বর্তমান প্রবন্ধে প্রাগৈতিহাসিক থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত জাম্বিয়ার ইতিহাস সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।
জাম্বিয়ার কাবোয়ে অঞ্চলে ১৯২১ সালে ২,০০,০০০ বছর আগের মানব জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়। এটিই ছিল আফ্রিকায় আবিষ্কৃত প্রথম মানব জীবাশ্ম।[১]
খোইসান উপজাতির লোকেরা জাম্বিয়ার আদি বাসিন্দা। তারা বুশম্যান, বা বন্য প্রাণী ভক্ষণকারী হিসেবে পরিচিত একটি জাতিসত্তা। ফলমূল আহরণ বা শিকারের মাধ্যমে তারা জীবন ধারণ করে। তাদের চেহারা ছিল বাদামি বর্ণের এবং তারা যাযাবর জীবনযাপন করত। তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি ছিল স্টোনহেঞ্জ যুগের।
চতুর্থ শতাব্দী পর্যন্ত খোইসান ছাড়া অন্য কোনো জাতির লোক জাম্বিয়ায় বসবাস করত না। ঐ সময়েই জাম্বিয়ায় বান্টুদের অভিবাসন শুরু হয়।[২]
বান্টুদের পেশা ছিল কৃষি এবং তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি ছিল উন্নতমানের। তারা ইস্পাত ও তামার হাতিয়ার ব্যবহার করত এবং একই সাথে মৃৎশিল্পেও তারা সুপটু ছিল। তারা ছোট ছোট স্বনির্ভর এলাকায় বসবাস করত এবং গোচারণ ও খাদ্যশস্য উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত।
টোঙ্গা জাতিসত্তার মানুষ জাম্বেজি নদীতীরবর্তী দক্ষিণ জাম্বিয়ায় বসবাস করে। তারা জাম্বিয়ার বর্তমান জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন একটি জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব করে। টোঙ্গা শব্দটি শোনা ভাষা হতে উদ্ভূত হয়েছে, যার অর্থ স্বাধীন।
জাম্বিয়ার আদি কৃষকরা কাটো এবং জ্বালাও (Slash and burn) পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতেন। তাই ভূমির ব্যবহার শেষ হওয়ামাত্রই তাদের ক্রমশ দক্ষিণে সরে যেতে হতো। এ সময় খোইসানদের হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করা হত।
কৃষিকাজের প্রবর্তনের সাথে সাথে জনসংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে আরো পরিশীলিত সমাজব্যবস্থার সৃষ্টি হয়। গ্রামগুলো স্বনির্ভরতা ধরে রাখলেও তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তামা খননের হার বেড়ে যেতে থাকে, এবং মুদ্রা হিসেবে এর ব্যবহার শুরু হয়। [৩] হাতির দাঁত ছিল একটি প্রধান রপ্তানিদ্রব্য, যেখানে তুলা ছিল একটি প্রধান আমদানিদ্রব্য। কারিবা বাঁধের কাছে অবস্থিত ইং-ওম্বে-ইলেদে এসময়ের একটি প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রগতির ফলে রাজনৈতিক সম্পর্ক ও জটিলতর সমাজব্যবস্থার সূচনা ঘটে।
ষোড়শ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে জাম্বিয়ায় সংঘবদ্ধ ইস্পাতযুগীয় সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। অনেকেই এখানে অভিবাসী হতে শুরু করে। এসময় জাম্বিয়ায় চারটি মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। এগুলো হলো কাজেম্বে লোনডা,বেম্বা,চেওয়া ও লোজি- যেগুলো জাম্বেজি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে। [৪]
আরব ও পর্তুগিজরা অষ্টাদশ শতাব্দীতে জাম্বিয়ায় আসতে শুরু করে। ম্যানুয়েল কায়েতানো পেরেরা জাম্বিয়ায় আগত প্রথম পর্তুগিজ, যিনি ১৭৯৬ সালে এখানে পা রাখেন। ১৭৯৮ সালে ফ্রান্সিসকো দি লাসেরডা এখানে আগমন করেন। মোজাম্বিকের তেতে শহর হয়ে তারা কাজেম্বে লোনডায় পৌঁছান এবং সেখানকার গোত্রপ্রধানের সাথে দেখা করেন। তাঁরা মোজাম্বিক ও অ্যাঙ্গোলার সাথে জাম্বিয়ার একটি বাণিজ্যিক যোগাযোগের পথ নির্মাণের প্রস্তাব দেন। কাজেম্বে লোনডায় পৌঁছানোর কিছুদিনের মধ্যে লাসেরডা মারা যান। কিন্তু তিনি একটি অত্যন্ত মূল্যবান জার্নাল লিখে যান, যা পরবর্তীতে রিচার্ড বার্টন ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।
ডেভিড লিভিংস্টোন জাম্বিয়ায় পা রাখা প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী। তিনি জাম্বিয়া নদীর ঊর্ধ্ব মোহনায় ১৮৫৫ সালে তার বিখ্যাত অভিযান শুরু করেন। তিনি জাম্বেজি নদীর নিকটে মইসি-উয়া-তোনুয়া জলপ্রপাত পরিদর্শনকারী প্রথম ইউরোপীয়। জলপ্রপাতের নিকটে অবস্থিত জাম্বিয়ান শহরটির নামকরণ তাঁর নামানুসারে করা হয়েছে। লিভিংস্টোন ১৮৭৩ সালে জাম্বিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।[৫]
