জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান جماعت اسلامی پاکستان ইসলামি মহাসভা পাকিস্তান | |
---|---|
সংক্ষেপে | JI |
সভাপতি | হাফিজ নাইমুর রহমান |
সাধারণ সম্পাদক | আমির উল আজিম |
প্রতিষ্ঠাতা | আবুল আ'লা মওদুদী |
প্রতিষ্ঠা | ২৬ আগস্ট ১৯৪১লাহোর, ব্রিটিশ ভারত, ১৯৪৭ (পাকিস্তান) |
পূর্ববর্তী | জামায়াতে ইসলামী |
পরবর্তী | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী[১] |
সদর দপ্তর | মুলতান রোড, মনসুরা, লাহোর |
সংবাদপত্র | ডেইল জাসরাত |
ছাত্র শাখা | ইসলামী জামায়াতে তলাবা |
যুব শাখা | শাবাবে মিল্লি[২]
জে আই ইয়ুথ[৩] |
ভাবাদর্শ | ইসলামবাদ সর্ব-ইসলামবাদ ইসলামী গণতন্ত্র পুঁজিবাদবিরোধীতা কমিউনিজমবিরোধীতা উদারনীতিবাদবিরোধীতা |
রাজনৈতিক অবস্থান | ডানপন্থী রাজনীতি |
ধর্ম | ইসলাম[৪] |
জাতীয় অধিভুক্তি | মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমাল |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | JI (ভারত) JI (বাংলাদেশ) JI (কাশ্মীর) JI (Srilanka) |
আনুষ্ঠানিক রঙ | সবুজ , সাদা |
নির্বাচনী প্রতীক | |
দলীয় পতাকা | |
ওয়েবসাইট | |
www www |
জামায়াতে ইসলামি (উর্দু : جماعتِ اسلامی) বা JI হল পাকিস্তানে সক্রিয় একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। এটি ১৯৪১ সালে ঔপনিবেশিক ভারতে প্রতিষ্ঠিত জামায়াত-ই-ইসলামির পাকিস্তানি উত্তরসূরি। [৫] এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, পাকিস্তানকে একটি ইসলামি রাষ্ট্রে রূপান্তর করা, যা শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। তবে তা ধীরে ধীরে আইনি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে বলে দলটি অভিমত ব্যক্ত করে। [৬] জামাত দলটি পুঁজিবাদ, কমিউনিজম, উদারনীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতার পাশাপাশি ব্যাংক সুদের মতো অর্থনৈতিক অনুশীলনের তীব্র বিরোধিতা করে।
দলটির প্রধান নেতাকে আমীর বলা হয়। যদিও এটির বিরাটসংখ্যক জনপ্রিয় অনুসারী নেই; তবে দলটি বেশ প্রভাবশালী এবং দেওবন্দী ও বেরেলভী ( জমিয়তে উলেমা-ই ইসলাম ও জমিয়তে উলেমা-ই-পাকিস্তান) দলের সাথে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান ইসলামি দল হিসাবে বিবেচিত হয়।[৭] জামায়াত-ই-ইসলামি ১৯৪১ সালে মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক ও সামাজিক-রাজনৈতিক দার্শনিক আবুল আলা মওদুদির দ্বারা ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি মুঘল সম্রাট আলমগীরের শরিয়াভিত্তিক শাসন দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত ছিলেন। [৮] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মওদুদী ও জামায়াত-ই-ইসলামী ভারত ভাগের বিরোধিতার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিল।[৯][৫][১০]
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর দলটি দুটি সংগঠনে বিভক্ত হয়: জামায়াত-ই-ইসলামী পাকিস্তান ও জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ।[১১] জামায়াতের অন্যান্য শাখার মধ্যে রয়েছে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীর, ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জামাত-ই-ইসলামী আজাদ কাশ্মীর ও ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১৯৪৮, ১৯৫৩ এবং ১৯৬৩ সালে জামায়াত-ই-ইসলামী পাকিস্তান কঠোর সরকারি দমন-পীড়নের মধ্যে পড়ে।[১২] জেনারেল মুহম্মদ জিয়া-উল-হকের শাসনামলের প্রথম দিকে জামাতের অবস্থানের উন্নতি হয়।[১৩]
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অন্য পাকিস্তানি রাজনৈতিক দলগুলির মতো জামায়াতও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে।[১৪] যুদ্ধের পর ১৯৭৫ সালে আমীর হিসাবে আব্বাস আলীর নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। [৬] ১৯৮০ এর দশকের দিকে পাকিস্তানি জামায়াত কাশ্মীরের জামায়াত-ই-ইসলামীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং কাশ্মীরের সশস্ত্র বিদ্রোহে সমর্থন জোগায়। [১৫][১৬]