জাকার্তা গণ দ্রুতগামী পরিবহন (এমআরটি) | |
---|---|
| |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
মালিকানায় | জাকার্তা সরকার |
সেবা উপভোগকারী এলাকা | বৃহত্তর জাকার্তা |
অবস্থান | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
পরিবহনের ধরন | দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা |
লাইনের (চক্রপথের) সংখ্যা | ২ |
বিরতিস্থলের (স্টেশন) সংখ্যা | ১৩ (উত্তর-দক্ষিণ লাইন, প্রথম পর্যায়) |
প্রধান কার্যালয় | উইসম নুসান্তারা, ২১ তম, জ। এমএইচ. থমরিন ৫৯, জাকার্তা ১০৩৫০ - ইন্দোনেশিয়া - টেল্প (৬২) ২১ ৩১০৩৬২৯, ফ্যাক্স (62) ২১ ৩১৫৫৪৮৬ |
ওয়েবসাইট | জাকার্তা এমআরটি |
চলাচল | |
সম্ভাব্য চালুর তারিখ | ১ মার্চ ২০১৯ |
পরিচালক সংস্থা | পিটি জাকার্তা এমআরটি |
একক গাড়ির সংখ্যা | ১৬ টি (ছয় কোচের ট্রেন) |
দুই রেলগাড়ীর মধ্যবর্তী সময় | ৫–১০ মিনিট |
কারিগরি তথ্য | |
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য | ১৬ কিমি (৯.৯ মা) (প্রথম পর্যায়) |
রেলপথের গেজ | ১,০৬৭ মিলিমিটার (৩ ফুট ৬ ইঞ্চি) |
বিদ্যুতায়ন | ১,৫০০ ভি ডিসি ওভারহেড ক্যাটেনেরি |
জাকার্তা এমআরটি হল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী শহরের জাকার্তার দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। ১০ অক্টোবর ২০১৩ সালে জাকার্তা মেট্রোর নির্মাণ শুরু হয় এবং আশা করা হচ্ছে যে ২০১৯ সালে প্রথম পর্যায়ে জাকার্তা এমআরটি চালু হবে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে এমআরটি জাকার্তা ইন্টিগ্রেশন টেস্ট এবং কমিশনিং পরিচালনা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করবে এবং ২০১৯ সালের মার্চে জনসাধারণের জন্য পরিষেবাটি উন্মুক্ত করার আশা করা হয়।[১]
২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত লেবাক বুলাস স্টেশন থেকে হোটেল ইন্দোনেশিয়া ট্র্যাফিক সার্কেল পর্যন্ত সফলভাবে ট্রেন পরিচালনা সম্পন্ন হয়েছে।[২]
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী শহর জাকার্তায় ১০ মিলিয়ন অধিবাসী বাস করে এবং বৃহত্তর জাকার্তাতে ৩০ মিলিয়ন বসবাসকারী রয়েছেন। অনুমান করা হয় যে প্রতিটি কাজের দিন আশেপাশের এলাকা থেকে বৃহত্তর জাকার্তায় চার মিলিয়ন অধিবাসী যাত্রা করে। পরিবহন বিষয়গুলো ক্রমবর্ধমানভাবে রাজনৈতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করেছে এবং একটি পূর্বাভাস করা হয়েছে যে কোনও বড় পরিবহনের অগ্রগতি না হলে শহরটি ২০২০ সালের পর্যন্ত সম্পূর্ণ যানজট যুক্ত থাকবে।[৩]
রেল-ভিত্তিক জাকার্তা এমআরটি ১০৮ কিলোমিটার জুড়ে প্রসারিত হবে, যার মধ্যে থাকবে ২১.৭ কিলোমিটার উত্তর-দক্ষিণ লাইন (লেবাক বুলুস থেকে কাম্পং বন্দান পর্যন্ত) এবং ৮৭ কিলোমিটার পূর্ব-পশ্চিম লাইন (বালারাজ থেকে কিকরং পর্যন্ত)।[৪][৫]
উত্তর-দক্ষিণ লাইন দুটি পর্যায়ে নির্মিত হবে। এমআরটি প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় সমাপ্তির পর ট্রান্সজাকার্তার সাথে এমআরটি ৬০ শতাংশ মোট রেল যাত্রা পরিবেশন করার পূর্বাভাস দিয়েছে। লাইনের উত্তর অংশ ( প্রথম পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ) বর্তমানে বিদ্যমান ট্রান্সজাকার্ট লাইন ১-এর রুট অনুসরণ করে।
এটি "লেবাক বুলাস"কে "বুন্দরান এইচআই"-এর সঙ্গে ১৩টি স্টেশনসহ (৭টি উচ্চস্তর স্টেশন এবং ৬ ভূগর্ভস্থ স্টেশনসহ) ১৫.৫ কিমি রেলপথ দ্বারা সংযোগ করবে।
জাকার্তা শহরের কেন্দ্রে কিকরঙ (বেকসি) এবং বালরাজ'কে (টানঞ্জংয়ের সাথে) সংযোগ করার জন্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে একটি দ্বিতীয় লাইন পরিকল্পনা করা হয়েছে। ৮৭ কিলোমিটার দূরত্বে আচ্ছাদিত এই লাইন বেকসি এবং পূর্ব জাকার্তার সীমান্তে উজুং মেন্টেং ও রাওয়া বেকব অঞ্চলকে অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পটি বর্তমানে প্রাক-সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন পর্যায়ে রয়েছে।[৪] লাইনটিকে ২০২৪ সালে পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।