লোজি রাজ্যের বাসিন্দারা তাদের ভূখণ্ডে আরব ও পর্তুগিজদের আগমন ভালো চোখে দেখেনি। তারা নিজেদের আলুয়ু নামে পরিচয় দিত এবং নিজেদের ভূখণ্ডকে এনগুলু বলে সম্বোধন করত। এ রাজ্যের রাজাকে বলা হতো লিতুঙ্গা। লিতুঙ্গার দুইটি রাজধানী ছিল - গ্রীষ্মকালে লিয়ালুই এবং বর্ষাকালে লিমুলুঙ্গা। গ্রীষ্ম থেকে বর্ষায় রাজধানী পরিবর্তনের ঘটনাটি কুওমবোকা উৎসবের মাধ্যমে আজও উদ্যাপন করা হয়।
মাকোলোকো দক্ষিণ আফ্রিকার বাসোথো ও সোয়ানো গোত্রের অংশ। ১৮২০ সালে জুলুদের হাতে পরাজয়ের পর তাদের উত্তরের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। তখন তারা লোজি রাজ্য দখল করে সেখানেই রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে। মাকোলোকোদের প্রধান সেবিতওয়ানে নতুন লিতুঙ্গা নির্বাচিত হন।
সেবিতওয়ানের পর তার কন্যা মামোচিসানে নতুন লিতুঙ্গা নির্বাচিত হন। সৎ-ভাই সেকেতুলুর জন্য তিনি সিংহাসন ছেড়ে দেন। ১৮৬৩ সালে সেকেতুলুর মৃত্যুর পর মাকোলোকো অভিজাততন্ত্রের পতন ঘটে, এবং তারা মালাউই পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
১৮৮৮ সালে মধ্য আফ্রিকায় ব্রিটিশদের প্রতিনিধি সেসিল রোডেস জাম্বিয়ার স্থানীয় গোত্রপ্রধানদের কাছ থেকে তাদের নিজস্ব খনিজ সম্পদ ব্যবহারের অনুমতি পান। রোডেসের মালিকানাধীন ব্রিটিশ সাউথ আফ্রিকা কোম্পানি ভূখণ্ডটির তত্ত্বাবধান করলেও এটি নিয়ে তাদের সামান্যই আগ্রহ ছিল। [৬]
উপনিবেশটির অর্থনীতিতে তামা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমেরিকান স্কাউট ফ্রেডেরিক রাসেল বার্নহাম ১৮৯৫ সালে উত্তর আফ্রিকা জুড়ে অভিযান পরিচালনা করে এবং তামার একটি বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলে।
১৯২৩ সালে ব্রিটিশ সরকার কোম্পানিটির সনদ নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে দক্ষিণ রোডেশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ সরকার অধিগ্রহণ করে এবং স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে। এর রাজধানী হয় লিভিংস্টোন। ১৯৩৫ সালে উত্তরাঞ্চলের লুসাকা শহরে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। ইউরোপীয় সংখ্যালঘুদের দ্বারা একটি বিধানসভাও নির্বাচিত হয়।
১৯২৮ সালে আবারো এখানে বিপুল পরিমাণ তামার মজুদ আবিষ্কৃত হয়। ১৯৩৮ সালে এটি বিশ্বের ১৩% তামা উৎপাদন করে। অ্যাংলো-আমেরিকান কর্পোরেশন ও রোডেসিয়ান সিলেকশন ট্রাস্ট নামক দুটি প্রতিষ্ঠান এখানে খননকার্য পরিচালনা করে।
১৯৩৫ সালে আফ্রিকান খনিশ্রমিকরা অধিকতর সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে আন্দোলন করলে কর্তৃপক্ষ সেই আন্দোলন সহিংসভাবে দমন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপীয় খনিশ্রমিকরাও অধিকতর বেতনের জন্য বিক্ষোভ করে।
১৯৫৩ সালে উত্তর রোডেশিয়া, দক্ষিণ রোডেশিয়া ও নিয়াসাল্যান্ড (বর্তমান মালাউই) একীভূত করে কেন্দ্রীয় আফ্রিকান ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৬২ সালের নির্বাচনে আফ্রিকান স্বাধীনতাপন্থীরা বিজয় লাভ করলে ১৯৬৩ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ফেডারেশন ভেঙে যায় এবং ১৯৬৪ সালের ২৪শে অক্টোবর জাম্বিয়া স্বাধীন হয়। [৭]
শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাবে স্বাধীন জাম্বিয়া প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি স্বাধীনতাপূর্ব নির্বাচনে ৭৫টির মধ্যে ৫৫টি আসনে বিজয়লাভ করে এবং কেনেথ কাউন্ডা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পরে দেশটি রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হয়।
কাউন্ডা আফ্রিকান সমাজতন্ত্রের ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত অর্থনীতি ও একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
