![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিওফ্রে পুলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সুইন্টন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ১ আগস্ট ১৯৩৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ | (বয়স ৭৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | নডি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৯৬) | ২ জুলাই ১৯৫৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ জানুয়ারি ১৯৬৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ এপ্রিল ২০১৫ |
জিওফ্রে পুলার (ইংরেজি: Geoff Pullar; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪) ল্যাঙ্কাশায়ারের সুইন্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। নডি ডাকনামে পরিচিত জিওফ পুলার কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্লুচেস্টারশায়ার দলে প্রতিনিধিত্ব করেন।[২]
মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও ১৯৫৯ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে সফলতাও লাভ করেছিলেন। হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৭৫ এবং ওল্ড ট্রাফোর্ডের টেস্টে প্রথম ল্যাঙ্কাশায়ারিয়ান হিসেবে শতরান পান।[১] ২ জুলাই, ১৯৫৯ তারিখে লিডসে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামেন। স্বদেশী হ্যারল্ড রোডস ও ভারতীয় অরবিন্দ আপ্তের সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ও ১৭৩ রানে জয়লাভ করেছিল।[৩] এর পরের চার বছর ইংল্যান্ড দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সরব ছিলেন। এ সময়েই তিনি তার চারটি শতরান তুলেন ৪৩-এর অধিক ব্যাটিং গড়ে।
১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়েস হল, গারফিল্ড সোবার্স ও চার্লি গ্রিফিথের বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করে পাঁচ টেস্টেই ভাল খেলেন। এরপর ১৯৬০ সালে নিজ দেশে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পুলার বেশ সফলকাম হন। তন্মধ্যে ওভালে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৭৫ তোলেন। এ সময় তিনি প্রথম উইকেট জুটিতে কলিন কাউড্রের সাথে ২৯০ রান করেন। এরপর ১৯৬১-৬২ মৌসুমে ভারত ও পাকিস্তান সফর করেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে জোড়া শূন্য লাভ করলেও উভয় দলের বিপক্ষে দলের ব্যাটিং গড়ে শীর্ষে ছিলেন।
তবে ১৯৬১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি তেমন সুবিধা লাভ করতে পারেননি। অ্যালান ডেভিডসনের হাতে পাঁচবার আউট হন। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের পর ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হন। এরফলে ইংল্যান্ড দলে খেলার যোগ্যতা হারান যা পরবর্তীতে তিনি দলে যোগ দিতে পারেননি।
ল্যাঙ্কাশায়ার দলে সফলতা না পাওয়ায় ১৯৬৯ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার দলে যোগ দেন। প্রথম মৌসুমেই কাউন্টি দলটিতে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষে ছিলেন। কিন্তু পরের বছরই মাত্র ছয় খেলায় অংশ নেয়ার পর হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তাকে অবসর নিতে বাধ্য হন।
১৯৫৯ সালে ক্রিকেট রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক বর্ষসেরা যুব ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও, ১৯৬০ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হন। টেবিল টেনিসেও জুনিয়র পর্যায়ে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। ৭৯ বছর বয়সে ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে।[২][৪][৫]