জেহরা এশরাগী | |
---|---|
زهرا اشراقی | |
জন্ম | ১৯৬৪ (বয়স ৫৯–৬০) |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোহাম্মদ রেজা খাতামি |
সন্তান | আলিরেজা, ফতেমা[১] |
পিতা-মাতা | শাহাব ওদ্দিন ইশরাগী (পিতা) সেদিগেহ খোমেইনী (মাতা) |
আত্মীয় | রুহুল্লাহ খোমেইনী (মাতামহ) খাদিজে সাকাফি (মাতামহী) |
জেহরা এশরাগী খোমেইনী (ফার্সি: زهرا اشراقی, প্রতিবর্ণীকৃত: জেহরা এশরাগী) (জন্ম ১৯৬৪) একজন ইরানি কর্মী এবং প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি নারীবাদ এবং মানবাধিকারে বিশ্বাস করেন। তিনি নারীদের প্রতি বৈষম্যের একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক। তাঁর বিদ্রোহী পিসি -জেহরা মোস্তফাভি খোমেইনীর নামে তাঁর নামকরণ করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জেহরা এবং প্রায় দুই হাজার অন্যান্য সংস্কারবাদী প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।[২]
এশরাগী ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আয়াতুল্লাহ খোমেইনীর নাতনী।[৩] তিনি দর্শন বিষয়ের একজন স্নাতক।[৪]
জেহরা বলেছেন যে ইরানের সংবিধানেই নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০০৬ সালে চালু করা, নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন পরিবর্তনের জন্য এক মিলিয়ন স্বাক্ষর আবেদনের প্রকল্পে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। জেহরা ইরানের নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক পরিধান রীতি - নীতিও বিরোধিতা করেছেন।[২]
জেহরা এশরাগী চান মাথায় স্কার্ফ পরা আর যেন বাধ্যতামূলক না হয়। তিনি বিশ্বাস করেন যে: "আমাদের সংবিধানে এখনও বলা আছে যে পুরুষ পরিবারের কর্তা এবং নারী একজন অনুগত স্ত্রী যিনি পরিবারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। কিন্তু এখানে সমাজে পরিবর্তন হয়েছে, বিশেষ করে গত ১০ বছরে। আমি নিশ্চিত যে যদি আমার দাদু এখন এখানে থাকতেন, তিনি খুবই ভিন্ন ধারণা পোষণ করতেন।"[৫]
তিনি আরও বলেছিলেন, "আমার দাদুর অনুমোদিত সংবিধানে বলা হয়েছে যে কেবল একজন পুরুষই রাষ্ট্রপতি হতে পারেন ... আমরা 'পুরুষ' শব্দকে 'যে কেউ' এই শব্দে পরিবর্তিত করতে চাই। কিন্তু এখানে বৈষম্য শুধু সংবিধানে নেই। একজন নারী হিসেবে, যদি আমি দেশ ছাড়ার জন্য পাসপোর্ট পেতে চাই, অস্ত্রোপচার করাতে চাই, এমনকি প্রায় শ্বাস নিতে হলেও, আমার স্বামীর অনুমতি নিতে হবে।"[৫]
প্রেসিডেন্ট খাতামির অধীনে, জেহরা এশরাগী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুব বিষয়ক দায়িত্বে নিযুক্ত ডেপুটির একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সংস্কারবাদী জোটের যুব সদর দপ্তরের প্রধানও ছিলেন।[৬]
১৯৮৩ সালে, এসরাগী মোহাম্মদ রেজা খাতামিকে বিবাহ করেন। খাতামি হলেন ইসলামী ইরান পার্টিসিপেশন ফ্রন্টের প্রাক্তন প্রধান, এটি ইরানের প্রধান সংস্কারবাদী দল। এছাড়া তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ খাতামির ছোট ভাই।[৭][৮] তাঁদের দুটি সন্তান আছে, একটি মেয়ে যার নাম ফতেমা এবং একটি ছেলে যার নাম আলি।[৮]