ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | আহমেদাবাদ, গুজরাত, ব্রিটিশ ভারত | ২৬ নভেম্বর ১৯২৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১২ ডিসেম্বর ১৯৯২ আহমেদাবাদ, গুজরাত, ব্রিটিশ ভারত | (বয়স ৬৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ৭ আগস্ট ২০১৭ |
জসুভাই মতিভাই প্যাটেল (গুজরাতি: જસુ પટેલ; জন্ম: ২৬ নভেম্বর, ১৯২৪ - মৃত্যু: ১২ নভেম্বর, ১৯৯২) গুজরাতের আহমদাবাদে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জসু প্যাটেল। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গুজরাতের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ-স্পিনার ছিলেন তিনি। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন।
;দশ বছর বয়সে গাছের ডালা থেকে পড়ে যাবার ফলে আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলেন। এ আঘাতপ্রাপ্তির ফলে বোলিংয়ের ধরনও পরিবর্তিত হয়ে যায় তার। ফলশ্রুতিতে তার বোলিং সন্দেহজনক ছিল।[১][২] অফ ব্রেকের তুলনায় অফ-কাটারের দিকেই বেশি বোলিং করতেন।
১৯৪৩-৪৪ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে দলে পাকাপোক্ত আসন করার পূর্বে মাঝে-মধ্যেই গুজরাতের প্রতিনিধিত্ব করতেন তিনি। ঐ মৌসুমে বরোদার বিপক্ষে ৫/৪৩ ও ৬/২১ এবং সার্ভিসেস দলের বিপক্ষে বোলিং করেছিলেন ৮/৫৩ ও ৫/২৮। সচরাচর তার ব্যাটিং নেতিবাচক ছিল। কিন্তু, ১৯৫০-৫১ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে দশম উইকেটে হাসান নখুদার সাথে মূল্যবান ১৩৬ রান তোলেন মাত্র ৯০ মিনিটে। দুই ঘণ্টায় তিনি ১৫২ রান করেছিলেন।
সিরিজের পঞ্চম টেস্টে তার অভিষেক হয়। ঐ টেস্টে তিনি তিন উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড এবং ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩১ গড় নিয়ে ১০ উইকেট লাভ করেন।
৩৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের প্রাক্বালে সর্বাপেক্ষা সফলতা লাভ করেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে কানপুরে গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৯/৬৯। অন্য উইকেটটি পেয়েছিলেন চান্দু বোর্দে। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও পাঁচ উইকেট পান ও দলকে ১১৯ রানের জয় এনে দেন। এটিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট জয় ছিল। প্যাটেলের টেস্টে ১৪/১২৪ যে কোন ভারতীয় বোলারের ক্ষেত্রে সেরা টেস্ট বোলিং ছিল। প্রায় ৩০ বছর পর নরেন্দ্র হিরওয়ানি তার এ রেকর্ডকে ম্লান করে দেন।[৩] প্যাটেলের ইনিংসে ৯/৬৯ বোলিং পরিসংখ্যানের প্রায় চল্লিশ বছর পর অনিল কুম্বলে করেন ১০/৭৪।[৪] ঐ সিরিজে তিনি ১৯ উইকেট নিয়ে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করেন।[৫] এরপর সিরিজের আরও দুই টেস্টে অংশ নেন। মাত্র পাঁচ উইকেট পান তিনি যা তার শেষ টেস্ট ছিল।
টেস্ট খেলা থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর আরও দুইবছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন। রঞ্জী ট্রফিতে গুজরাতের পক্ষে ১৪০ উইকেট দখল করেন তিনি।
প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ও বিজয় হাজারে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।[৬]