জশপুর রাজ্য जशपुर | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||||
খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী–১৯৪৮ | |||||||||
![]() Jashpur State in the ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত জশপুর রাজ্যের মানচিত্র | |||||||||
আয়তন | |||||||||
• ১৯০১ | ৫,০৪৫ বর্গকিলোমিটার (১,৯৪৮ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯০১ | ১,৩২,১১৪ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী | ||||||||
১৯৪৮ | |||||||||
|
জশপুর রাজ্য, (যা যশপুর নামেও পরিচিত) ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ জশপুর নগরটি ছিল এই রাজ্যের রাজধানী ও প্রশাসনিক সদর দপ্তর। শাসকরা ছিলেন চৌহান রাজবংশের রাজপুত।
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর জশপুর রাজ্যের সাথে অন্যান্য দেশীয় রাজ্য যেমন রায়গড়, সক্তী, সারণগড় এবং উদয়পুর রাজ্য একত্রিত করে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্গত রায়গড় জেলা গঠন করা হয়।[১] মধ্যপ্রদেশ রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্য সৃষ্টি হলে রায়গড় জেলাটি নবগঠিত ছত্তিশগড় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
মুঘল সাম্রাজ্যের সময়কালে জশপুর রাজ্যের অঞ্চল স্থানীয় ডোম রাজবংশের দ্বারা শাসিত হতো। রাজপুতানার বাঁশওয়াড়া থেকে আগত এক সূর্যবংশীয় রাজার পুত্র সুজন রায় এই অঞ্চলে আসেন এবং দেখেন যে রাজ্যের জনগণ তাদের শাসক রাইভন ডোমের উপর সন্তুষ্ট নন। এই সমস্যা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রাজকুমার সুজন ডোম রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং তাকে যুদ্ধে পরাজিত করে ওই অঞ্চলে নিজের রাজত্ব স্থাপন করেন।
জশপুরে পরবর্তী শাসকরা বার্ষিক ২১ টি মহিষের পরিবর্তে নাগপুরের ভোঁসলেদের সামন্ত রাজ্যে পরিণত হয়। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের পূর্ব পর্যন্ত ভোঁসলেরা এই সামন্ত রাজ্যটিকে প্রশাসনিকভাবে সরগুজা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছিলেন। এরপর ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের ফলশ্রুতি অনুসারে এটি ব্রিটিশদের করদ রাজ্যে পরিণত হয়। [২]
জশপুর ছিল পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত একটি দেশীয় রাজ্য। রাজ্যটির শেষ শাসক ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের পয়লা জানুয়ারি তারিখে ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগ দেওয়ার সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করেন। [৩]
জশপুর রাজ্যের শাসকরা রাজা উপাধিতে ভূষিত হতেন। [৪]