জিন হার্লো | |
---|---|
Jean Harlow | |
জন্ম | হারলিন হার্লো কারপেন্টার ৩ মার্চ ১৯১১ |
মৃত্যু | ৭ জুন ১৯৩৭ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ২৬)
মৃত্যুর কারণ | সেরাব্রাল এডেমা, ইউরেমিয়া |
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া |
শিক্ষা | ফেরি হল স্কুল |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯২৮-১৯৩৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | চার্লস ম্যাকগ্রিউ (বি. ১৯২৭; বিচ্ছেদ. ১৯২৯) পল বার্ন (বি. ১৯৩২; মৃ. ১৯৩২) হ্যারল্ড রোসন (বি. ১৯৩৩; বিচ্ছেদ. ১৯৩৪) |
ওয়েবসাইট | jeanharlow |
জিন হার্লো (ইংরেজি: Jean Harlow; জন্ম: হারলিন হার্লো কারপেন্টার, ৩ মার্চ ১৯১১ - ৭ জুন ১৯৩৭) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং ১৯৩০-এর দশক সময়কালের যৌন আবেদনের প্রতীক।[১] হার্লো পরিচালক হাওয়ার্ড হিউজের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং তার প্রথম আলোচিত সফল চলচ্চিত্র ছিল হেল্স অ্যাঞ্জেলস্ (১৯৩০)। পরবর্তী কালে তিনি কয়েকটি সমালোচনামূলকভাবে অসফল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর ১৯৩২ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার স্টুডিওজের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। হার্লো এমজিএমের প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে কয়েকটি হিট চলচ্চিত্র উপহার দেন, তন্মধ্যে রয়েছে রেড ডাস্ট (১৯৩২), ডিনার অ্যাট এইট (১৯৩৩), রেকলেস (১৯৩৫), এবং সুজি (১৯৩৬)।
হার্লো তার এমজিএমের সহকর্মী জোন ক্রফোর্ড ও নর্মা শিয়েরারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন এবং তাদের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যান। তিনি ১৯৩০-এর দশকের শেষভাগে বিশ্বের অন্যতম চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠেন এবং প্রায়ই তাকে "ব্লন্ডি বোম্বশেল" ও "প্লাটিনাম ব্লন্ডি" নামে ডাকা হত। এছাড়া তিনি তার "হাস্যোজ্জ্বল ভ্যাম্প" চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেন। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে তাদের ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রশিল্পের সেরা নারী তারকা তালিকায় ২২তম স্থান প্রদান করে।[২]
হারলিন হার্লো কারপেন্টার[৩] ১৯১১ সালের ৩রা মার্চ মিজুরি অঙ্গরাজ্যের কানসাস সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার নামের শেষাংশ প্রায়ই 'কারপেন্টিয়ের' হিসেবে ভুলভাবে বানান করা হত।[৪] হার্লোর পিতা মন্ট ক্লেয়ার কারপেন্টার (১৮৭৭-১৯৭৪) ছিলেন একজন দন্ত্যচিকিৎসক। তিনি কানসাস সিটির ডেন্টাল স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন।[৫] ক্লেয়ারের পিতা আব্রাহাম এল. কারপেন্টার ও মাতা ডায়ানা বিয়েল শ্রমজীবী শ্রেণির ছিলেন।[৫]
হার্লোর মাতা জিন পো কারপেন্টার (প্রদত্ত নাম: হার্লো; ১৮৯১-১৯৫৮) ছিলেন ধনী আবাসন ব্যবসায়ী স্কিপ হার্লো ও এলা হার্লোর (প্রদত্ত নাম: উইলিয়ামস) কন্যা। ১৯০৮ সালে জিনের পিতা ক্লেয়ার ও জিনের বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। এই দম্পতি কানসাস সিটিতে জিনের পিতার একটি বাড়িতে বসবাস করত।[৬] হারলিনের ডাকনাম ছিল "দ্য বেবি" এবং আজীবন তাকে এই নামেই ডাকা হত। পাঁচ বছর বয়সের পূর্ব পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে তার প্রকৃত নাম হারলিন। কানসাস সিটির মিস বার্স্টো ফিনিশিং স্কুল ফর গার্লসে ভর্তির সময়ে তিনি তার প্রকৃত নাম জানতে পারেন।[৭] হারলিন চলচ্চিত্র তারকা হওয়ার পর তার মাতা "মাদার জিন" নামে পরিচিতি লাভ করেন এবং তারা খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। হারলিনের মাতা তাকে আগলে রাখতেন এবং তার কন্যা সম্পর্কে বলেন, "সে সবসময় পুরোপুরি আমার"।[৮]
১৯২৯ সালের শেষভাগে তিনি জেমস হলের নজরে আসেন। হল তখন হাওয়ার্ড হিউজের হেল্স অ্যাঞ্জেলস্ (১৯৩০)-এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছিলেন। হিউজ নির্বাক চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির পুনঃচিত্রায়ন করছিলেন এবং গ্রেটা নিসেনের স্থলে তার একজন অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল, কারণ নিসেনের নরওয়েজীয় উচ্চারণ এই চরিত্রের সাথে খাপ খাচ্ছিল না। হার্লো এই চরিত্রের জন্য অডিশন দেন এবং এই কাজটি পেয়ে যান।[৯][১০] হিউজ ১৯২৯ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতি সপ্তাহে ১০০ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক ভিত্তিতে হার্লোর সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি করেন। হেল্স অ্যাঞ্জেলস্ ১৯৩০ সালে ২৭শে মে গ্রম্যান্স চাইনিজ থিয়েটারে মুক্তি দেওয়া হয়, ছবিটি সে বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।[১১]