राष्ट्रीय गांधी संग्रहालय | |
স্থাপিত | ১৯৬১ |
---|---|
অবস্থান | রাজ ঘাট, নয়া দিল্লি, ভারত |
পরিচালক | এ. অন্নামলাই যুগ্ম পরিচালক: উত্তম কুমার সিনহা |
ওয়েবসাইট | www |
জাতীয় গান্ধী জাদুঘর বা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থিত একটি জাদুঘর, যা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর স্মৃতি রক্ষার্থে স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালে গান্ধী হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরেই মুম্বাইয়ে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বেশ কয়েকবার জাদুঘরটির স্থান পরিবর্তন করা হয় এবং সর্বশেষ ১৯৬১ সালে এটি নয়াদিল্লির রাজঘাটে স্থানান্তরিত হয়।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর থেকেই সংগ্রহকারীরা গান্ধীর ব্যবহৃত বা তার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিসের জন্য ভারত জুড়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত গান্ধীর ব্যক্তিগত জিনিস এবং তাকে নিয়ে লেখা বই ও সংবাদপত্রগুলো সে বছরই মুম্বাইয়ে নেওয়া হয়। ১৯৫১ সালে এগুলো নয়াদিল্লির কোটা হাউসের নিকটস্থ ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ১৯৫৭ সালে জাদুঘরটি আবারো স্থানান্তর করা হয়।
১৯৫৯ সালে জাদুঘরটি নয়া দিল্লির রাজঘাটে গান্ধীর সমাধির নিকটে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৬১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাদুঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ এর উদ্বোধন করেন।[১]
জাদুঘরটিতে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে, যা দুটি অংশে বিভক্ত। এক অংশে রয়েছে গান্ধীর লেখা বা গান্ধীকে নিয়ে রচিত বই আর অপর অংশে রয়েছে অন্যান্য বিষয়ের বই।[২] গ্রন্থাগারটিতে বর্তমানে ৩৫ হাজারেরও অধিক বই ও নথিপত্র আছে।[৩] এছাড়াও সেখানে গান্ধীকে নিয়ে রচিত ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার প্রায় ২,০০০ সাময়িকী রয়েছে।[৪]
জাতীয় গান্ধী জাদুঘরের গ্যালারিতে মহাত্মা গান্ধীর অনেকগুলো চিত্রকর্ম এবং ব্যক্তিগত জিনিস রয়েছে। সেখানে প্রদর্শিত উল্লেখযোগ্য নিদর্শনগুলো হল গান্ধীর ব্যবহৃত লাঠি, নিহত হওয়ার সময় গান্ধী যে শাল এবং ধুতি পরেছিলেন তা, গান্ধী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বুলেট ইত্যাদি।[৫] এছাড়াও সেখানে গান্ধীর কয়েকটি দাঁত এবং টুথপিক প্রদর্শিত হয়।[৬] এর পাশাপাশি জাদুঘরটির আর্ট গ্যালারিতে গান্ধীকে নিয়ে আঁকা ছবি ও স্কেচ এবং ফটো গ্যালারিতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ছবি প্রদর্শন করা হয়।