জিজাখ উজবেক: Жиззах / জিজাক্স | |
---|---|
নগর | |
উজবেকিস্তানে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪০°০৬′৫৭″ উত্তর ৬৭°৫০′৩২″ পূর্ব / ৪০.১১৫৮৩° উত্তর ৬৭.৮৪২২২° পূর্ব | |
দেশ | উজবেকিস্তান |
অঞ্চল | জিজাখ প্রদেশ |
প্রথম উল্লেখ | ১০ম শতাব্দী |
সরকার | |
• ধরন | নগর প্রশাসন |
• হাকিম (মেয়র) | ইরগাস সালিয়েভ |
আয়তন | |
• পৌর এলাকা | ৪৯ বর্গকিমি (১৯ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১৪০ বর্গকিমি (৫০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৩৭৮ মিটার (১,২৪০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২০)[১] | |
• নগর | ১,৭৯,২০০ |
• জনঘনত্ব | ৩,৬৭৩/বর্গকিমি (৯,৫১০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | জিজাখাইট (Uzbek: Jizzaxlik, Jizzaxlilar) |
সময় অঞ্চল | (ইউটিসি+5) |
পোস্টাল কোড | ১৩০১০০-১৩০১১৭ |
এলাকা কোড | (+৯৯৮) ৭২ |
যানবাহন নিবন্ধন | ২৫-২৯ |
জিডিপি (Nominal) | ২০১৯ |
- মোট | US$ ০,৬৬৪ বিলিয়ন |
- মাথাপিছু | US$ ০,৪৯৭ |
এইচবিআই (২০১৮) | ০.৬৫৩ · ১১তম |
ওয়েবসাইট | www |
জিজাখ (উজবেক: Jizzax/Жиззах, টেমপ্লেট:IPA-uz) হলো উজবেকিস্তানের জিজাখ প্রদেশের একটি নগর এবং কেন্দ্রস্থল যেটি সমরকন্দ হতে উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত। জিজাখ একটি জেলা পর্যায়ের শহর।[২] ২০২০ সালের হিসাব অনুসারে, এখানকার আনুমানিক লোকসংখ্যা ১,৭৯,২০০ জন।[১] উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি শাভকাত মির্জিয়োয়েভ জিজাখ অঞ্চলের জামিন জেলায় জন্মগ্রহন করেছিলেন।[৩]
একটি মত অনুসারে, শহরটির এই নামটি এসেছে সোগডিয়ান ভাষার শব্দ "ডিজাক" থেকে, যার অর্থ "ছোট দুর্গগুলি" বা "ছোট দুর্গ"।[৪]
জিজাখ ছিল রেশম পথে ফারগানা উপত্যকার সাথে সমরকন্দের সংযোগ সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন। এটি গোলডনায়া সমভূমির প্রান্তে এবং জেরভশান উপত্যকা, সমরকন্দ ও বোখারার দিকে চলাচল নিয়ন্ত্রণ কারী তুর্কেস্তান পর্বতমালার জিলানুতি (তৈমুর লং|তৈমুরের তোরণ)-এর কৌশলগত গিরিপথের পাশে।
জিজাখ একটি প্রাচীন মরূদ্যান। দেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিমের কিয়দাংশ বেষ্টনকারী তুর্কেস্তান ও নুরাতা পর্বতশৃঙ্গ এবং দেশের উত্তর অংশের আর্নাসে-আয়দার-তুজকান হ্রদগুলি এখানকার জলবায়ুকে নাতিশীতোষ্ণ করে তুলেছে। চভকার পর্বতের শীর্ষে তুষার ও হিমবাহ এবং উস্তুরশোনা প্রণালীর পাদদেশীয় পাহাড়ে পাদদেশে ঘন পাইন বন রয়েছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৮০০ মিটার উচ্চতায় পাহাড়ের ঢাল থেকে পাইন বন শুরু হয়। পাহাড়ের উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে পাইন বন ঘন হতে থাকে।
জিজাখে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর একটি তীব্রভাবে মহাদেশীয় সংস্করণ (কোপেন: সিএসএ) বিদ্যমান রয়েছে। এখানে জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা থাকে −৪ °সে অথবা ২৪.৮ °ফা এবং জুলাই মাসে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা হয় ৩৪.৯ °সে অথবা ৯৪.৮ °ফা। পাহাড়ের পাদদেশের জলবায়ু মরুভূমি এবং সমভূমির তুলনায় মৃদু। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত দক্ষিণে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার (১৬ থেকে ২০ ইঞ্চি) এবং উত্তরে ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার (১০ থেকে ১২ ইঞ্চি)। বছরে মোট ২১০ থেকে ২৪০ দিন হিম-মুক্ত থাকে, যেখানে বার্ষিক মোট সূর্যালোক পাওয়া যায় ২,৮০০ থেকে ৩,০০০ ঘন্টা। পাহাড় থেকে প্রবাহিত অনেক নদী রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল সাংজোর এবং জামিন।
২০২০ সালের হিসাবে শহরটির জনসংখ্যা ছিল ১,৭৯,৯০০ জন। জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হল উজবেক।
দেশের জনসংখ্যার সাধারণ বৃদ্ধির কারণে এবং সেইসাথে প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসাবে শহরটি তার নিজস্ব জনসংখ্যা এবং অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের নিকট আকর্ষণীয় হয়ে ওঠায় শহরের বাসিন্দাদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
২০১১ সালের জাতীয় মিশ্রণ: উজবেক - ১,৪০,৭০০ জন (৮৭.৮%), রাশিয়ান - ৬,৩০০ জন (৩.৯%), তাজিক - ২,৭২০ জন (১.৭%), অন্যান্য (কাজাখ, তাতার, ইউক্রেনীয়, কিরগিজ এবং অন্যান্য সহ) - ১০,৬০০ জন (৬.৬%)।