জিগমে দর্জি ওয়াংচুক![]() | |
---|---|
তৃতীয় ড্রুক গ্যালাপ | |
![]() | |
রাজত্ব | ৩০ মার্চ ১৯৫২ – ২১ জুলাই ১৯৭২ |
রাজ্যাভিষেক | ২৭ অক্টোবর ১৯৫২ [১] |
পূর্বসূরি | জিগমে ওয়াংচুক |
উত্তরসূরি | জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক |
জন্ম | Thruepang Palace, Trongsa | ২ মে ১৯২৯
মৃত্যু | ১৫ জুলাই ১৯৭২ নাইরোবি, কেনিয়া | (বয়স ৪৩)
সমাধি | |
দাম্পত্য সঙ্গী | Ashi Kesang Choden |
বংশধর | Sonam Choden ওয়াংচুক Dechen Wangmo ওয়াংচুক জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক Pema Lhaden ওয়াংচুক Kesang Wangmo ওয়াংচুক |
রাজবংশ | ওয়াংচুক |
পিতা | জিগমে ওয়াংচুক |
মাতা | Phuntsho Choden |
ধর্ম | বৌদ্ধধর্ম |
জিগমে দর্জি ওয়াংচুক (Wylie: 'jigs med rdo rje dbang phyug; ২ মে ১৯২৮ - ১৫ জুলাই ১৯৭২) ভুটানের তৃতীয় ড্রূক গ্যালাপ (রাজা) ছিলেন।
তিনি বহির্বিশ্বের সঙ্গে ভুটানের যোগাযোগ স্থাপন করেন, আধুনিকীকরণ শুরু করেন, এবং গণতন্ত্রায়নের দিকে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মহামান্য রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক টংসার থ্রুএপমান প্যালেসে ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তরুণ বয়সে, তিনি তার পিতার রাজকীয় আদালতে শিষ্টাচার ও নেতৃত্ব দিতে শেখেন। মহামান্য সম্রাট আশি কেসাং চোদেন ওয়াংচুককে (জন্ম ১৯৩০), ১৯৫১ সালে বিয়ে করেন। ১৯৫২ সালে তার পিতা মারা যাওয়ায়, তিনি ভুটানের সম্রাট হন। তার রাজ্যাভিষেক ২৭ অক্টোবর ১৯৫২ সালে পুনাখা ডিজংএ অনুষ্ঠিত হয়।[৩]
তার ২০ বছরের রাজত্বকালে ভুটানের সমাজের মৌলিক পুনরভিযোজন শুরু হয়। জিগমে দর্জি ওয়াংচুক সমাজ ও সরকার পুনর্গঠন অর্জন করেছিলেন।[৪] তিনি এক প্রশংসনীয় উপায় ভুটান সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা সুসংহত করেন। তার রাজত্বকালে ভারত ভুটানের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার প্রধান উৎস হয়ে ওঠে।
জিগমে দর্জি ওয়াংচুক সহজাতভাবেই মুক্তি ও সমতার আগ্রহী ছিলেন।[৫] তিনি ১৯৫৩ সালে পুনাখা ডিজংএ ভুটানের জাতীয় পরিষদের প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] তিনি বিচার বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেনন। তিনি প্রথমে জেলা আদালতের জন্য বিচারকদের নিযুক্ত করেন এবং পরে হাইকোর্ট, যা ১৯৬৮ সালে স্থাপন করা হয় তার জন্য বিচারকদের নিযুক্ত করেন। তিনি নতুন আইন চালু করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে নতুন মন্ত্রকের প্রতিষ্ঠা করেন।[৬]
জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ভুটানের সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য গুরুত্ব দেন, যাতে করে ভুটান সবসময় একটি সাংস্কৃতিকভাবে স্বতন্ত্র জাতি হিসাবে নিজেকে চিহ্নিত করতে পারে। তিনি রাজ্যের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।[৪]
ভুটানের পরিবহন, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কৃষি অবকাঠামো আধুনিকীকরণ শুরু হয়, ভারত সাহায্যের প্রস্তাব করার পর থেকে।[৭]
মহামান্য সম্রাটের প্রথম এবং প্রধানতম অগ্রাধিকার ছিল ভারতের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত রাখার জন্য। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার ছিল অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন।[৪] ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরে তাঁর সহকারই প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। (ভারতের কয়েক ঘণ্টা আগে) [৮] তিনি ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের যোগদানের জন্য ভুটানকে সক্রিয় করেন। ভুটান জাতিসংঘের ১২৫ তম সদস্য হয়।[৯]
জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ১৯৭২ সালের ১৫ জুলাই মাত্র ৪৩ বছর বয়সে কেনিয়ার নাইরোবিতে মারা যান।
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);
জিগমে দর্জি ওয়াংচুক জন্ম: 2 May 1928 মৃত্যু: 21 July 1972
| ||
শাসনতান্ত্রিক খেতাব | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জিগমে ওয়াংচুক |
King of Bhutan 1952–1972 |
উত্তরসূরী জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক |