জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস | |
---|---|
পালনকারী | ভারত |
ধরন | জাতীয় |
তাৎপর্য | পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসনের বিষয়ে সচেতনতা |
তারিখ | ২৪ এপ্রিল |
সংঘটন | বার্ষিক |
জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস ভারতের পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয় প্রতিবছর ২৪ এপ্রিল তারিখে সমগ্র ভারতে পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থার সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য উদযাপন করা দিবস।[১][২]
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং প্রথমবারের জন্য জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবসের ঘোষণা করেছিলেন।[৩]
১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে সংবিধানের ৭৩ তম সংশোধনী আইন কার্যকরী হয়। ১৯৯৩ সালে পঞ্চায়েতী রাজ প্রতিষ্ঠানসমূহ সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভ করে। এই আইন গৃহীত হওয়ার দিনটিতে ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবসের ঘোষণা করেন।[৩] সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থার সঠিক রূপায়নের মাধ্যমে মাওবাদীদেরকে রোধ করা যাবে।[৩]
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থাতে মহিলার প্রতিনিধিত্বকে গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। এর সঙ্গে তিনি পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্যের স্বামী তার হয়ে ক্ষমতার ব্যবহার করা বা প্রভাব ফেলা ব্যবস্থা নির্মূল করতে জোর দিয়েছিলেন ।[৪][৫][৬]
রাজ্য সরকার আদেশ জারি করে যেকোনো স্থানীয় একটি অঞ্চলকে গ্রাম পঞ্চায়েত বলে ঘোষণা করতে পারে। একটি বড় গ্রাম বা কয়েকটি বড় গ্রাম বা একটি বনগ্রাম বা একটি চা বাগিচা অঞ্চল নতুবা অন্য তেমন প্রশাসনীয় গোষ্ঠী বা এর একটি অংশ দ্বারা গ্রাম পঞ্চায়েত বলে ঘোষণা করা অঞ্চল গঠিত হয়। একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬০০০ এর কম এবং ১০,০০০ এর বেশি জনসংখ্যা থাকতে পারে না। একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া তারিখ থেকে ৫ বছরের কার্যকালের জন্য কার্যনির্বাহ করে।
জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবসের দিন স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করা হয়। ভারত সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রণালয় এই দিবসের মূল কার্যসূচী নিরূপণ করে। এই দিবসের দিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়সমূহে সভা-সমিতি ইত্যাদির মাধ্যমে স্থানীয় জনসমাজের মাঝে স্বায়ত্বশাসনের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। এর সঙ্গে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক বিষয়ের প্রচার এবং প্রসার করা হয়।
|তারিখ=
(সাহায্য)