জিগনী রাজ্য जिगनी | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৭৩০–১৯৫০ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত জিগনী রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ৫৭ বর্গকিলোমিটার (২২ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ৩,৮৩৮ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৩০ | ||||||
১৯৫০ | |||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | হামিরপুর জেলা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত |
জিগনী রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির বুন্দেলখণ্ড এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি৷ সনদ রাজ্যটি ৫৭ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ছিলো এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটির জনসংখ্যা ছিলো ৪,২৯৭ জন৷ রাজ্যটি চতুর্দিকে ব্রিটিশ যুক্তপ্রদেশের হামিরপুর জেলা ও ঝাঁসি জেলা দ্বারা বেষ্টিত ছিলো৷ [১]
রাজ্যটির রাজধানী ছিলো জিগনীতে, যা বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলার রথ তহশিলের একটি ছোট শহর৷[২] ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনায় এটির জনসংখ্যা ছিলো ১৭৭০ জন৷[৩] এটি বেতোয়া এবং ধসান নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত৷
বুন্দেলা রাজগোষ্ঠীত রাজপুত যোদ্ধা রাও পদ্ম সিংহ ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে জায়গীর রূপে জিগনী রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ তিনি বুন্দেলখণ্ডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ও পান্না রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজা ছত্রশালের পুত্র ছিলেন৷ পূর্বে এই জায়গীরটি আয়তনে যথেষ্ট বড়ো থাকলেও খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ক্রমাগত মারাঠা আক্রমণের ফলে রাজ্যটির আয়তন কমতে কমতে মূল ক্ষেত্রফলের অর্ধেক হয়ে যায়৷[৩]
১৮১০ খ্রিস্টাব্দে জিগনী রাজ্যের শাসক পৃথ্বী সিংয়ের শাসনকালে এটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়৷[৪] রাজ্যটির শেষ শাসক রাও ভূপেন্দ্রবিজয় সিং ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে একীভূতকরণের দলিল স্বাক্ষর করলে এটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি তারিখে ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়৷[৫]
জিগনী দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ ছিলেন বুন্দেলবংশীয়, তারা রাও উপাধিতে ভূষিত হতেন৷[৪][৫]
১৭৩০–১৭৯০ | পদ্ম সিং |
১৭৯০–১৮০৬ | প্রথম লক্ষ্মণ সিং |
১৮০৬–১৮৩০ | পৃথ্বী সিং |
১৮৩০–১৮৭০ | ভূপাল সিং |
১৮৭০–১৮৯২ | দ্বিতীয় লক্ষ্মণ সিং |
১৮৯২–১৯২৫ | ভানুপ্রতাপ সিং |
১৯২৫–১৯৩৪ | অরিমর্দন সিং |
১৯৩৪–১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | ভূপেন্দ্রবিজয় সিং |