জাতীয় সড়ক ১৯ | ||||
---|---|---|---|---|
পথের তথ্য | ||||
এএইচ১-এর অংশ | ||||
দৈর্ঘ্য | ১,৪৩৫ কিমি (৮৯২ মা) | |||
প্রধান সংযোগস্থল | ||||
পশ্চিম প্রান্ত: | আগ্রা | |||
পূর্ব প্রান্ত: | ডানকুনি, কলকাতা | |||
অবস্থান | ||||
রাজ্য | উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ | |||
প্রাথমিক গন্তব্যস্থল | কানপুর, ফতেহপুর, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, মুঘলসরাই, মহানিয়া, সাসারাম, ওরঙ্গাবাদ, দোবি, বারহি, বাগদর, গোবিন্দপুর, আসানসোল, দুর্গাপুর | |||
মহাসড়ক ব্যবস্থা | ||||
|
জাতীয় সড়ক ১৯ (এনএইচ ১৯) ভারতের একটি জাতীয় মহাসড়ক।[১] প্রায়শই এই মহাসড়ক কলকাতা-দিল্লি রোড নামে পরিচিত, এটি ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ততম জাতীয় মহাসড়কগুলির মধ্যে একটি। জাতীয় মহাসড়ক ১৯ আগ্রাকে কলকাতার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং মহাসড়কটি ভারতের চারটি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করে।[২]
এটি ২০১০ সালে ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় মহাসড়কগুলিকে পুনর্নির্মাণের পূর্বে এনএইচ ২ নামে পরিচিত ছিল।
মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য ১,৪৩৫ কিলোমিটার (৮৯২ মাইল) এবং দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত। এটি ভারতে এনএইচ ১ এবং এনএইচ ৯১ সহ ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের একটি বড় অংশ গঠন করে।
প্রতিটি রাজ্যে মহাসড়কের দৈর্ঘ্য:
উত্তর ভারতে ভারতীয় অঙ্গরাজ্য উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরে জাতীয় সড়ক ৪৪ থেকে জাতীয় সড়ক ১৯ শুরু হয়। এর পরে সড়কটি জহর সেতু দ্বারা যমুনা নদী অতিক্রম করে। নদী অতিক্রম করে সড়কটি উত্তর দিকে বাক নিয়ে এবং কারওয়ান নদী অতিক্রম করে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্টারচেঞ্জ পর্যন্ত অগ্রসর হয়। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্টারচেঞ্জ থেকে সড়কটি অগ্রসর হয়ে তুণ্ডলার কাছে ৩১ নং রাজ্য সড়কের সঙ্গে ইন্টারচেঞ্জ গঠন করে। সড়কটি ইন্টারচেঞ্জ থেকে ফিরোজাবাদ হয়ে শিকোরাবাদ শহরে পৌঁছায়। শিকোরাবাদ শহরে এনএইচ ১৯ এর সঙ্গে ৪৮ নং রাজ্য সড়ক যুক্ত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল শহরের কাছে ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বরাকর নদী অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। রাজ্য সীমান্ত থেকে সড়কটি ২৩ কিলোমিটার (১৪ মা) পথ অতিক্রম করে আসানসোল শহরের পূর্ব দিকে আসানসোল শহরগামী জিটি রোডের সংযোগ স্থলে পোঁছায়। এই ২৩ কিলোমিটারের মধ্যে প্রথমে সড়কটি একটি উড়ালসেতু দ্বারা হাওড়া-দিল্লি প্রধান রেলপথকে অতিক্রম করে এবং এর পরে নুনিয়া নদী অতিক্রম করে। আসানসোলে জিটি রোডের সংযোগ স্থল থেকে সড়কটি রানিগঞ্জ হয়ে মোট ৩৬ কিলোমিটার (২২ মা) পথ অতিক্রম করে দুর্গাপুর শহর পর্যন্ত অগ্রসর হয়। রানিগঞ্জে সড়কটি জাতীয় সড়ক ১৪ এর সঙ্গে সংযোগ গঠন করেছে। দুর্গাপুর থেকে সড়কটি পানাগড় ও বর্ধমান হয়ে কলকাতার কাছে ডানকুনি পর্যন্ত অগ্রসর হয়। ডানকুনিতে সড়কটি জাতীয় সড়ক ১৬ এর সঙ্গে মিলিত হয়ে সমাপ্ত হয়। দুর্গাপুর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত সড়কটি মোট ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মা) পথ অতিক্রম করে। সড়কটি পানাগড় শহরের যানজট থেকে মুক্ত থাকতে “পানাগড় বাইপাস” দ্বারা পানাগড় শহরকে অতিক্রম করে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বর্ধমান জেলার পানাগড়কে যানজট মুক্ত করতে শুরু হয় বাইপাস নির্মাণের কাজ৷ ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে উদ্বোধন হয় পানাগড় বাইপাস৷ ১৫ কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা৷[৪] পানাগড় বিমানবন্দরের পূর্ব প্রান্তে শুরু হয় এবং পানাগড় শহরের পূর্ব দিকে শেষ হয়। সড়কটির পালশিট থেকে ডানকুনি পর্যন্ত অংশটি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হিসাবে পরিচিত এবং এই অংশটি ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ।