জারিফা গাফারি | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | আফগান |
মাতৃশিক্ষায়তন | পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ব্যবসায়ী মেয়র |
পুরস্কার | ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ এওয়ার্ড |
জারিফা গাফারি (পশতু: ظریفه غفاری ) একজন আফগান আইনজীবী, কর্মী, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। ১৯৯২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[১] বর্তমানে তিনি ময়দান শহরের মেয়র। এটি আফগানিস্তানের ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশের রাজধানী।[২] জারিফা আফগানিস্তানের খুব অল্প সংখ্যক নারী মেয়রদের মধ্যে একজন। এবং সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র কারণ মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার আদায়ের কর্মকাণ্ডের জন্য।[৩] তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক আন্তর্জাতিক সাহসী নারী নির্বাচিত হন।[৪]
প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাক্তিয়া প্রদেশের হালিমা খাজান উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হন। এবং পরবর্তীতে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
আশরাফ গণি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জারিফা গাফারি ময়দান শহরের মেয়রের দায়িত্ব পান। এই শহরে প্রায় ৩৫,০০০ মানুষ বসবাস করেন এবং বেশিরভাগ মানুষই তালেবানদের সমর্থন করেন।[৫] যদিও, তার দায়িত্ব গ্রহণে প্রায় নয় মাস দেরি হয় কারণ অন্যান্য রাজনীতিবিদরা তার দায়িত্ব গ্রহণে হস্তক্ষেপ করে।[৬] মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর একদম প্রথম দিনে কিছু লোক তার অফিস ভাঙচুর করে এবং তাকে পদত্যাগ করতে চাপ দেয়।[৭] শুধু তাই নয়, তাকে তালিবান এবং আইএসআইএল থেকেও হুমকি দেয়া হয়।[৮] জারিফা ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ময়দান শহরের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করে। দায়িত্ব গ্রহণের পরই জারিফা এন্টি-লিটার ক্যাম্পেইন শুরু করেন। এছাড়া ১২ বছর ধরে আটকে থাকা একটি রাস্তার কাজও তিনি শুরু করেন।[৫] নারীদের জন্য তিনি একজন অনুসরণীয় ব্যক্তি।[৪]
যাইহোক, 18 আগস্ট, তিনি তার স্বামী, মা এবং পাঁচ বোনের সাথে আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে পালিয়ে যান [৯][১০]। পরে তিনি জার্মানির বনে স্থায়ী হন [৯]।[১১]
মোট ৮ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড়। সবার দেখাশোনা তিনিই করেছেন। তালেবানরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন তার বয়স মাত্র ৪ বছর। ছোট থেকেই তিনি চুল ছোট রাখতেন, জিন্স ও টি-শার্ট পড়তেন। যখনই তালেবানদের সামনে পড়তেন দ্রুত তিনি নিজেকে লুকিয়ে ফেলতেন।[১]
২০১৯ সালে বিবিসির প্রকাশিত "১০০ নারী" তালিকায় জারিফা জায়গা করে নিয়েছেন।[১২] ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।[৪] মোট বারো জন নারীকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তার মধ্যে তিনি একজন।[১৩] পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেন,
"আমি বিজয়ীর বেশে বাঁচতে চাই, বিজয়ীর বেশে মরতে চাই"