![]() | |
সংঘ | জাপান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন |
---|---|
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (১৯৮৯) সহযোগী (২০০৫) |
আইসিসি অঞ্চল | আইসিসি ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | নাই (আঞ্চলিক টুর্নামেন্টসমূহ) |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | ![]() ![]() (কুয়ালালামপুর; ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) |
৯ আগস্ট ২০১৬ অনুযায়ী |
জাপান জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় জাপান এর প্রতিনিধিত্ব করে। জাপানের ক্রিকেট দলটি জাপান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (JCA) গঠন করে, যারা ১৯৮৯ সাল থেকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর সদস্য। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ এসিসি ট্রফিতে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাপানের অভিষেক হয়। জাপানের মোট খেলা ম্যাচের অধিকাংশই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় খেলা এবং সাধারণত আইসিসি ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক উন্নয়ন অঞ্চলের অন্যান্য দলগুলোর বিপক্ষে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জাপান বিশ্ব ক্রিকেট লীগ (WCL)-এ অংশগ্রহণ করে, যার এক পর্যায়ে তারা পঞ্চম বিভাগ-এ পৌছায়।
১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা জাপানে ক্রিকেটের পরিচিতি লাভ হয়। কিন্তু ১৯৮০ এর দশকের আগে খেলাটি সংগঠিত ছিল না। তবে এরপর জাপান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হওয়ার পর জাপানে সংগঠিতভাবে ক্রিকেটের সুচনা হয়।[১] ১৯৮৯ সালে তারা আইসিসির অনুমোদিত সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে[২] এবং জাপান জাতীয় দল ১৯৯৬ এসিসি ট্রফিতে প্রথম কোন ম্যাচ খেলে। যদিও টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচেই তারা পরাজিত হয় যার মধ্যে ফিজির কাছে ৩৮০ রানের ব্যবধানে একটি পরাজয় রয়েছে।[৩] তারা এরপরে একইভাবে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালের টুর্নামেন্টও কোন সাফল্য ছাড়াই শেষ করে।[৪][৫]
২০০০ সালের এসিসি ট্রফির পর জাপান এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ছেড়ে আইসিসি এর ইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যোগ দেয়। তারা ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া ইস্ট এশিয়া এইটস টুর্নামেন্টে অংশ নেয় যেখানে তারা অস্ট্রেলিয়ার একটি দলের কাছে পরাজিত হয়ে রানার্সআপ হয়।[৬] ইন্দোনেশিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল ও দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল ছিল ঐ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বাকি দল।[৭] ২০০৪ সালে তারা ইস্ট এশিয়া ক্রিকেট চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে যা ২০০৭ বিশ্বকাপ এর বাছাই এর একটি অংশ ছিল। প্লেঅফে ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে জাপান সেই টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান লাভ করে।[৮]
২০০৫ সালের জুন মাসে জাপান আইসিসি এর সহযোগী সদস্য হিসেবে উন্নীত হয়[১] এবং একই বছর ভানুয়াতুতে অনুষ্ঠিত ২০০৫ আইসিসি ইএপি ক্রিকেট কাপ -এ অংশ নেয়। যেখানে তারা ফাইনালে কুক দ্বীপপুঞ্জকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।[৯] পরের বছর তারা ব্রিসবেন-এ অনুষ্ঠিত ২০০৬ আইসিসি ইএপি ক্রিকেট ট্রফিতে অংশ নেয়, কিন্তু তারা ৩ দলের মধ্যে তৃতীয় হয় যেখানে বাকি দুটি দল ছিল ফিজি ও কুক দ্বীপপুঞ্জ।.[১০]
২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপান নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড-এ অনুষ্ঠিত ২০০৭ আইসিসি ইএপি ক্রিকেট ট্রফিতে অংশ নেয়। যেখানে তারা কুক দ্বীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়া, সামোয়া, টোঙ্গা এবং ভানুয়াতুর মুখোমুখি হয়।[১১] জাপান ঐ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং জার্সি তে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ক্রিকেট লীগ এর পঞ্চম বিভাগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু অংশগ্রহণকারী ১২ দলের মধ্যে জাপান ১০ম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে।[১২][১৩]
২০১৬ সালের ২২ মার্চ ঘোষণা করা হয় যে, সানো, তোচিগিতে সানো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ তৈরি হবে যা হবে শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য তৈরি জাপানের প্রথম কোন স্টেডিয়াম।[১৪]
Japan | ||||
---|---|---|---|---|
নাম | বয়স | ব্যাটিং এর ধরন | বোলিং এর ধরন | |
কো ইরি | ৪২ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ||
গ্যাভিন বিথ | ৪৬ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি ফাস্ট বোলার | |
কেনজি মুরাতা | ৪৩ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | লেগ ব্রেক | |
মাসাওমি কোবায়াশি (অধি) | ৪২ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি সিম বোলার | |
মুনির আহমেদ | ৫৮ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | লেগ ব্রেক | |
নাওকি মিয়াজি | ৪৬ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি ফাস্ট বোলার | |
প্যাট্রিক জাইলস-জোন্স | ৪২ | বামহাতি ব্যাটসম্যান | বামহাতি ফাস্ট বোলার | |
নাওতসুনে মিয়াজি | ৩৬ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি ফাস্ট বোলার | |
তাতসুরো চিনো (উই) | ৪০ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ||
চিমা রাজাক | ৪৬ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | বামহাতি ফাস্ট বোলার | |
তাকুরো হাগিহারা | ৩৯ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি ফাস্ট বোলার | |
ফুমিহিগো উয়েগাকি | ৩৫ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ||
ইউতা মাতসুবারা | ৫০ | বামহাতি ব্যাটসম্যান | বামহাতি ফাস্ট বোলার | |
সাতশি নাকানো | ৩৮ | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি ফাস্ট বোলার | |
প্রশান্ত কালে | ৪৩ | ডান হাতিব্যাটসম্যান | অফ ব্রেক | |
ইনামোতা ইয়াতিশিকা | ৩৯ | বামহাতি ব্যাটসম্যান | লেগ ব্রেক |