![]() | এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
জান্নি ইনফান্তিনো | |
---|---|
Giovanni Vincenzo Infantino | |
![]() ২০১৮ সালে ইনফান্তিনো | |
৯ম ফিফা সভাপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ | |
পূর্বসূরী | ইসা হায়াতু (ভারপ্রাপ্ত) |
উয়েফা মহাসচিব | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১ অক্টোব, ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | ডেভিড টেলর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ব্রিগ, সুইজারল্যান্ড | ২৩ মার্চ ১৯৭০
জাতীয়তা | ইতালীয় ও সুইস |
পেশা | ক্রীড়া প্রশাসক |
জোভান্নি ভিনচেন্ৎসো ইনফান্তিনো, যিনি জান্নি ইনফান্তিনো (ইতালীয় উচ্চারণ: [ˈdʒanni infanˈtiːno]; জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯৭০) নামে পরিচিত, ব্রিগ -এ জন্মগ্রহণকারী সুইস-ইতালীয় ফুটবল প্রশাসক ও বর্তমান ফিফা সভাপতি।[১] ইতালি ও সুইৎজারল্যান্ড - উভয় দেশের নাগরিক তিনি।[২][৩] ২০০৯ সাল থেকে উয়েফা'র মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন জান্নি ইনফান্তিনো। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ফিফা'র এক্সট্রাঅর্ডিনারী কংগ্রেস সভা চলাকালীন তাকে ফিফা'র সভাপতিরূপে নির্বাচিত করা হয়।[২][৪]
ইনফান্তিনো ২০০০ সালের আগস্ট মাসে উয়েফায় কাজ করতে শুরু করেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি উয়েফার বৈধ কার্যক্রম ও ক্লাব নিবন্ধন বিভাগের পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন। ২০০৭ সালে উয়েফার উপ-মহাসচিব হন ও অক্টোবর, ২০০৯ সালে উয়েফার মহাসচিব হন।[২][৫] এসময়ে উয়েফা আর্থিক স্বচ্ছতা খেলার প্রবর্তন ঘটায় ও ক্ষুদ্র জাতীয় সংস্থাগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।[৫] ২০১৬ সালে উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতায় ২৪ দলে সম্প্রসারণের বিষয়ে তিনি দৃষ্টি রেখেছিলেন।[৬]
২০১৫ সালে গ্রিসের সরকারের নতুন ক্রীড়ানীতি প্রবর্তনের বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সরকারের হস্তক্ষেপের ফলে হেলেনিক ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক গ্রিক সরকারকে সতর্কবার্তা প্রদানে নীতিগত সমর্থন ব্যক্ত করেন।[৭][৮]
ফিফার পুনর্গঠন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন ইনফান্তিনো।[৯] ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে উয়েফা নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে ২০১৬ সালের ফিফা এক্সট্রাঅর্ডিনারী কংগ্রেসে সভাপতি হিসেবে নিজ প্রার্থীতা দাখিল করেন। একই দিনে তিনি তার প্রার্থীতা নিশ্চিত করেন ও প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য আহ্বান জানান।[১০] তিনি ফিফা বিশ্বকাপে ৪০ দলের অংশগ্রহণের প্রসার ঘটাতে চান।[১১]
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে তিন বছর মেয়াদে ফিফা সভাপতিরূপে নির্বাচিত হন।[৩] ৮ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে সাবেক সভাপতি সেপ ব্লাটারকে বহিষ্কার ও ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে ফুটবল-সম্পর্কীয় সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিষয়েও তাকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়,[১২][১৩] তারপর, ক্যামেরুনের ইসা হায়াতু ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, ২০১৬ সালে প্রথমবার তিন বছরের ফিফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ইনফান্তিনো। ২০১৯ সালে পুনরায় সেই পদে নির্বাচিত হন তিনি। ২০২২ সালে টানা তৃতীয়বারের মত ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হন এই সুইস-ইতালিয়ান নাগরিক[১৪]
ফ্রাইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন।[১৫] ইতালী, ফরাসী ও জার্মান ভাষায় অনর্গল কথা বলতে অভ্যস্ত তিনি। এছাড়াও, ইংরেজি, স্পেনীয় ও আরবী ভাষায়ও তার দখল রয়েছে।[১] নিউচাতেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া শিক্ষা কেন্দ্রের মহাসচিব হিসেবে কাজ করেছেন।[২]
লেবানীয় লিনা আল আশকারের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ তিনি। তাদের সংসারে চার সন্তান রয়েছে। ইতালীয় সিরি এ ক্লাব ইন্টার মিলানের একনিষ্ঠ সমর্থক তিনি।[১৬]
পূর্বসূরী লার্স-ক্রিস্টার অলসন |
উয়েফা প্রধান নির্বাহী ২০০৭ |
উত্তরসূরী ডেভিড টেলর |
পূর্বসূরী ডেভিড টেলর |
উয়েফা মহাসচিব ২০০৯–২০১৬ |
উত্তরসূরী পদ শূন্য |
পূর্বসূরী ইসা হায়াতু (ভারপ্রাপ্ত) |
ফিফা সভাপতি ২০১৬–বর্তমান |
উত্তরসূরী নির্ধারিত হয়নি |