জাপানের রাজকীয় মোহর | |
---|---|
আর্মিজার | নারুহিতো, জাপানের সম্রাট |
গৃহীত | ১১৮৩ |
ক্রেস্ট | চন্দ্রমল্লিকা |
অডার | ক্রাইস্যান্থেমামের অধ্যাদেশ |
জাপানের রাজকীয় মোহরকে চন্দ্রমল্লিকা (ক্রিসেনথিমাম) সিলও (菊紋) বলা হয়। মোহরটি যেসব নামে সর্বাধিক পরিচিত তা হল চন্দ্রমল্লিকা পুষ্প মোহর (菊花紋, 菊花紋章 kikukamon, kikukamonshō) বা রাজকীয় চন্দ্রমল্লিকা মোহর (菊の御紋 kikunogomon)। এটি এক জাতীয় প্রতীক বা ক্রেস্ট হিসেবে জাপানের সম্রাট এবং রাজকীয় পরিবার সদস্যরা ব্যবহার করে। এটি জাপানি সরকার কর্তৃক ব্যবহৃত সরকারি প্রতীকের (菊কিকুমন ) বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
মেইজি যুগে জাপানের সম্রাট ব্যতীত আর কারোরই রাজকীয় মোহর ব্যবহার করার অনুমতি ছিল না।
তিনি ১৬টি পাপড়ি বিশিষ্ট চন্দ্রমল্লিকা ফুলের মোহর ব্যবহার করতেন। মোহরটির প্রথম সারির পেছনে অন্য একটি সারি অর্ধাংশ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু রাজ পরিবারের প্রতিটি সদস্য সীলটির কিছুটা ভিন্ন সংস্করণ ব্যবহার করতেন। শিন্তো মন্দিরগুলি তাদের নিজস্ব প্রতীকগুলিতে এই মোহরটিকে ব্যবহার করত। জাপানের পূর্ব ইতিহাস হতে পাওয়া যায় ১৩৩৩ সালে শোগুনেটের সম্রাট গো-দায়েগো নিজেকে উত্তর কোর্টের সম্রাট ক্যাগন থেকে আলাদা করার জন্য সতেরো পাপড়ির সিল ব্যবহার করতেন। শাস্তিস্বরূপ তাকে নির্বাসন দেওয়া হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ]
প্রতীকটি হলুদ বা কমলা চন্দ্রমল্লিকা (ক্রিসেনথিমাম) যা কালো বা লাল দাগরেখা দ্বারা পটভূমি থেকে পৃথক করা থাকে। এটির কেন্দ্রীয় গোল অংশটি ১৬ টি পাপড়ি বিশিষ্ট একটি চন্দ্রমল্লিকা ফুলের অংশ। ১৬টি পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলের পিছনের সেটটির উপরের প্রান্ত দৃশ্যমান। ক্রাইসান্থেমামের অর্ডার অফ ব্যাজে এই মোহর ব্যবহার করা হয়।
জাপানের রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ১৪টি একক পাপড়ি বিশিষ্ট ক্রাইসান্থেমামের একটি সংস্করণ ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ১৬টি একক পাপড়িসহ মোহরটি জাতীয় আইনসভার সদস্যদের পিন, অর্ডার, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সামগ্রীতে ব্যবহৃত হয় যা সম্রাটের প্রতিনিধিত্ব ও কর্তৃত্ব বহন করে। সাম্রাজ্যের প্রতীকটি রাজকীয় পরিবারের পরিচায়ক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।[১]