জাতীয় অলিম্পিক কমিটি (ইংরেজি: National Olympic Committee) বা এনওসি হচ্ছে বৈশ্বিকভাবে অলিম্পিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত জাতীয় পর্যায়ের সংস্থা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির নিয়ন্ত্রণাধীনে থেকে এ কমিটি অলিম্পিক ক্রীড়ায় খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ও পরিচালনায় দায়বদ্ধ। ইচ্ছে করলে এ কমিটি ভবিষ্যতে নিজ দেশে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের লক্ষ্যে স্বাগতিক শহরের নাম প্রেরণ করতে পারে। এছাড়াও, অ্যাথলেটদের মানোন্নয়ন, কোচ ও কর্মকর্তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্যে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে থাকে।
দক্ষিণ সুদান ৯ জুলাই, ২০১১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও অদ্যাবধি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি গঠন করতে পারেনি।[১]
২০১১ সালের তথ্য মোতাবেক বিশ্বে ২০৪টি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি রয়েছে। স্বাধীন দেশসহ অন্যান্য ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থান করে কমিটিগুলো প্রতিনিধিত্ব করছে। তন্মধ্যে - জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৯২টি স্বাধীন দেশ এবং ১২টি রাজ্য রয়েছে।
রাজ্যগুলোর অলিম্পিক কমিটির বিবরণ নিম্নরূপঃ-
জাতীয় অলিম্পিক কমিটির সকল সদস্যই জাতীয় অলিম্পিক কমিটি সংগঠনের সদস্য। এ সংঘকে আবার পাঁচটি মহাদেশীয় সংগঠন পর্যায়ে বিভাজন ঘটানো হয়েছেঃ-
মহাদেশ | সংগঠন | এনওসি | পুরনো সদস্য | নতুন সদস্য | |
---|---|---|---|---|---|
আফ্রিকা
|
আফ্রিকা জাতীয় অলিম্পিক কমিটি সংগঠন | ৫৩ | মিশর (১৯১০) | ইরিত্রিয়া (১৯৯৯) | |
আমেরিকা
|
প্যান আমেরিকান স্পোর্টস অর্গ্যানাইজেশন | ৪১ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৮৯৪) | ডোমিনিকা (১৯৯৩) সেন্ট কিট্স ও নেভিস (১৯৯৩) সেন্ট লুসিয়া (১৯৯৩) | |
এশিয়া
|
এশিয়া অলিম্পিক কাউন্সিল | ৪৪[৪] | জাপান (১৯১২) | তিমুর-লেসতে (২০০৩) | |
ইউরোপ
|
ইউরোপীয় অলিম্পিক কমিটি | ৪৯ | ফ্রান্স (১৮৯৪) | মন্টেনিগ্রো (২০০৭) | |
ওশেনিয়া
|
ওশেনিয়া জাতীয় অলিম্পিক কমিটি | ২৭ | অস্ট্রেলিয়া (১৮৯৫) | টুভালো (২০০৭) |
বাংলাদেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি হিসেবে বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধিত্ব করছে। সংস্থার সদর দফতর ঢাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা বা বিওএ ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়া অলিম্পিক সংস্থা-সহ ১৯৮০ সালে এটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি পায়।[৫]
|uitgever=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)