প্রধান কার্যালয় | টোকিও, জাপান |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৩৫°৪১′১০″ উত্তর ১৩৯°৪৬′১৭″ পূর্ব / ৩৫.৬৮৬১° উত্তর ১৩৯.৭৭১৫° পূর্ব |
প্রতিষ্ঠিত | ২৭ জুন ১৮৮২ / ১০ অক্টোবর ১৮৮২ |
মালিকানা | জাপান সরকার (৫৫%) জনগণ (৪৫%)[১] শেয়ারবাজার প্রতীক: JASDAQ: 8301 |
গভর্নর | হারুহিকো কুরোদা (২০ মার্চ ২০১৩- ) |
এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক | জাপান |
মুদ্রা | জাপানি ইয়েন JPY (আইএসও ৪২১৭) |
সঞ্চয় | ১,১৭৯,৫০০ মিলিয়ন ডলার[১] |
ঋণের হার | -০.১০%[২] |
ওয়েবসাইট | www.boj.or.jp |
জাপান ব্যাংক (জাপানি: 日本銀行, প্রতিবর্ণীকৃত: Nippon Ginkō) হল জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। [৩] ব্যাংকটিকে প্রায়ই সংক্ষেপে নিছিগিন-Nichigin (日銀) বলা হয়। এটির সদর দফতর জাপানের রাজধানী টোকিও-তে অবস্থিত। [৪]
জাপানের বেশিরভাগ আধুনিক প্রতিষ্ঠানের মতো জাপান ব্যাংকও মেইজি পুনর্গঠনের পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মেইজি পুনর্গঠনের পূর্বে জাপানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং তথাকথিত জাতীয় ব্যাংকসমূহ উভয়ই মদ্রা ইস্যু করতো। ১৮৮২ সালে জাপান ব্যাংক অ্যাক্ট (১৮৮২)-এর অধীনে জাপান ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫] ১৮৮৪ সালে ব্যাংকটিকে জাপানি মুদ্রা ছাপানো ও প্রবর্তনের একক অধিকার দেয়া হয়।[৬] [৭] যদিও, এতদিন প্রচলিত মুদ্রাগুলো পরবর্তী ২০ বছরের জন্য বৈধ রাখা হয়েছিলো।
কনভার্টিবল ব্যাংক নোট রেগুলেশন (১৮৮৪) পাস হওয়ার পর জাপান ব্যাংক ১৮৮৫ সালে প্রথম নোট ইস্যু করে (মেইজি ১৮)। ১৮৯৭ সালে, জাপান স্বর্ণমান ব্যবস্থায় প্রবেশ করে [৮] এবং ১৮৯৯ সালে আগের প্রচলিত সকল জাতীয় মুদ্রা ও নোট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
জাপান ব্যাংক অ্যাক্ট (১৯৪২) (日本銀行法 昭和17年法律第67号)-এর অধীনে ১৯৪২ সালে জাপান ব্যাংক পুনর্গঠন করা হয়। [৯] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৪৫ সালে, মিত্র বাহিনী কর্তৃক জাপান দখলের সময় ব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল এবং সামরিক মুদ্রা জারি করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে ব্যাংকটি আবার পুনর্গঠিত হয়েছিল। [৯]
জাপান ব্যাংক অ্যাক্ট (১৯৯৭) সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যাংকটিকে অধিকতর স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিলো। [১০] এর আগে ব্যাংকটি জবাবদিহিতার অভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছে। [১১] যাইহোক, নতুন আইন প্রবর্তনের পর থেকে, জাপান ব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবিদ্ধি ও বিকাশের স্বার্থে সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
