারিকান কূটনীতিবিদ, যিনি ১৯৯৫ সাল হতে জলবায়ু পরিবর্তনের দলিলের চুক্তি সম্পাদনকে কেন্দ্র করে কাজ করছেন। তিনি ২০১০ সালে ইউ এন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC) এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক হয়েছেন।
ফিওনা গডলী : আংলো-মার্কিন ডাক্তার, সম্পাদক ও সাংবাদিক। জলবায়ু ও স্বাস্থ্য কাউন্সিল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বোর্ড পরিচালক।
জুলিয়া মার্টন-লেফেভ্রে : হাঙ্গেরীয় পরিবেশবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ২০০৭ হতে ২০১৪ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ইউনিয়ন এর ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন। এছাড়া ইউ এন শান্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক রেক্টর।
জ্যাকুলিন ম্যাকগ্লেড : মেরিন জীববিজ্ঞানী এবং এনভায়রনমেন্টাল ইনফরমেটিক্স এর অধ্যাপক। বাস্তুসংস্থান এর স্থানসংক্রান্ত ও অরৈখিক গতিবিদ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দৃশ্যপট উন্নয়ন তার গবেষণার কেন্দ্র। তিনি ইউরোপিয়ান পরিবেশ ব্যুরোর প্রধান ছিলেন।
মেরি রবিন্সন : আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং মানবাধিকারসংক্রান্ত ইউ এন কমিশনার। তিনি বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইউ এন এর বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন।
মারিনা সিল্ভা : ব্রাজিলীয় পরিবেশবিদ, রাজনীতিবিদ, পরিবেশমন্ত্রী এবং চিক মেন্ডেস এর সাবেক সহকর্মী। তিনি ২০১০ ও ২০১৪ সালে ব্রাজিলের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
↑Sachs, Carolyn (২০১৪)। Women Working In The Environment: Resourceful Natures.। Taylor and Francis।
↑Rossi, AS (১৯৬২)। "Women in Science: Why So Few? Social and psychological influences restrict women's choice and pursuit of careers in science"। Science। 148: 1196–1202। ডিওআই:10.1126/science.148.3674.1196। পিএমআইডি17748114।
↑Eccles, Jacquelynne S (২০০৭)। Where Are All the Women? Gender Differences in Participation in Physical Science and Engineering.। American Psychological Association।
↑Schiebinger, Londa (১৯৮৯)। he Mind Has No Sex? Women in the Origins of Modern Science। Cambridge, MA: Harvard University Press। আইএসবিএন0-674-57625-X।
↑Watts, Ruth (২০১৩)। Women in Science: A social and cultural history। Routledge।
↑MacPhee, David; Canetto, Silvia Sara (২০১৫)। "Women in Academic Atmospheric Sciences"। Bulletin of the American Meteorological Society। 96: 59–67। ডিওআই:10.1175/bams-d-12-00215.1।
↑Martin, Laura Jane (২০১২)। "Where are the women in ecology"। Frontiers in Ecology and the Environment। 10: 177–178। ডিওআই:10.1890/12.wb.011।
↑Beck, Christopher; Boersma, Kate; Tysor, C Susannah; Middendorf, George (২০১৪)। "Diversity at 100: women and underrepresented minorities in the ESA"। Frontiers in Ecology and the Environment। 12: 434–436। ডিওআই:10.1890/14.WB.011।
↑Buckingham-Hatfield, Susan (২০০৫)। Gender and Environment। Routledge।
↑Rocheleau, Dianne; Thomas-Slayter, Barbara; Wangari, Esther (২০১৩)। Feminist political ecology: Global issues and local experience। Routledge।
↑Buck, Holly; Gammon, Andrea R; Preston, Christopher J (২০১৪)। "Gender and Geoengineering"। Hypatia। 29 (3): 651–669। ডিওআই:10.1111/hypa.12083।
↑Pearson, Willie; Frehill, Lisa; Didion, Catherine (২০১২)। Blueprint for the Future:: Framing the Issues of Women in Science in a Global Context: Summary of a Workshop। National Academies Press।
↑UN Women and Mary Robinson Foundation - Climate Justice (মে ২০১৩)। The Full View: Advancing the goal of gender balance in multilateral and intergovernmental processes। UN Women।