ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিওফ্রে রবার্ট মার্শ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | নর্দাম, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | সোয়াম্পি[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ-স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এসই মার্শ ও এমআর মার্শ (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩৩) | ১৩-১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫-২৯ জানুয়ারি ১৯৯২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯১) | ১৪ জানুয়ারি ১৯৮৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ মার্চ ১৯৯২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৭-১৯৯৪ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ |
জিওফ্রে রবার্ট মার্শ (ইংরেজি: Geoff Marsh; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৫৮) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার নর্দামে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার, কোচ ও দল নির্বাচক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবং দক্ষ ফিল্ডার হিসেবে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জিওফ মার্শ'।
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে উনিশ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে শেফিল্ড শিল্ডে অভিষেক ঘটে তার। এরপরই তিনি নিজেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খাঁটি প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন ও জাতীয় দলের উপযুক্ত স্থান দখল করেন।
বেশ কয়েকবছর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে সদস্যরূপে দলকে টেস্ট জয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। ডিসেম্বর, ১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। পরের বছরই নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরে যান। খুব দ্রুত নিজেকে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলেন। মার্ক টেলর ও ডেভিড বুনের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সাত বছরেরও অধিক সময়কাল খেলেছেন।
১৯৮৭ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে শিরোপা বিজয়ে স্বীয় ভূমিকা রাখেন। তন্মধ্যে চন্ডিগড়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৬* রান করেন। এছাড়াও, দলকে চারটি খেলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে তার ব্যাটিং গড় প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি। কিন্তু স্ট্রাইক রেট বেশ দূর্বলতর ছিল।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে কোচ হিসেবে পরিচালনা করে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন। পরবর্তীতে ২০০১-২০০৪ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে এবং ২০১১-১২ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু তার কোচের মেয়াদ মাত্র চার মাস টিকেছিল। ডিসেম্বর, ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শ্রীলঙ্কার টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজে পরাজয়ের কারণে তিনি পদচ্যূত হন ও গ্রাহাম ফোর্ড তার স্থলাভিষিক্ত হন।[২]
মার্শের দুই পুত্র - শন মার্শ ও মিচেল মার্শ ক্রিকেট অনুরাগী। জ্যেষ্ঠ পুত্র শন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলছেন ও অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই ও টেস্ট দলের সদস্য। কনিষ্ঠ পুত্র মিচেল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ও ২০১০ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে ডেকান চার্জার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[৩] মার্শের কন্যা মেলিসা মার্শ ওয়েস্ট কোস্ট ওয়াভসের পক্ষে বাস্কেটবল খেলছেন।[৪]
পূর্বসূরী রে ব্রাইট |
অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৮৭, ১৯৯০, ১৯৯১ |
উত্তরসূরী মার্ক টেলর |