১৯৬৮ সালে কাউন্ডা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে ইউএনআইপি ছাড়া অন্য সকল দল নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ইউএনআইপির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাঠামো ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। হ্যাঁ-না ভোটে কাউন্ডা ১৯৭৩,১৯৭৮,১৯৮৩ এবং ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার পরে জাম্বিয়া বাম ধারার অর্থনৈতিক মডেল অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। এটি তামার উপর অতি নির্ভর হয়ে পড়ায় দ্রুতই সমস্যার মুখে পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন তামা রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তামার দাম দ্রুত হ্রাস পায়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে জাম্বিয়ার অর্থনীতিতে ৩০% সংকোচন ঘটে। [৮]
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জাম্বিয়ান সরকার বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ ধার করে, কিন্তু কোনরূপ কাঠামোগত পরিবর্তন সাধনে ব্যর্থ হয়।
জাম্বিয়া উপনিবেশবাদী ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববিরোধী দেশগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস, জিম্বাবুয়ের জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান পিপলস ইউনিয়ন(জাপু)ও নামিবিয়ার সোয়াপো-কে কাউন্ডা সরকার সমর্থন করে।এএনসির লুসাকায় একটি অস্থায়ী সদর দপ্তর ছিল। আবার জাপুর জাম্বিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটি ছিল। এ কারণে ঐসব দেশের বর্ণ ও শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সাথে জাম্বিয়ার নেতিবাচক সম্পর্কের সূত্রপাত হয়।
জাম্বিয়া জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের(ন্যাম) একটি সক্রিয় সদস্য ছিল। ১৯৭০ সালে লুসাকায় এ সংস্থার একটি সম্মেলন আয়োজিত হয়। ১৯৭০-১৯৭৩ সালে কাউন্ডা ন্যামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধে জাম্বিয়া জিম্বাবুয়ে ও কঙ্গোকে সমর্থন করলেও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেনি।
একদলীয় শাসন এবং অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ১৯৮১ সালে জাম্বিয়ায় ব্যাপক ধর্মঘট হয়। ১৯৮৬ ও ১৯৮৭ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কাউন্ডা সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। উপায়ান্তর না দেখে কাউন্ডা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের আশ্বাস দেন। ১৯৯১ সালে প্রথম বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটিকে পর্যবেক্ষকরা অবাধ ও সুষ্ঠু বলে রায় দেন। উক্ত নির্বাচনে ফ্রেডেরিক চিলুবা ৭৬% ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তাঁর দল মুভমেন্ট ফর মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেসি ১৫০টির মধ্যে ১২৫টি আসন লাভ করে। বাকি আসনগুলো ইউএনআইপি লাভ করে।[৯]
১৯৯৩ সালে জাম্বিয়ার রাষ্ট্রীয় কাগজ দ্য টাইমস অব জাম্বিয়া দাবি করে, ইউএনআইপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করছে। সরকার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে সাতজনকে দণ্ড দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে কাউন্ডার ছেলে ওয়েজি কাউন্ডাও ছিলেন।[১০]
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ইউএনআইপি সাতটি রাজনৈতিক দলের সাথে কোয়ালিশন গঠন করে। কাউন্ডাও রাজনৈতিক মঞ্চে প্রত্যাবর্তন করেন। তখন চিলুবা সরকার সংবিধান সংশোধন করে কাউন্ডার নির্বাচনে দাঁড়ানোর পথ বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করে।
১৯৯৭ সালে আরেকটি সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়, কিন্তু চিলুবা সরকার একে দমন করতে সমর্থ হয়। এতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কাউন্ডাসহ ৮৪ জনকে আটক করা হয়।[১১] আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর তীব্র নিন্দা জানালে কাউন্ডাকে চিলুবা সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
চিলুবা সংবিধান সংশোধন করে ২০০১ সালে তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁর নিজের দল ও জাম্বিয়ান জনগণ এর প্রতিবাদ করলে তিনি তাঁর অবস্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন।