![]() ২০০৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জান্ডার ডি ব্রুন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জান্ডার ডি ব্রুন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫ জুলাই ১৯৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৯৩) | ২০ নভেম্বর ২০০৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫ - ১৯৯৭ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭ - ২০০২ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২ -২০০৬ | ইস্টার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ - ২০০৬ | টাইটান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ - ২০০৯ | ওয়ারিয়র্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ - ২০১০ | সমারসেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ - ২০১৪ | হাইভেল্ড লায়ন্স (জার্সি নং ৫৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ - ২০১৩ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ |
জান্ডার ডি ব্রুন (ইংরেজি: Zander de Bruyn; জন্ম: ৫ জুলাই, ১৯৭৫) জোহেন্সবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সূচনালগ্ন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং, লায়ন্স, টাইটান্স ও ট্রান্সভাল, বাংলাদেশী ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেড, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেট, সারে ও ওরচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন।
বিদ্যালয় পর্যায়ের ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন তিনি। হোরস্কুল হেল্পমেকার ও হোরস্কুল র্যান্ডবার্গে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ট্রান্সভাল নাফ ও ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যালয় দলে খেলেন।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জান্ডার ডি ব্রুনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ট্রান্সভাল দলের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান জান্ডার ডি ব্রুন। তবে, ২০০২ সালে ইস্টার্নসের পক্ষে স্থানান্তরের পূর্ব-পর্যন্ত তার খেলা দৃষ্টিগোচরতায় আসেনি। এর পরপরই তার প্রকৃত খেলোয়াড়ী জীবন শুরু হয়। এ পর্যায়ে তিনি অতি-প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হিসেবে পরিচিত কোচ ও জাতীয় দলের নবনিযুক্ত পরামর্শক হিসেবে রে জেনিংসের সুনজরে আসেন।
গটেংয়ে থাকাকালীন তাকে চুক্তিতে আনা হয়নি ও নতুনভাবে কোন প্রস্তাবনা না পাওয়ায় খুচড়া কাপড়ের প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকুরীর সন্ধান করতে হয়।[১]
কোচ রে জেনিংসের কাছ থেকে খেলায় অংশগ্রহণের উপর ভিত্তি করে বেতনের প্রস্তাবনা পান। এরপর, তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জগতে পুনরায় প্রত্যাবর্তন ঘটান।[১] ঐ বছর অসম্ভব হয়ে পড়া সানফয়েল সিরিজ বিজয়ে তিনি বিরাট ভূমিকা রাখেন। ৬০ গড়ে রান তুলেন ও চূড়ান্ত খেলার প্রথম ইনিংসে ১৬৯ রান তুলেন। এ পর্যায়ে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের শক্তিধর আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করেছিলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও ১৬৯ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।[২] এরফলে, ইস্টার্নস দল প্রথমবারের মতো শিরোপা লাভে সক্ষম হয়।[৩]
এরপূর্বে তার ব্যাটিং গড় ২৯.৬১ থাকলেও পরবর্তীকালে ৪০-এর অধিক গড়ে পৌঁছে।[৪] সাবেক তারকা খেলোয়াড় ব্যারি রিচার্ডসের পর ২০০৩-০৪ মৌসুমে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সুপারস্পোর্ট সিরিজের ইতিহাসে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।[৫]
২০০৫-০৬ মৌসুমে সুপারস্পোর্ট সিরিজের যৌথ শিরোপা বিজয়ী টাইটান্স দলের সদস্য ছিলেন। পরের মৌসুমে ওয়ারিয়র্সের পক্ষে খেলেন। তবে, দলটির পক্ষে কেবলমাত্র পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের সীমিত সুযোগ পান। ২০০৭-০৮ মৌসুমে পূর্বতন ক্লাব টাইটান্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৬৭ লাভ করেন।[৬] ২০০৬-০৭ ও ২০০৭-০৮ মৌসুমের এমটিএন ডমিস্টিক চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত খেলা দুটিতে অংশ নিলেও তার দল পরাজয়বরণ করেছিল।[৭][৮]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জান্ডার ডি ব্রুন। ২০ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৯] ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৪ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
নভেম্বর, ২০০৪ সালে ভারত গমনার্থে তাকে টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয়। অভিষেকে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেললেও দুই টেস্ট পর তাকে বাদ দেয়া হয়। ভারত সফরে সিরিজের উভয় টেস্টেই তার অংশগ্রহণ ছিল।[১০] তন্মধ্যে, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। পরবর্তীতে এ সংগ্রহটিই তার সেরা হিসেবে চিত্রিত হয়ে যায়।
নিজ দেশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। সিরিজের প্রথম টেস্টের পর জ্যাক ক্যালিসের প্রত্যাবর্তনে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।[১১] ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের পরাজয়বরণের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ঐ একই খেলায় এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ডেল স্টেইনের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। এরফলে স্বভাবতঃই তার আন্তর্জাতিক খেলার আশা নিরাশায় পরিণত হয় ও কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেট জীবনকে বেছে নিতে হয়।
২০০৫ সালে ওরচেস্টারশায়ারে যোগ দেন। তবে, তেমন সফলতা পাননি। ২০০৮ সালে সমারসেটে চলে যান। এ পর্যায়ে দলের জ্যেষ্ঠ ও অমূল্য খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ২০১০ সালে সারে দলের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।
২০০৫ সালে কোলপ্যাক নিয়মের আওতায় ওরচেস্টারশায়ার দলে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। এ সময়ে তিনি অবশ্য বেশ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর উইকেটগুলোর বিপরীতে প্রায় শতরান গড়ে খরচ করেন।[১২] কেবলমাত্র মৌসুমের শেষদিকে সমারসেটের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলে স্বীয় ব্যাটিং গড়ের উত্তরণ ঘটান।[১৩]
এপ্রিল, ২০০৮ সালে সমারসেটের কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন।[১৪] ২০০৯ সালেও দলটিতে অবস্থান করেন। তন্মধ্যে, টুয়েন্টি২০ কাপ প্রতিযোগিতায় দলের শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। জুন, ২০০৯ সালে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি লায়ন্সের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।[১৫] ৩ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে ঘোষণা করা হয় যে, সারে দলের কোলপ্যাক খেলোয়াড় হিসেবে এক বছরের জন্যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এ মৌসুম শেষে তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হবেন। ২০১৩ সাল শেষে সারে দল থেকে তাকে অবমুক্তি দেয়া হয়।[১৬]
ক্রিজে তার খেলার ধরন অনেকাংশেই দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ের অনুরূপ ছিল। সম্মুখসারির বোলারদের চাপ কমাতে মিডিয়াম-পেস বোলিং বেশ কার্যকর ছিল। রান রেট আটকাতে সক্ষম হতেন ও থিতু হয়ে যাওয়া জুটি ভেঙ্গে ফেলতেন।
দীর্ঘদেহী ও দর্শনীয় ব্যাটিংশৈলীর অধিকারী জান্ডার ডি ব্রুন ড্রাইভে বেশ দক্ষ ছিলেন। তবে, ফাস্ট, শর্ট পিচ বোলারদের বিপক্ষে তার দূর্বলতা প্রশ্নবিদ্ধ। জুটিতে ফাটল ধরাতে কিংবা দীর্ঘক্ষণ আঁটোসাটো বোলিংয়ে তার জুড়ি মেলা ভার।
এপ্রিল, ২০১৪ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি।[১৭]