ব্যাংকের চার্টার/সনদ অনুসারে ব্যাংকটির প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হচ্ছে:
জাপান ব্যাংকের সদর দফতর টোকিও শহরের জিনজা জেলায় বিখ্যাত সাবেক স্বর্ণ টাকশাল এবং রূপা টাকশালের পাশেই অবস্থিত। তাতসুনো কিংগো ১৮৯৬ সালে জাপান ব্যাংক ভবনটি (নিও-বারোক) নকশা করেছিলো।
নাকানোশিমাতে জাপান ব্যাংকের ওসাকা শাখাটি একটি নান্দনিক স্থাপনা যেটিকে একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর | |
---|---|
সম্বোধনরীতি | মহামান্য |
নিয়োগকর্তা | প্রধানমন্ত্রী |
মেয়াদকাল | ৫ বছর |
সর্বপ্রথম | ইয়োশিহারা শিগোটোশি |
গঠন | ৬ অক্টোবর ১৮৮২ |
জাপান ব্যাংকের গভর্নরের (総裁 sōsai) জাপান সরকারের অর্থনৈতিক নীতির উপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। জাপানের আইনপ্রণেতারা জাপান ব্যাংকের গভর্নর হারুহিকো কুরোডাকে অনুমোদন দিয়েছে।[১২]
ক্রম | গভর্নর | দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব হস্তান্তর |
---|---|---|---|
১ | ইয়োশিহারা শিগোটোশি | ১৮৮২ | ১৮৮৭ |
২ | টমিতা টেটসুনোসুকে | ১৮৮৮ | ১৮৮৯ |
৩ | কাওয়াদা কোইচিরো | ১৮৮৯ | ১৮৯৬ |
৪ | ইওয়াসাকি ইয়ানসুক | ১৮৯৬ | ১৮৯৮ |
৫ | তাতসুও ইয়ামামোটো | ১৮৯৮ | ১৯০৩ |
৬ | সিগেউসি মাতসউ | ১৯০৩ | ১৯১১ |
৭ | করিকিয়ো তাকাহাশি | ১৯১১ | ১৯১৩ |
৮ | ইয়াতারও মিশিমা | ১৯১৩ | ১৯১৯ |
৯ | জুননসুক ইনউই (প্রথম) | ১৯১৯ | ১৯২৩ |
১০ | ওটোহিকো ইচিকি | ১৯২৩ | ১৯২৭ |
১১ | জুননসুক ইনউই (দ্বিতীয়) | ১৯২৭ | ১৯২৮ |
১২ | হিসাকিরা হিজিকাতা | ১৯২৮ | ১৯৩৫ |
১৩ | এইগো ফুকাই | ১৯৩৫ | ১৯৩৭ |
১৪ | সেহিন ইকেদা | ১৯৩৭ (ফেব্রুয়ারি) | ১৯৩৭ (জুলাই) |
১৫ | টয়োটারো ইউকি | ১৯৩৭ (জুলাই) | ১৯৪৪ |
১৬ | কেইজো শিবুসাওয়া | ১৯৪৪ | ১৯৪৫ |
১৭ | ইকিচি আরাকি (প্রথম) | ১৯৪৫ | ১৯৪৬ |
১৮ | হিসাতো ইচিমাদা | ১৯৪৬ | ১৯৫৪ |
১৯ | ইকিচি আরাকি (দ্বিতীয়) | ১৯৫৪ | ১৯৫৬ |
২০ | মাসামিচি ইয়ামাগিওয়া | ১৯৫৬ | ১৯৬৪ |
২১ | মাকোটো উসামি | ১৯৬৪ | ১৯৬৯ |
২২ | তাদাশী সাসাকি | ১৯৬৯ | ১৯৭৪ |
২৩ | তেইচিরো মরিনাগা | ১৯৭৪ | ১৯৭৯ |
২৪ | হারুও মাইকাওয়া | ১৯৭৯ | ১৯৮৪ |
২৫ | সাতোশি সুমিতা | ১৯৮৪ | ১৯৮৯ |
২৬ | ইয়াসুশি মিয়েনো | ১৯৮৯ | ১৯৯৪ |
২৭ | ইয়াসুও মাতুশিটা | ১৯৯৪ | ১৯৯৮ |
২৮ | মাসারু হায়ামি | ১৯৯৮ | ২০০৩ |
২৯ | তোশিহিকো ফুকুই | ২০০৩ | ২০০৮ |
৩০ | মাসাকি শিরাকাওয়া | ২০০৮ | ২০১৩ |
৩১ | হারুহিকো কুরোদা | ২০১৩ | বর্তমান |
নীতিনির্ধারণী বোর্ড ব্যাংকের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী পর্ষদ। নীতিনির্ধারণী পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ৯ জন। পর্ষদের বর্তমান সদস্যরা হল: [১৩]