জিঞ্জিবার (আরবি: زنجبار Zinjibār) জিঞ্জিবার জেলা এবং আবয়ান গভর্নোরেট এর রাজধানী এবং দক্ষিণ-মধ্য ইয়েমেনের একটি বন্দর এবং উপকূলবর্তী শহর । এটি আবদান ডেল্টায় ওয়াদি বানা[১] এর পাশে অবস্থিত। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত, এটি ফাদলি সুলতানাতের প্রশাসনিক রাজধানী ছিল । যদিও আবাস শুকরার প্রাক্তন রাজকীয় রাজধানী ছিল এটি। ২০০৪ সালের আদমশুমারি হিসেব অনুযায়ী, জিঞ্জিবারের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৯,৮৭৯ জন স্থায়ী বাসিন্দা। শহরটিতে একটি ছোট সমুদ্রবর্তী সৈকত রিসোর্ট রয়েছে । এবং সাথে মাছ ধরার শিল্পও গড়ে উঠেছে ।[২] এই অঞ্চলে উৎপাদন হওয়া কটন (গসিয়েপিয়াম বারবাডেন ) বাজারে খুব ভালো বিক্রি হয়।[৩]
জিঞ্জিবার একসময় ফার-ইস্টের সাথে বাণিজ্যের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। [৪] তবে ১১৬৩ সালে (৫৫৯ হিজরী) আবদেল নবি আলী মাহদি ইউসুফ এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি পুড়িয়ে ফেলেন । যদিও পরে ১৫ শতকের দিকে এটি আবার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল । কিন্তু ১৯ শতকের গোড়ার দিকে একটি উপজাতীয় যুদ্ধে এটি আবার ধ্বংস করা যায় । ফাদলি সুলতান হুসাইন বিন আহমেদ বিন আব্দুল্লাহ এই শহরকে আবার পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেন । এছাড়াও তখন ভারতের পুণে থেকে এই শহরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে শহরকে পুনঃ প্রতিষ্ঠার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সুলতান সালেহ আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন বিন আহমদকে ব্রিটিশ শাসনকেরা জিঞ্জিবারে ফেরত পাঠিয়েছিলেন নির্বাসনে । তার ফিরে আসার পর তিনি তার নির্বাসনের সময় এই শহরকে জিঞ্জিবার নামে নামকরণ করেন। জিঞ্জিবার নাম ফার্সি সংকলন জাং-বার (زنگبار) থেকে এসেছে, যার অর্থ "অন্ধকারের উপকূল"। জিঞ্জিবার নাম এই একই মূল থেকে এসেছে ।
২০১১ সালের মে মাসে, ইয়েমেনের বিদ্রোহের অংশ হিসেবে ২০১১ সালে ইসলামি জঙ্গিরা এই শহরটিকে দখল করে ফেলে । [৫][৬] পরবর্তীতে ১২ জুন ২০১২ তারিখে, ইয়েমেনের সেনাবাহিনী কর্তৃক জঙ্গিদের বিতারন করা হয়। [৭] একই তারিখে, ১৫ কিলোমিটার বা ৯ মাইল উত্তর দিকে প্রতিবেশী শহর জয়রকেও সরকার বাহিনী কর্তৃক দখল করে নেয় । [৮]
২০১৫ সালের মার্চে হিউইটিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সৈন্যরা জিঞ্জিবারকে আবার দখল করে নেয় । ওই সৈন্যদল এবং যোদ্ধাদের সেসময় পরিচালনাকারী নেতা ছিলেন আব্দ রাব্বুর মনসুর হাদি । ইয়েমেন হাদীসের পক্ষে হস্তক্ষেপ করে একটি বহুজাতিক জোটের বিমান হামলার জন্য শহরটি একটি লক্ষ্য হয়ে ওঠে।[৯] পরবর্তীতে বিমান হামলা করা হয় শহরটিতে ।