দ্য জায়ান্ট কজওয়ে ও কজওয়ে কোস্ট | |
---|---|
অবস্থান | অ্যানট্রিম, উত্তর আয়ারল্যান্ড |
স্থানাঙ্ক | ৫৫°১৪′২৭″ উত্তর ৬°৩০′৪২″ পশ্চিম / ৫৫.২৪০৮৩° উত্তর ৬.৫১১৬৭° পশ্চিম |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | দ্য জায়ান্ট কজওয়ে ও কজওয়ে কোস্ট |
ধরন | প্রাকৃতিক |
মানদণ্ড | ৭, ৮ |
মনোনীত | ১৯৮৬ (দশম সেশন) |
সূত্র নং | ৩৬৯ |
রাষ্ট্রীয় পার্টি | যুক্তরাজ্য |
অঞ্চল | ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা |
জায়ান্ট কজওয়ে (Clochán an Aifir নামেও পরিচিত অথবা আইরিশ: Clochán na bhFomhórach[১])[২] যুক্তরাজ্যের উত্তর আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত প্রায় ৪০ হাজার হেক্টাগোনাল পাথরের কলামে তৈরী একটি প্রাকৃতিক গুহা। এটি একটি প্রসিদ্ধ পর্যটক এলাকা।
এটি আয়ারল্যান্ডের অ্যানট্রিমের উত্তরভাগস্থ সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত। বাসমিল শহরের ৪.৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান। ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৮৭ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে এবং ১৯৮৬ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ড সরকার এটিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। এর পাথরের স্তম্ভগুলো অভ্যন্তরিন চাপে লাভার দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে স্তম্ভগুলোর উচ্চতা বিভিন্ন রকম কোথাও ১২ মিটার আবার কোথাও এর উচ্চতা অনেক কম। স্তম্ভগুলো প্রস্থে ১৫ থেকে ২০ ইঞ্চি ব্যাসের এবং উচ্চতায় ৯ মিটার। এদের মধ্যে প্রায় সবই ষড়ভুজাকার, কেবল কিছু পঞ্চ ও সপ্তভুজাকার স্তম্ভ রয়েছে। কোনো স্থানে বাঁধানো পথের প্রস্থ হলো ৪০ ফুট এবং সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থানে এর উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। ক্লিপগুলোর অর্থাৎ উচ্চ দূরারোহ পার্শ্বগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ক্লিপ হলো প্লিজকিন ক্লিপ, যার স্তম্ভগুলো ৪০০ ফুট উঁচু। পাথরের গুহাটি সমুদ্রের মধ্যে প্রায় ১৮৩ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এর বাঁধানো পথটি ৩২ হাজার ঘনমিটার স্তম্ভের সমষ্টি।
জায়ান্ট কাজওয়ের সৃষ্টি নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত। কারো কারো মতে, দৈত্যদের এক বংশ স্টাফাতে যাওয়ার জন্য চলাচলের পথ হিসেবে এ পথ তৈরি করে। স্টাফাতেও এ রকম একটি বাঁধানো পথ রয়েছে। আবার কারো কারো মতে, দুটি দৈত্যের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে স্থানীয় জায়ান্টস গ্রেভ নির্মিত হয়। আবার অনেকে মনে করে, আয়ারল্যান্ডের জায়ান্ট ফিন ম্যাককোল স্কটল্যান্ডের সাথে যুদ্ধ করার জন্য যখন স্কটল্যান্ড যাচ্ছিলেন কখন এই পথটি তৈরি করেন।[৩]
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর আগে অ্যানট্রিম আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের মধ্যভাগে অবস্থিত ছিল। স্কটল্যান্ডের দ্বীপপুঞ্জ, আইসল্যান্ড এবং গ্রিনল্যান্ডের পূর্ব-উপকূলও এ আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তরল লাভার পাতলা পাতগুলো এ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং শীতল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই তরল লাভা ঘন হয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং এ সংকোচনগত ভগ্নাংশগুলো তৈরি হয়। লাভা শীতল হওয়ার মাত্রা একই রকম থাকায় সরলভাবে সংকোচনগত ফাটল সৃষ্টি হয় এবং শীতল হওয়ার মাত্রা যথারীতি চলতে থাকলে অনেক ষড়ভুজাকৃতি স্তম্ভ তৈরি হবে। যেহেতু লাভা শীতল হয়ে গভীরতর দিকে বিস্তৃত হয়। অতএব এই ষড়ভুজাকৃতির ফাটলগুলোও নিচের দিকে বিস্তৃত হয় এবং এভাবেই বিরাট আকারের স্তম্ভের সৃষ্টি হয়।