জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৮ মে ১৭৮৮ | (বয়স ৬৪)
জাতীয়তা | তাইরলীয় |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র |
জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি (জুন ৩, ১৭২৩-মে ৮, ১৭৮৮) ছিলেন একজন তাইরলীয় চিকিৎসক ও প্রকৃতিবিদ। বিভিন্ন গ্রন্থে তাকে লাতিন ভাষায় ইয়োহান্নেস আন্তোনিয়ুস স্কোপোলিয়ুস (Johannes Antonius Scopolius) নামে উল্লেখ করা হয়েছে। তার জীবনীকার তাকে অস্ট্রিয়ার লিনিয়াস নামে অভিহিত করেছেন।[১]
স্কোপোলি ১৭২৩ সালে তাইরলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ইতালীয় আইনবিদ। ইন্সব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি চিকিৎসাবিদ্যা বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি কাভালেসে ও ভেনিসে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।[২] এসময় তার বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয় আল্পসে পতঙ্গ ও উদ্ভিদের বিশাল নমুনা সংগ্রহ করে।
দুই বছর বিশপ সেকোর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেন। ১৭৫৪ সালে ইদ্রিখায় এক পারদ খনিতে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৭৬৯ পর্যন্ত সেখানে কর্মরত থাকেন। খনিশ্রমিকদের ওপর পারদের বিষক্রিয়া সম্পর্কে তিনি ১৭৬১ সালে De Hydroargyro Idriensi Tentamina রচনা করেন।
স্কোপোলি স্থানীয় প্রাকৃতিক ইতিহাস বিষয়ক গবেষণা শুরু করেন। কার্নিওলার উদ্ভিদ নিয়ে Flora Carniolica (১৭৬০) এবং পতঙ্গ নিয়ে রচনা করেন Entomologia Carniolica (১৭৬৩)। কয়েক খণ্ডে বিভক্ত Anni Historico-Naturales (১৭৬৯–৭২) রচনা করেন যাতে প্রথমবারের মত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিষয়ক বিবরণ উল্লেখ করা হয়। ১৭৬৯ সালে স্লোভাকিয়ার এক খনি অ্যাকাডেমিতে তিনি রসায়ন ও ধাতুবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৭৭৭ সালে তিনি পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান।[২] সেখানে তার সাথে লাজারো স্পালাঞ্জানির তিক্ত সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। স্পালাঞ্জানি পরে পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নমুনা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তার কিছুদিন পর ১৭৮৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৩] তার শেষ সৃষ্টি ছিল Deliciae Flora et Fauna Insubricae (১৭৮৬–৮৮)। গ্রন্থটিতে উত্তর ইতালির বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণ ও বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পক্ষীবিদ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |